বিয়ের পর ফুরফুরে মেজাজে ক্রিকেটে ফেরেন সৌম্য সরকার। ডাক পান জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে। এর পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলেও থেকে যান তিনি। কিন্তু এর মধ্যেই আরেকবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। তবে শেষ পর্যন্ত সেই তালিকা ঘোষণার একদিন পর যুক্ত হলেন তিনি।
দেশের ক্রিকেটে ঝকঝকে তারার মতো আবির্ভাব ঘটে সৌম্যর। শুরু থেকেই আলোচনায় তিনি। মাঝে ব্যাটিং খারাপ করলেও বোলিং দিয়ে পুষিয়ে দেন এ ব্যাটিং অলরাউন্ডার। সার্বিক বিচারে ২০২০ সালের বিসিবির চুক্তিতে ছিলেন তিনি! কিন্তু নির্বাচকদের ভুলের কারণে সেই খাতায় নাম ওঠেনি তার! ফলে তাকে ছাড়া চুক্তিভুক্ত ১৬ ক্রিকেটারের তালিকা প্রকাশ করে বোর্ড।
এতে সমালোচনার ঝড় ওঠে। যার রোশানলে পড়ে সেই ভুল সংশোধন করে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে বিসিবি। তাতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন সৌম্য। এ নিয়ে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটারের সংখ্যা দাঁড়াল ১৭ জনে। সেই সঙ্গে দুই বছর পর আবার বোর্ডের চুক্তিতে ফিরলেন তিনি।
লাল-সবুজ জার্সি গায়ে ভালোমন্দ মিলিয়ে সময় কাটিয়েছেন সৌম্য। মাঝে ঘটে ছন্দপতন। পরে ২০১৮ এশিয়া কাপ দিয়ে ফর্মে ফেরেন তিনি। ২০১৯ সালটাও ভালো কাটে তার। যদিও বিশ্বকাপে নিজের সেরাটা প্রদর্শন করতে পারেননি। তবে বিশ্বমঞ্চে নামার আগে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে ভালো খেলেন তিনি। তাতে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক টুর্নামেন্ট জেতে বাংলাদেশ।
ভালো খেলেন ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও। ওই বছর তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩০ ম্যাচ খেলেন টাইগাররা। এর মধ্যে ২৫টিতেই দলে ছিলেন সৌম্য। জাতীয় দলের হয়ে ১৮ ওয়ানডে ম্যাচের ১৭টিতে খেলে করেন ৫০৬ রান। পাশাপাশি শিকার করেন আট উইকেট। সেই পারফরম্যান্স মূল্যায়ন করেই তাকে সাদা বলের চুক্তিতে রেখেছে বিসিবি। অর্থাৎ নতুন বছরে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে চুক্তিতে রয়েছেন তিনি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ