০৫:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সোমবার (০৯ মার্চ)  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। আমরা কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করি, তারা কোথায় গেছে, কার সঙ্গে মিশেছে, কোন জায়গায় চা খেয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। এটা সম্পূর্ণ ডব্লিউএইচও প্রটোকল। কার সঙ্গে আমরা ফার্স্ট কন্ট্যাক্ট করব, সেকেন্ডে কাদেদের সঙ্গে কনট্যাক্ট করব, কিভাবে চিহ্নিত করব।

তিনি বলেন, কার সঙ্গে মিশেছে, কোথায় গেছে সে অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারবো না। তাদের যতো কন্টাক্ট আইডেন্টিফাই করেছি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ইতালি থেকে আসা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা বিমানবন্দর পেরিয়ে আসলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসবে বা অন্যকিছু হবে তা নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এটির উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে।’

যখন তিনি এসেছেন তখন কিন্তু তার উপসর্গ ছিলো না। ফলে আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেই, এমনকি স্ক্যানিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়বে না। তাদের একটি লোকটার ফর্ম দেয়া হয়েছে, সেখানে সে কিভাবে থাকবে তার তথ্য নেয়া হয়, আর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চলে আসবেন সেটি বলা হয়। আমরা সে ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় থাকলো, কি করছে। তারাও হটলাইনে যোগাগাযোগ করে জ্বর, কাশি হলে। এভাবে ১০০ জনকে আমরা টেস্ট করেছি যাদের এই উপসর্গ ছিলো। তাদের মধ্যে এই দুইজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিলো তাদের শরীরে ধরা পড়ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

করোনায় আক্রান্তদের সংস্পর্শে ৪০ জন কোয়ারেন্টাইনে

প্রকাশিত : ০৫:০৫:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ মার্চ ২০২০

করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।

সোমবার (০৯ মার্চ)  প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ফিরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

করোনা ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভবনা আছে। আমরা কন্ট্রাক্ট ট্র্যাকিং করি, তারা কোথায় গেছে, কার সঙ্গে মিশেছে, কোন জায়গায় চা খেয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা আক্রান্ত একজনের সংস্পর্শে আসা ৪০ জনকে ট্র্যাক করেছি, তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি। এটা সম্পূর্ণ ডব্লিউএইচও প্রটোকল। কার সঙ্গে আমরা ফার্স্ট কন্ট্যাক্ট করব, সেকেন্ডে কাদেদের সঙ্গে কনট্যাক্ট করব, কিভাবে চিহ্নিত করব।

তিনি বলেন, কার সঙ্গে মিশেছে, কোথায় গেছে সে অনুযায়ী তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এটার নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারবো না। তাদের যতো কন্টাক্ট আইডেন্টিফাই করেছি সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

ইতালি থেকে আসা যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তারা বিমানবন্দর পেরিয়ে আসলো কিভাবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস থাকলে সঙ্গে সঙ্গে জ্বর আসবে বা অন্যকিছু হবে তা নয়। ১৪ দিন পর্যন্ত এটির উপসর্গ হিডেন থাকতে পারে।’

যখন তিনি এসেছেন তখন কিন্তু তার উপসর্গ ছিলো না। ফলে আইডেন্টিফাই করার ব্যবস্থা নেই, এমনকি স্ক্যানিংয়ে তার জ্বর ধরা পড়বে না। তাদের একটি লোকটার ফর্ম দেয়া হয়েছে, সেখানে সে কিভাবে থাকবে তার তথ্য নেয়া হয়, আর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে চলে আসবেন সেটি বলা হয়। আমরা সে ক্ষেত্রে তাদের মোবাইল ট্র্যাকিং করি। তারা কোথায় থাকলো, কি করছে। তারাও হটলাইনে যোগাগাযোগ করে জ্বর, কাশি হলে। এভাবে ১০০ জনকে আমরা টেস্ট করেছি যাদের এই উপসর্গ ছিলো। তাদের মধ্যে এই দুইজন যারা বিদেশ থেকে এসেছিলো তাদের শরীরে ধরা পড়ছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ