০১:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা অবৈধ: হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা দেয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজাও বাতিল করেছে উচ্চ আদালত।

বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

এর আগে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১১ মার্চ দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দিলো উচ্চ আদালত।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দণ্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আদালতের আদেশে পরে এসব শিশুদের মুক্তি দেয়া হয়।

‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত শিশুদের মুক্তির নির্দেশ ও রুল জারি করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলেছে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সমান্তরালভাবে আরেকটি বিচার বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে, যা সংবিধানের মূল কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ায় শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ

ট্যাগ :

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা অবৈধ: হাইকোর্ট

প্রকাশিত : ০৫:২১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মার্চ ২০২০

ভ্রাম্যমাণ আদালতে শিশুদের সাজা দেয়া অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ১২১ শিশুকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া সাজাও বাতিল করেছে উচ্চ আদালত।

বুধবার (১১ মার্চ) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার। আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।

এর আগে মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে জারি করা রুলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য ১১ মার্চ দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে আজ রায় দিলো উচ্চ আদালত।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের দেয়া দণ্ডে যশোর ও টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে অন্তরীণ ১২১ শিশুকে মুক্তির নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শিশুদের দেয়া দণ্ড ও আটকাদেশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। আদালতের আদেশে পরে এসব শিশুদের মুক্তি দেয়া হয়।

‘আইনে মানা, তবু ১২১ শিশুর দণ্ড’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদনটি নজরে নিয়ে আদালত শিশুদের মুক্তির নির্দেশ ও রুল জারি করেন।

রায়ের পর্যবেক্ষণে উচ্চ আদালত বলেছে, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সমান্তরালভাবে আরেকটি বিচার বিভাগ তৈরি করা হচ্ছে, যা সংবিধানের মূল কাঠামোর সাথে সাংঘর্ষিক। পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাজা দেয়ায় শিশুরা তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ আরিফ