০৩:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে যুক্ত হতে পারে ভাটিয়ারী (বিএসবিএ) হাসপাতাল

ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে অধিগ্রহণ করা প্রস্তাব পেয়ে পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সরকারের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আজ (২৮ মে) বেলা ১২টার সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) ৬ তলার ১০০ শয্যার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তারা ঘন্টা খানেক হাসপাতালটি ঘুরে বিভিন্ন অবকাঠামোর কোনও ত্রুটি আছে কিনা সেটিও দেখেন। পরিদর্শন শেষে সকলে মোটামুটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের এই হাসপাতালটিতে ১০০টি বেড প্রস্তুত আছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে নেই কোনও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। ফলে করোনা আক্রান্ত কোনও মুমূর্ষু রোগীর আইসিইউ সেবা প্রয়োজন হলেও সেটি দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শনে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির
বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, বিএসবিএ বোর্ড মেম্বার নাঈম আহম্মদ শাহ, সীতাকুণ্ড থানার সার্কেল এসপি শম্পা সাহা, অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা।
পরিদর্শন ও পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বিজনেস বাংলাদেশ কে বলেন বিএসবিএ কতৃপক্ষের আহবানে সাড়া দিয়ে আমি, মেয়র মহোদয় সহ ভাটিয়ারীস্হ বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শন করে এসেছি এ হাসপাতাল কে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার ব্যপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার সাপেক্ষে পরিকল্পনা গ্রহণে অগ্রসর হব। কত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন উচছ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর জানানো যাবে।
বিএসবিএর সচিব মোহাম্মদ নাজমুল বলেন, বিএসবিএর হাসপাতালটি সিটি মেয়রসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখে গেছেন। টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্তের পর জানতে পরবো হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না।
মাদার স্টিল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাষ্টার আবুল কাশেম বলেন এই জাতির এমন দূসময়ে সকলেরই উচিত করোনা আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানো, বিএসবিএ হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে বলবনা, বিএসবিএ পরিচালনা পর্ষদ এই বিষয়ে বলবেন, আমার ব্যক্তগত অভিমত চাইলে বলতে পারি বিএসবিএ হাসপাতাকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করা হলে সেখানে সীতাকুণ্ডবাসীর জন্য কিছু নিদিষ্ট বেড বরাদ্দ রাখার দাবি থাকবে।
আরেফিন এন্টারপ্রাইজ শিপ ইয়ার্ডের মালিক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এই হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নেওয়া হলে। মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস আগে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন সংসদ (চট্টগ্রাম ৪) আসনের আলহাজ্ব দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ও সাবেক সিভিল সার্জন। স্থানীয় জনগণ মনে করেন হাসপাতালটি যদি করোনা রোগীদের জন্য নেওয়া হয় তাহলে এলাকার মানুষের বড় উপকার হবে। কারণ উপজেলা ভিত্তিক করোনা আক্রান্ত সংখ্যার দিক দিয়ে সীতাকুণ্ড অবস্থান প্রথম। উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন্য এবং মৃত্যু বরণ করেছে দুইজন।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক

 

জনপ্রিয়

আমি কুমিল্লার মানুষের হৃদয়ে নাম লিখতে চাই : নবাগত জেলা প্রশাসক

আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে যুক্ত হতে পারে ভাটিয়ারী (বিএসবিএ) হাসপাতাল

প্রকাশিত : ০১:০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার হিসাবে অধিগ্রহণ করা প্রস্তাব পেয়ে পরিদর্শন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ সরকারের বেশ কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
আজ (২৮ মে) বেলা ১২টার সময় চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারীতে অবস্থিত বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) ৬ তলার ১০০ শয্যার হাসপাতালটি পরিদর্শন করেছেন সরকারের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
তারা ঘন্টা খানেক হাসপাতালটি ঘুরে বিভিন্ন অবকাঠামোর কোনও ত্রুটি আছে কিনা সেটিও দেখেন। পরিদর্শন শেষে সকলে মোটামুটি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগীর চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামের এই হাসপাতালটিতে ১০০টি বেড প্রস্তুত আছে। কিন্তু হাসপাতালটিতে নেই কোনও ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)। ফলে করোনা আক্রান্ত কোনও মুমূর্ষু রোগীর আইসিইউ সেবা প্রয়োজন হলেও সেটি দেওয়া সম্ভব হবে না।
বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শনে চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির
বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শনের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডাক্তার ফজলে রাব্বি, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান, বিএসবিএ বোর্ড মেম্বার নাঈম আহম্মদ শাহ, সীতাকুণ্ড থানার সার্কেল এসপি শম্পা সাহা, অফিসার ইনচার্জ মো. ফিরোজ হোসেন মোল্লা।
পরিদর্শন ও পরবর্তী পরিকল্পনা বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি বিজনেস বাংলাদেশ কে বলেন বিএসবিএ কতৃপক্ষের আহবানে সাড়া দিয়ে আমি, মেয়র মহোদয় সহ ভাটিয়ারীস্হ বিএসবিএ হাসপাতাল পরিদর্শন করে এসেছি এ হাসপাতাল কে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার ব্যপারে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় সহ  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনার সাপেক্ষে পরিকল্পনা গ্রহণে অগ্রসর হব। কত দিনের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন বলে মনে করেন এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন উচছ পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর জানানো যাবে।
বিএসবিএর সচিব মোহাম্মদ নাজমুল বলেন, বিএসবিএর হাসপাতালটি সিটি মেয়রসহ সরকারের কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা দেখে গেছেন। টেকনিক্যাল কমিটির মিটিংয়ে সিদ্ধান্তের পর জানতে পরবো হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য ব্যবহার করা হবে কি না।
মাদার স্টিল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাষ্টার আবুল কাশেম বলেন এই জাতির এমন দূসময়ে সকলেরই উচিত করোনা আক্রান্তের পাশে দাঁড়ানো, বিএসবিএ হাসপাতাল করোনা আইসোলেশন সেন্টার করার ব্যপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে বলবনা, বিএসবিএ পরিচালনা পর্ষদ এই বিষয়ে বলবেন, আমার ব্যক্তগত অভিমত চাইলে বলতে পারি বিএসবিএ হাসপাতাকে করোনা আইসোলেশন সেন্টার করা হলে সেখানে সীতাকুণ্ডবাসীর জন্য কিছু নিদিষ্ট বেড বরাদ্দ রাখার দাবি থাকবে।
আরেফিন এন্টারপ্রাইজ শিপ ইয়ার্ডের মালিক মোহাম্মদ কামাল উদ্দীন জানান, জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে এই হাসপাতালটি করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য নেওয়া হলে। মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবে।
উল্লেখ্য, গত দেড় মাস আগে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিএ) হাসপাতালটি পরিদর্শন করেন সংসদ (চট্টগ্রাম ৪) আসনের আলহাজ্ব দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের বর্তমান পরিচালক ও সাবেক সিভিল সার্জন। স্থানীয় জনগণ মনে করেন হাসপাতালটি যদি করোনা রোগীদের জন্য নেওয়া হয় তাহলে এলাকার মানুষের বড় উপকার হবে। কারণ উপজেলা ভিত্তিক করোনা আক্রান্ত সংখ্যার দিক দিয়ে সীতাকুণ্ড অবস্থান প্রথম। উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭২ জন্য এবং মৃত্যু বরণ করেছে দুইজন।
বিজনেস বাংলাদেশ / আতিক