১. ফিরে যান প্রকৃতির কাছে
প্রকৃতিকে রক্ষা করা আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ আপনাকে সেই কথাই মনে করিয়ে দিবে। সে কারণে নিজের কাজের থেকে সময় বের করে চলে যান প্রকৃতির কোলে । আশেপাশে অথবা সম্ভব হলে দূরে, দেখে নিন পৃথিবীর সৌন্দর্যকে।
২. কেনাকাটায় সচেতনতা
কেনাকাটায় বাড়তি সচেতন থাকুন । ভোক্তা হিসেবে এই পরিবেশ রক্ষার অভাবনীয় শক্তি রয়েছে আপনার হাতে । পরিবেশবান্ধব পণ্য ব্যবহার করুন কোনকিছু কেনার আগে নিজের কাছে প্রশ্ন রাখুন, আপনার সত্যিই প্রয়োজন আছে কীনা । সম্ভব হলে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ পণ্য কিনুন। বিশ্বের অনেক দেশের মানুষই এই অভ্যাস গড়ে তুলছে।
৩. খাদ্যের অপচয় নয়
আপনি জানেন কি, বিশ্বে যত খাদ্য উৎপাদন হয় তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়? আর এই অপচয় কমাতে আপনিও কিন্তু ভূমিকা রাখতে পারেন । যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু খাবার নিন, পুরোটা খেতে চেষ্টা করুন। তারপরও থেকে গেলে তা সার হিসেবে ব্যবহারের উপযোগী করুন । বাগানে, গাছে রাসায়নিক সারের বদলে এ ধরনের জৈব বর্জ্য ব্যবহার করুন।
৪. যন্ত্রের ব্যবহার
পৃথিবীতে এখন মানুষ অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে ইলেকট্রনিক্স কিংবা প্রযুক্তি পণ্যের সঙ্গে বেশি যুক্ত। পাখা, বাতি থেকে শুরু করে বহনযোগ্য ল্যাপটপ, মোবাইল কী নেই। এসব যন্ত্র অপ্রয়োজনে বন্ধ রাখুন। দীর্ঘসময়ের বিবেচনায় আপনি একাই বিপুল জ্বালানী সাশ্রয় করবেন । সহজ অভ্যাসটি উপকার করবে পৃথিবীর।
৫. আওয়াজ তুলুন
বিশ্বের সরকারগুলোকে জলবায়ু কর্মপরিকল্পনা গ্রহণে বাধ্য করুন । এজন্য আন্দোলনে সামিলহন, আওয়াজ তুলুন। শুধু রাস্তায়ই নামতে হবে এমনটা নয়। বন্ধু, প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পনা করুন কীভাবে আপনি স্থানীয় রাজনীতিবিদদের এই বিষয়ে চাপ দিতে পারেন । যেভাবেই হোক আওয়াজ তোলার বিকল্প নেই।
৬. খাদ্যাভ্যাস বদলান
স্বাস্থ্যের বিষয়ে বেশিরভাগ মানুষই সচেতন। খাদ্যগ্রহণে পৃথিবীর স্বাস্থ্যের বিষয়টিও মাথায় রাখুন । মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য যে খামার গড়ে উঠছে তা বনভূমি উচ্ছেদ ও কার্বন নিঃসরণের অন্যতম কারণ । প্রাণীজের বদলে তাই উদ্ভিজ্জ খাদ্য গ্রহণের অভ্যাস গড়ুন। এতে পরিবেশের উপর আপনার নেতিবাচক ভূমিকা হ্রাস পাবে।
৭. পুনর্ব্যবহারের বিকল্প নেই
বিশ্বে প্লাস্টিকের ব্যবহার ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে । এর মারাত্বক দূষণ ছড়িয়ে পড়েছে সমুদ্রে। প্রকৃতিকে বাঁচাতে হলে এইসব প্লাস্টিকের পুনর্ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। প্লাস্টিকের ব্যবহার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। অপ্রয়োজনীয় প্লাস্টিক যেখানে সেখানে না ফেলে তার নতুন ব্যবহার বের করুন।
৮. ভ্রমণে দায়িত্বশীলতা
যেখানে সম্ভব সাইকেল বা পায়ে হেটে যাতায়াত করুন। কার্বণ নিঃসরণে আপনার দায় কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায় এটি দূরপাল্লায় যতটা পারেন ব্যক্তিগত গাড়ি পরিহার করুন৷ উড়োজাহাজ বাদ দিয়ে সম্ভব হলে ভ্রমণ করুন ট্রেনে।
বিজনেস বাংলাদেশ/এম মিজান