০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

মুক্তিযোদ্ধা বাছাই: ১০ শতাংশ কোটার বিধান বাতিল

প্রত্যেক উপজেলায় গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতাভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না- এমন বিধান বেআইনি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পৃথক ১০টি রিটে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে তিনটি আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) একটি পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয় যে প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতাভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ‘ক’ তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু ১০ শতাংশ কোটার সিদ্ধান্তটির ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণে ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলার ‘ক’ তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয় অসাংবিধানিকও। কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশিও হতে পারে। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

মুক্তিযোদ্ধা বাছাই: ১০ শতাংশ কোটার বিধান বাতিল

প্রকাশিত : ১২:০০:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ নভেম্বর ২০২১

প্রত্যেক উপজেলায় গেজেটে অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতাভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না- এমন বিধান বেআইনি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। পৃথক ১০টি রিটে বৃহস্পতিবার বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে তিনটি আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম টিপু। ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) একটি পরিপত্রটি জারি করে। ওই পরিপত্রে বলা হয় যে প্রত্যেক উপজেলায় গেজেট অন্তর্ভুক্ত হয়নি এমন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেটভুক্তির জন্য বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় ভাতাভোগী সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যার ১০ শতাংশের বেশি তালিকাভুক্ত করা যাবে না।

তৌফিক ইনাম টিপু বলেন, ২০১৭ সালে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ‘ক’ তালিকা প্রস্তুত করা হয় এবং ওই তালিকাতে রিট আবেদনকারীরা তালিকাভুক্ত হন। কিন্তু ১০ শতাংশ কোটার সিদ্ধান্তটির ফলে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা অনেকেই বাদ পড়ে যান। সে কারণে ওই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে উপজেলার ‘ক’ তালিকাভুক্ত প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন।

ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম বলেন, প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা শুধু বেআইনিই নয় অসাংবিধানিকও। কারণ প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ১০ শতাংশের কম বা বেশিও হতে পারে। একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকেও তালিকার বাইরে রাখা যেমন বেআইনি, একইভাবে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় এমন একজনকেও তালিকাভুক্ত করা বেআইনি।