বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়ানো করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বলছেন। কিন্ত কী আছে কোয়ারেন্টাইনে? কী করা হয় কোয়ারেন্টাইনে?
কোয়ারেন্টাইন অর্থ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে পৃথক রাখা। শাব্দিক অর্থে, ‘বাড়িতে বা বদ্ধ ঘরে থেকে (নিরাপদ স্থানে) থেকে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুশীলন করা।’
কোয়ারেন্টাইন মানে এই নয় যে আপনাকে আলাদা করে রাখা হল। যদি কারও মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়, তাহলে তাকে জনবহুল এলাকা থেকে দূরে রাখতে ও ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে তাকে স্বল্প সময়ের (১৪ দিন) জন্য আলাদা করে রাখা হয়।
তবে কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানে আপনার ফোন নিয়ে যাওয়া হবে না। এমনকি প্রতিনিয়ত ব্যবহার্য অন্যসব জিনিসপত্রও কেড়ে নেওয়া হবে না।
করোনার উপস্থিতি ১৪ দিনের মধ্যে আক্রান্তের শরীরে পাওয়া যায়। যার জন্য এই ১৪ দিনে উপসর্গ পাওয়া রোগীর সংক্রমণ বাড়ে কিনা তা নিরীক্ষণ করা হয়। করোনারভাইরাসগুলো ধীরে ধীরে সুস্থ কোষের সঙ্গে মিশে। আর এই সময়ের মধ্যে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে নিয়মিত সময়ে শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা ও জ্বর কমাতে ওষুধ গ্রহণসহ ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুশীলন করানো হয়।
করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যবহার করা টাওয়াল, খাবারের পাত্র ও অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় ব্যবহৃত জিনিসগুলো দিয়েও ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর জন্যই কোয়ারেন্টাইনে উপসর্গ পাওয়া মানুষদের রাখা হয়।
এদিকে করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বিভিন্ন নির্দেশনা দিচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এর মধ্যে হাত না ধুয়ে নিজের চোখ, মুখ ও নাক স্পর্শ না করা। আর প্রতিদিন কয়েকবার সাবান বা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে।
করোনার উৎপত্তিস্থল চীনে সর্বপ্রথম কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। আর সর্বশেষ ইতালি দেশটির ১৬ মিলিয়ন মানুষকে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য আদেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্বের যে জায়গায় করোনার উপসর্গ বা আক্রান্তপ্রাপ্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে, তখনই তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

























