০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আসছে করোনা ধ্বংসকারী ইলেকট্রনিক মাস্ক

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মাস্কের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল তুরস্কের আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ডাক্তার তৈরি করেছেন ইলেকট্রনিক মাস্ক। এই মাস্ক রোগ-জীবাণুর পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জীবাণুও ধ্বংস করতে সক্ষম।

পাশাপাশি এটি পরা থাকলে করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসযন্ত্র, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে জীবাণু ছড়াতে পারবে না। মূলত জীবাণু মারতে সক্ষম আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেস ব্যবহার করা হয়েছে এই মাস্কে।

আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ডাক্তার তাদের চলমান প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই মাস্ক তৈরি করেছেন। তাদের একজন ডাক্তার তারিক ইলমাজ মাস্কের বিষয়ে বলেন, ‘প্রথমে আমরা বহনযোগ্য ও নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হতে পারে এমন মাস্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে এমন মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আগাই।

১৯০০ সাল থেকে গবেষণায় দেখা গেছে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ভাইরাস মারতে পারে। মাস্কে এই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি যুক্ত ও কার্যকর করাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। বেশ সময়ও লেগেছে। অবশেষে মাস্কে আমরা এই প্রযুক্তি যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এটার পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেসও তৈরি করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাস্কের মধ্যে আমরা একটা ফিল্টার তৈরি করেছি যেটা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে পরিস্কার থাকবে। ফিল্টারে কোনো ভাইরাস ধরা পড়লে সেটাকে ধ্বংস করবে। ইতিমধ্যে আমরা এটার মেধাস্বত্ত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছি। সেটা পেয়ে গেলেই আমরা এটা উন্মুক্ত করবো।’

ডাক্তার তারিক বলেছেন, ‘এটা মূলত পাওয়ার ব্যাংক থেকে শক্তি নিবে। আর সেটার মাধ্যমে একটানা ১২ ঘণ্টা চলবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

আসছে করোনা ধ্বংসকারী ইলেকট্রনিক মাস্ক

প্রকাশিত : ০৫:০৪:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩০ মে ২০২০

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে মাস্কের চাহিদা। এমন পরিস্থিতিতে সেন্ট্রাল তুরস্কের আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ডাক্তার তৈরি করেছেন ইলেকট্রনিক মাস্ক। এই মাস্ক রোগ-জীবাণুর পাশাপাশি করোনাভাইরাসের জীবাণুও ধ্বংস করতে সক্ষম।

পাশাপাশি এটি পরা থাকলে করোনা আক্রান্ত রোগীর শ্বাসযন্ত্র, হাঁচি-কাশির মাধ্যমে জীবাণু ছড়াতে পারবে না। মূলত জীবাণু মারতে সক্ষম আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ও ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেস ব্যবহার করা হয়েছে এই মাস্কে।

আকসারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন ডাক্তার তাদের চলমান প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই মাস্ক তৈরি করেছেন। তাদের একজন ডাক্তার তারিক ইলমাজ মাস্কের বিষয়ে বলেন, ‘প্রথমে আমরা বহনযোগ্য ও নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হতে পারে এমন মাস্ক তৈরি করার চেষ্টা করেছি। এরপর আমরা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করতে পারে এমন মাস্ক তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে আগাই।

১৯০০ সাল থেকে গবেষণায় দেখা গেছে আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি ভাইরাস মারতে পারে। মাস্কে এই আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি যুক্ত ও কার্যকর করাটা ছিল চ্যালেঞ্জিং। বেশ সময়ও লেগেছে। অবশেষে মাস্কে আমরা এই প্রযুক্তি যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এটার পাশাপাশি ইলেকট্রিক্যাল সিলভার বেসও তৈরি করেছি। এর মধ্য দিয়ে আমরা জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংসকারী মাস্ক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘মাস্কের মধ্যে আমরা একটা ফিল্টার তৈরি করেছি যেটা আল্ট্রাভায়োলেট রশ্মি দিয়ে জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে পরিস্কার থাকবে। ফিল্টারে কোনো ভাইরাস ধরা পড়লে সেটাকে ধ্বংস করবে। ইতিমধ্যে আমরা এটার মেধাস্বত্ত্ব পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছি। সেটা পেয়ে গেলেই আমরা এটা উন্মুক্ত করবো।’

ডাক্তার তারিক বলেছেন, ‘এটা মূলত পাওয়ার ব্যাংক থেকে শক্তি নিবে। আর সেটার মাধ্যমে একটানা ১২ ঘণ্টা চলবে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর