০১:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

চট্টগ্রামে ১০ মাসের বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত

চন্দনাইশ পূর্ব জোয়ারা এলাকার মোবারক খলিফার বাড়িতে ১০ মাসের এক বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত বাচ্চাটির নাম মো. আবিদ। ১০ মাস বয়সী এই শিশুর শরীরে কোভিড’১৯ সনাক্ত হয়েছে।

সে চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে নিউমোনিয়া জনিত কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দুসপ্তাহ যাবত চিকিৎসা নিয়ে ১২ই এপ্রিল তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার দুইদিন পর পূনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে তাকে আবার গত ১৪ই এপ্রিল প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে এরপর পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সুস্থ হলে নিজ বাড়ি পূর্ব জোয়ারা বাডিতে ফিরে আসেন।

২দিন পর গত ১৭ই এপ্রিল জ্বর আর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে সরাসরি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রিপোর্টে কভিড’১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।

সে এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে রিপোর্ট পজেটিভ জানার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম ডা.শেখ ফজলে রাব্বীর পরামর্শে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন চন্দনাইশ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.শাহীন হাসান চৌধুরী।

এই বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএচএফপিও) ডা. শাহীন হাসান চৌধুরী জনান গত এক মাস আগে জ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়।সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলে গত এক সপ্তাহ আগে আবার জ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে সেখানে করোন পজেটিভ আসে।

এখানে উল্লেখ্য একইদিনে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য জেলায় আরো ৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান

ট্যাগ :

চট্টগ্রামে ১০ মাসের বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত : ০৯:২৪:০৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

চন্দনাইশ পূর্ব জোয়ারা এলাকার মোবারক খলিফার বাড়িতে ১০ মাসের এক বাচ্চা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত বাচ্চাটির নাম মো. আবিদ। ১০ মাস বয়সী এই শিশুর শরীরে কোভিড’১৯ সনাক্ত হয়েছে।

সে চলতি এপ্রিল মাসের শুরুতে নিউমোনিয়া জনিত কারণে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দুসপ্তাহ যাবত চিকিৎসা নিয়ে ১২ই এপ্রিল তার নিজ বাড়িতে ফিরে আসে। বাড়িতে আসার দুইদিন পর পূনরায় অসুস্থ হয়ে পড়ে।

পরে তাকে আবার গত ১৪ই এপ্রিল প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জরুরী বিভাগে এরপর পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সুস্থ হলে নিজ বাড়ি পূর্ব জোয়ারা বাডিতে ফিরে আসেন।

২দিন পর গত ১৭ই এপ্রিল জ্বর আর শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে তাকে সরাসরি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। গতকাল মঙ্গলবার রিপোর্টে কভিড’১৯ পজেটিভ ধরা পড়ে।

সে এখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ২০ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে রিপোর্ট পজেটিভ জানার পর চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির ও সিভিল সার্জন চট্টগ্রাম ডা.শেখ ফজলে রাব্বীর পরামর্শে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় আক্রান্তের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করেন চন্দনাইশ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.শাহীন হাসান চৌধুরী।

এই বিষয়ে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএচএফপিও) ডা. শাহীন হাসান চৌধুরী জনান গত এক মাস আগে জ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি হয়।সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে নিয়ে আসলে গত এক সপ্তাহ আগে আবার জ্বর নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করলে সেখানে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করা হলে সেখানে করোন পজেটিভ আসে।

এখানে উল্লেখ্য একইদিনে চট্টগ্রাম বিভাগের অন্য জেলায় আরো ৩ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান