রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য এম আব্দুস সোবহান বলেন, ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালি জাতির ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য দিন। বাঙালির সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির রূপরেখাও এই ঐতিহাসিক ভাষণেই রয়েছে।

১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানিদের অত্যাচার-নিপীড়ন আর সীমাহীন বঞ্চনার শৃঙ্খল ভেঙে বেরিয়ে আসার অমোঘ ঘোষণা। জাতির পিতার ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ স্লোগানে জনসমুদ্রে ‘জয় বাংলা’ মাধ্যমে উঠল জনতার ঢেউ।

বঙ্গবন্ধুর সেই কালজয়ী ভাষণের আহ্বানেই এ দেশের মানুষ দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মরণপণ সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে।

শনিবার সকালে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য দিবস : ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে (টিএসসিসি) আলোচনা সভায় রাবি উপাচার্য এসব কথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসময় উপাচার্য আরও বলেন, সেই বজ্রকণ্ঠ ভাষণেই শুরু হয়ে যায় সর্বস্তরের মানুষের রণপ্রস্তুতি। ৩০ লাখ বাঙালির রক্তে, ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার যে বিজয় মুকুট পরেছে বাংলাদেশ তার বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল সেই ভাষণে। ঐতিহাসিক এই দিনে স্বাধীনতার মহানায়ক, বাঙালি জাতির জনককে জানাই আমাদের অকুণ্ঠ শ্রদ্ধা।

উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকার, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই অনুষ্ঠানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল এবং শেখ রাসেল মডেল স্কুল আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের উপর রচনা প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক প্রফেসর মো. হাসিবুল আলম প্রধান অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদ, বিভাগ, ইনস্টিটিউট, আবাসিক হল ও ডরমিটরি, প্রশাসনিক অফিসসমূহ থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা শোভাযাত্রাসহ কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে আসে। সেখানে প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক প্রদান করেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ