বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব দিগন্তে অবস্থিত ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলা। দেশের এই প্রান্তিক জনপদে প্রকৃতি যেন নিজ হাতেই সাজিয়েছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
সারি সারি হিজল, করছ সহ বিভিন্ন জাতের গাছ-পালা আর হাওরের বুকে জলজ উদ্ভিদ, লতা, গুল্ম, গুচ্ছ জলরাশি, বিরল ও বিলুপ্ত প্রায় নানা জাতের মৎস্য সম্পদ আর পাখির এক নিরাপদ আবাস্থল টাঙ্গুয়ার হাওর। শুধু তাই নয়, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও মূল্যবান সম্পদের কারণে টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের মানচিত্রে এক উজ্জল নক্ষত্র হয়ে রয়েছে। স্থানীয় লোকজনের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত। পাখির স্বর্গরাজ্যে নামেও পরিচিত। শীতের শুরু থেকে শেষ অবধি এ হাওরে বসে পাখিদের মিলনমেলা।
আর এসব পাখির বেশিরভাই পরিযায়ি। শীতকালে টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায় দ্বিগুণ। এসময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশ থেকে উড়ে আসে নানা প্রজাতির অতিথি পাখি। আর সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত ভিড় করেছেন ভ্রমণপিয়াসীরা। নীল আকাশে সাদা মেঘের খেলা। কখনো জমাট-আবার কখনো হালকা বাতাসে দলছুট হয়ে পাগলা ঘোড়ার মত উত্তরে দাঁড়ানো আকাশছোঁয়া বিশাল খাসিয়া পাহাড়ে গিয়ে আঁছড়ে পড়ছে। আর তারই প্রতিবিম্ব বিশাল টাঙ্গুয়ার হাওরে যখন ফুটে উঠে তখন বিস্মিত হতে হয় যে কাউকেই।
প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্য পাহাড় ও হাওরের জলরাশি তার নিচে জলজ উদ্ভিদ দেখতে হাজারো পর্যটক ছুটে চলেছেন, ঘুরছেন টাঙ্গুয়ায় আপন মনে।