০৬:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সুপার হিরো ছাড়াই বাংলাদেশ

ডার্কনাইট যার খুব বেশি বন্ধু নেই। নিজের পরিশ্রমে ও বুদ্ধিমত্তায় সুপারহিরো হয়েছেন। বিনা স্বার্থে অত্যন্ত নিরবে ও নিভৃত্বে নিজ শহরের মানুষদের রক্ষা করলেও শহরের মানুষ কখনো তাকে সুপার হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। তারপরও প্রধাণ শহরকে ভালবেসে সে তার কাজ করে যায় কারণ সে যে সাইলেন্ট গার্ডিয়ান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ডার্কনাইট সাইলেন্ট গার্ডিয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যিনি মেধাবী কিংবা সর্বজয়ী রুপ নয়, বেছে নিয়েছেন শ্রমিক রুপ। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা তার কখনো ছিল না, গনমাধ্যমের গ্ল্যামার ফ্যাক্টর বিষয়টার সঙ্গেও তিনি যান না। কিন্তু তিনি এমন এক নেপথ্যের নায়ক যিনি তুমুল বিপর্যয়ের মুখেও পিছু হটেন না। এগার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ম্যাচে সম্মান বাচানোর নায়ক শফিউল, কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে সে নায়ককে ছায়া দিয়ে গেছেন যিনি পরিসংখ্যানের ক্ষুদ্র ক্যানভাসে তাকে বিচার করা যায় না। আজ পর্যন্ত দলের পিট বাচানো ইনিংস যে তিনি কতবার খেলেছেন তা বুঝতে হলে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বিশ্লেষণ করতে হবে। যে কাজটা বাংলাদেশের কতজনই বা করে তাইতো পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনা হয় রিয়াদকে নিয়ে । ধারনা করা হয় টেস্টে ধারাবাহিকতা ও গড় রান অজুহাতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছে মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ কি একমাত্র ব্যটসম্যান যার গড় রান কম? প্রশ্নটা কিন্তু করাই যায়। পরিসংখ্যান বলছে ৪৯ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরীতে এবং ১৬ হাফ সেঞ্চুরীতে রিয়াদের ব্যটিং গড় ৩১.৭৭। মুমিনুল সাকিব বাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য টেস্ট ব্যটসম্যনদের ব্যাটিং গড়ের সঙ্গে খুব একটা তারতম্য নেই। আর একটু আলাদা করে বললে মিডল লয়ার মিডলদের সঙ্গে গড় পরিসংখ্যানে মাহমুদুল্লাহই এগিয়ে। সর্বশেষ ৬ টেস্টে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং গড় ৩২.৪৫ যেখানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কর ১৪৬ রানের ইনিংসও। তার ঠিক আগেই রয়েছে ঘরের মাটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সেঞ্চুরী। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবশেষ দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ান ক্যাপ্টেনের নাম মাহমুদুল্লাহ। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টির ফাইনালে হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। টিম ম্যানেজম্যান্ট হয়তো চাইছেন মাহমুদুল্লাহ আপাতত সাদা বলের ক্রিকেটেই মনোযোগী হোক। যদি তা হয় তাহলে আসলেই ভাল সিদ্বান্ত, আর যদি তা না হয় তাহলে বলাই যায় অন্য ফরম্যাটের ফর্ম, অভিজ্ঞতা এবং সমসাময়িক ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে টে¯ট দলে থাকতেই পারতেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

সীতাকুণ্ডে বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৭

সুপার হিরো ছাড়াই বাংলাদেশ

প্রকাশিত : ১২:০০:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১

ডার্কনাইট যার খুব বেশি বন্ধু নেই। নিজের পরিশ্রমে ও বুদ্ধিমত্তায় সুপারহিরো হয়েছেন। বিনা স্বার্থে অত্যন্ত নিরবে ও নিভৃত্বে নিজ শহরের মানুষদের রক্ষা করলেও শহরের মানুষ কখনো তাকে সুপার হিরো হিসেবে স্বীকৃতি দেয়না। তারপরও প্রধাণ শহরকে ভালবেসে সে তার কাজ করে যায় কারণ সে যে সাইলেন্ট গার্ডিয়ান। বাংলাদেশ ক্রিকেটের ডার্কনাইট সাইলেন্ট গার্ডিয়ান মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ যিনি মেধাবী কিংবা সর্বজয়ী রুপ নয়, বেছে নিয়েছেন শ্রমিক রুপ। আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা তার কখনো ছিল না, গনমাধ্যমের গ্ল্যামার ফ্যাক্টর বিষয়টার সঙ্গেও তিনি যান না। কিন্তু তিনি এমন এক নেপথ্যের নায়ক যিনি তুমুল বিপর্যয়ের মুখেও পিছু হটেন না। এগার বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড ম্যাচে সম্মান বাচানোর নায়ক শফিউল, কিন্তু এক প্রান্ত আগলে রেখে সে নায়ককে ছায়া দিয়ে গেছেন যিনি পরিসংখ্যানের ক্ষুদ্র ক্যানভাসে তাকে বিচার করা যায় না। আজ পর্যন্ত দলের পিট বাচানো ইনিংস যে তিনি কতবার খেলেছেন তা বুঝতে হলে ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে বিশ্লেষণ করতে হবে। যে কাজটা বাংলাদেশের কতজনই বা করে তাইতো পান থেকে চুন খসলেই সমালোচনা হয় রিয়াদকে নিয়ে । ধারনা করা হয় টেস্টে ধারাবাহিকতা ও গড় রান অজুহাতে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছে মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ কি একমাত্র ব্যটসম্যান যার গড় রান কম? প্রশ্নটা কিন্তু করাই যায়। পরিসংখ্যান বলছে ৪৯ ম্যাচে ৪ সেঞ্চুরীতে এবং ১৬ হাফ সেঞ্চুরীতে রিয়াদের ব্যটিং গড় ৩১.৭৭। মুমিনুল সাকিব বাদে দেশের শীর্ষস্থানীয় অন্যান্য টেস্ট ব্যটসম্যনদের ব্যাটিং গড়ের সঙ্গে খুব একটা তারতম্য নেই। আর একটু আলাদা করে বললে মিডল লয়ার মিডলদের সঙ্গে গড় পরিসংখ্যানে মাহমুদুল্লাহই এগিয়ে। সর্বশেষ ৬ টেস্টে মাহমুদুল্লাহর ব্যাটিং গড় ৩২.৪৫ যেখানে রয়েছে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কর ১৪৬ রানের ইনিংসও। তার ঠিক আগেই রয়েছে ঘরের মাটেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে সেঞ্চুরী। দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সবশেষ দুই টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ান ক্যাপ্টেনের নাম মাহমুদুল্লাহ। বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টির ফাইনালে হয়েছেন ম্যান অব দ্যা ম্যাচ। টিম ম্যানেজম্যান্ট হয়তো চাইছেন মাহমুদুল্লাহ আপাতত সাদা বলের ক্রিকেটেই মনোযোগী হোক। যদি তা হয় তাহলে আসলেই ভাল সিদ্বান্ত, আর যদি তা না হয় তাহলে বলাই যায় অন্য ফরম্যাটের ফর্ম, অভিজ্ঞতা এবং সমসাময়িক ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে তুলনামূলক বিচারে টে¯ট দলে থাকতেই পারতেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ।