০৩:১০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে- ডাঃ শাহাদাত

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন,গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার করতে শত কোটি টাকার দুর্নীতির হয়েছে। পর্দা দুর্নীতি, বালিশ দুর্নীতিতে সারা বিশ্বকে অবাক করেছে। ডাক্তার বদলি বাণিজ্য করেছে। বৈষম্যের শিকার হয়েছে শত শত ডাক্তার ।

গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। পরিপূর্ণ সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই দ্রুত সময়ে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকলকে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রামস্থ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গত ১৬ বছর মামলা হামলাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। বিএনপিসহ বিরোধীমতকে গুম খুন মামলা হামলা দায়ের করেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে কেটেছে নেতাকর্মীদের জীবন। শেখ হাসিনার মতো অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচার ইতিহাসে আর কোন সরকার করেনি।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। প্রতিটি সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে। তারা এখনো স্বৈরাচারী শক্তির হয়ে কাজ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসর আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবসময় চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোস করেননি। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা রাতের আঁধারে চলে গেছেন। এবারও দলের কথা চিন্তা না করে পালিয়ে গেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশনেত্রীকে বিদেশে দুই ছেলে নিয়ে চলে যেতে বলছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন তারেক কোকো নয় পুরো দেশে আমার ছেলে মেয়ে আছে। তাদের ফেলে আমি দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারব না। চিকিৎসা নিতে হলে আমি আমার দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিব।

ড্যাবের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসেরের সভাপতিত্বে এবং ডা.এস.এম রিয়াসাদ এবং ডা.মো.জাহিদুল এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডা.জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. তমিজউদ্দিন মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায় হোসেন ঢালী, ড্যাব নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সরওয়া আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি ডা.নুরুল করিম, ড্যাব চট্টগ্রাম সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, ডা.ইসা চৌধুরী, ডা. আরিফ হায়দার, ডা. শফিকুল রহমান, ডা.মিজানুর রহমান, ডা. জাবেদ জাহাঙ্গীর তুহিন, ডা. এরশাদ একরামুল্লা,ডা. আলিনুর বক্সীর, ডা. রেজাউল করিম, ডা. নুর আলম অরণ্য, ডা. আশিক সালাউদ্দিন, ডা. আব্দুল আল মামুন, ডা. ইফতেখার টিঠু,ডা. জাহেদ উদ্দিন, ডা. আরফিন রেজা, ডা. নাসিম রেজা, ডা.জিআরএম জিহাদুল ইসলাম, ডা. মাইনুল রিদওয়ান, ডা. আদনান, ডা. অপু, ডা. সোহাগ চক্রবর্তী, ডা. সরোয়ার, ডা. সালে, ডা. বেলাল, ডা. আলা আমিন, ডা.নাঈম, ডা. আসিফ, ডা. সোহাগ, ডা. শুভ, ডা.তাহমিন প্রমূখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস

ট্যাগ :

গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে- ডাঃ শাহাদাত

প্রকাশিত : ০৪:৩১:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেছেন,গত ১৬ বছরে স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট হয়েছে। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার করতে শত কোটি টাকার দুর্নীতির হয়েছে। পর্দা দুর্নীতি, বালিশ দুর্নীতিতে সারা বিশ্বকে অবাক করেছে। ডাক্তার বদলি বাণিজ্য করেছে। বৈষম্যের শিকার হয়েছে শত শত ডাক্তার ।

গণতান্ত্রিক সরকার ছাড়া পরিপূর্ণ সংস্কার সম্ভব নয়। পরিপূর্ণ সংস্কারের জন্য নির্বাচিত সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই দ্রুত সময়ে সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের কোনো বিকল্প নেই। সুষ্ঠ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে, জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে ইনশাআল্লাহ। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে সকলকে নিয়ে একটি উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে।

গতকাল সন্ধ্যায় নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে চট্টগ্রামস্থ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজের জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গত ১৬ বছর মামলা হামলাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করেছে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার। বিএনপিসহ বিরোধীমতকে গুম খুন মামলা হামলা দায়ের করেছে। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সপ্তাহে ছয়দিন আদালতে হাজিরা দিয়ে কেটেছে নেতাকর্মীদের জীবন। শেখ হাসিনার মতো অমানবিক নির্যাতন ও অত্যাচার ইতিহাসে আর কোন সরকার করেনি।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশ ও জাতির বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। প্রতিটি সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা রয়ে গেছে। তারা এখনো স্বৈরাচারী শক্তির হয়ে কাজ করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। আমাদের সবাইকে স্ব স্ব ক্ষেত্রে এসব বিষয়ে আওয়াজ তুলতে হবে। প্রতিটি সেক্টরে স্বৈরাচারের দোসর আছে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকদেরও ভূমিকা রাখতে হবে।

ডা.শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সবসময় চিকিৎসকদের উপর নির্ভর করেছেন। বেগম খালেদা জিয়া কখনো আপোস করেননি। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা রাতের আঁধারে চলে গেছেন। এবারও দলের কথা চিন্তা না করে পালিয়ে গেছেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় দেশনেত্রীকে বিদেশে দুই ছেলে নিয়ে চলে যেতে বলছেন। কিন্তু তিনি বলেছেন তারেক কোকো নয় পুরো দেশে আমার ছেলে মেয়ে আছে। তাদের ফেলে আমি দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারব না। চিকিৎসা নিতে হলে আমি আমার দেশের অভিজ্ঞ চিকিৎসক আছেন তাদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিব।

ড্যাবের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসেরের সভাপতিত্বে এবং ডা.এস.এম রিয়াসাদ এবং ডা.মো.জাহিদুল এর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড্যাব চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের সভাপতি ডা.জসিম উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি ডা. তমিজউদ্দিন মানিক, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ডা. আব্বাস উদ্দিন, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায় হোসেন ঢালী, ড্যাব নেতা ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. সরওয়া আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি ডা.নুরুল করিম, ড্যাব চট্টগ্রাম সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক, ডা.ইসা চৌধুরী, ডা. আরিফ হায়দার, ডা. শফিকুল রহমান, ডা.মিজানুর রহমান, ডা. জাবেদ জাহাঙ্গীর তুহিন, ডা. এরশাদ একরামুল্লা,ডা. আলিনুর বক্সীর, ডা. রেজাউল করিম, ডা. নুর আলম অরণ্য, ডা. আশিক সালাউদ্দিন, ডা. আব্দুল আল মামুন, ডা. ইফতেখার টিঠু,ডা. জাহেদ উদ্দিন, ডা. আরফিন রেজা, ডা. নাসিম রেজা, ডা.জিআরএম জিহাদুল ইসলাম, ডা. মাইনুল রিদওয়ান, ডা. আদনান, ডা. অপু, ডা. সোহাগ চক্রবর্তী, ডা. সরোয়ার, ডা. সালে, ডা. বেলাল, ডা. আলা আমিন, ডা.নাঈম, ডা. আসিফ, ডা. সোহাগ, ডা. শুভ, ডা.তাহমিন প্রমূখ।

বিজনেস বাংলাদেশ/ডিএস