০৩:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫

জঙ্গিদের মাথায় আইএসের টুপির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির কারও মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালত কক্ষ থেকে বের করার সময় তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। আর এ সময় আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি পরে ছিলেন।

এরপর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান কীভাবে আইএস’র টুপি পেলো সে ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল পাশা জানিয়েছেন, ‘এই টুপি সে কারাগার থেকে সংগ্রহ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এডিশনাল আইজি প্রিজনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারও অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার জন্য সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কিভাবে আসামির মাথায় আইএসের টুপির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু বইছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কারাবেষ্টনির মধ্যে কীভাবে আসামিদের মাথায় এ ধরনের টুপি এলো?

বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি ছিল কি-না তা আমি জানি না।’ ভিডিওতে দুজন আসামির মাথায় আইএসের টুপি দেখা গেছে উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও অনলাইনে দেখেছি।’

এবিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে এসেছে সেটা আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কী আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল?

এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও রায়ের পর দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি আমিও জেনেছি। আমি এখনই বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। এটা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ দিপু

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

জঙ্গিদের মাথায় আইএসের টুপির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশিত : ০৮:০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০১৯

বহুল আলোচিত হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাত জঙ্গির কারও মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখা যায়নি। বরং আদালত কক্ষ থেকে বের করার সময় তাঁরা স্লোগান দিতে থাকেন। আর এ সময় আসামি রাকিবুল ইসলাম ওরফে রিগ্যান মাথায় আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের (ইসলামিক স্টেট) পতাকার প্রতীক সংবলিত টুপি পরে ছিলেন।

এরপর আসামিদের প্রিজন ভ্যানে তোলার পর আরও এক জঙ্গিকেও কালো কাপড়ে তৈরি একই রকম টুপি পরতে দেখা যায়। ওই জঙ্গির নাম জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান রিগ্যান কীভাবে আইএস’র টুপি পেলো সে ব্যাপারে কারা কর্তৃপক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এ বিষয়ে আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফা কামাল পাশা জানিয়েছেন, ‘এই টুপি সে কারাগার থেকে সংগ্রহ করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে এডিশনাল আইজি প্রিজনকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। কারও অবহেলা পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, রায় পরবর্তী প্রতিক্রিয়ার জন্য সারা দেশের কারাগারগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কিভাবে আসামির মাথায় আইএসের টুপির বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ইতোমধ্যে সমালোচনা শুরু বইছে। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, কারাবেষ্টনির মধ্যে কীভাবে আসামিদের মাথায় এ ধরনের টুপি এলো?

বিষয়টি নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গোলাম সারোয়ার খান জাকির বলেন, ‘আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি ছিল কি-না তা আমি জানি না।’ ভিডিওতে দুজন আসামির মাথায় আইএসের টুপি দেখা গেছে উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমিও অনলাইনে দেখেছি।’

এবিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আসামিদের মাথায় আইএসের টুপি কীভাবে এসেছে সেটা আমার জানা নেই। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যরা এ বিষয়ে বলতে পারবেন।’

তবে এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম জানান, ‘এটি আমরা দেখেছি, ছবিও দেখেছি। আমরা বিস্মিত হয়েছি। কারাগার থেকে আনার সময় আসামিদের তল্লাশি করে দেখা হয়। তাদের সঙ্গে কী আছে তা দেখা হয়। এ ধরনের টুপি তাদের কাছে কীভাবে গেল?

এরপর আইনমন্ত্রী আনিসুল হকও রায়ের পর দুপুরে সাংবাদিকদের বলেছেন, বিষয়টি আমিও জেনেছি। আমি এখনই বিষয়টি তদন্তের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব। এটা গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত হওয়া উচিত।

বিজনেস বাংলাদেশ/ দিপু