সারাদেশের ন্যায় চিরিরবন্দর উপজেলায় ২০২০খ্রীঃ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এ বছর উপজেলার সাধারণ শাখায় ৬৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মোট ৪,৪০৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয় ৩৭৯২জন, পাশের হার ৮২.৭৩%, কারিগরি শাখায় ৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে কৃতকার্য হয় ১২১জন, পাশের হার ৭২.২১% ও মাদ্রাসা শাখায় ৩৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৭৬৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতকার্য হয় ৭৫১জন, পাশের হার ৮২.৩১%।
সার্বিক বিবেচনায় ফলাফলের দিক দিয়ে উপজেলার “চিরিরবন্দর আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল” সবার শীর্ষে এবং আন্ত শিক্ষা বোর্ডে ৪র্থ স্থানে। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবছর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ১১০ জন, এর মধ্যে ১১০ জনই জিপিএ ৫ সহ শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মনজুরুল হক জানান, কর্তৃপক্ষের নিবিড় তত্তাবধান ও শিক্ষকদের কঠোর পরিশ্রম সর্বপরি শিক্ষার্থীদের অধ্যাবসায়ের ফলে এই প্রতিষ্ঠানে খুব ভাল ফলাফল অর্জন করেছে।
আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ ও শিক্ষকদের দায়িত্ববোধ ও শিক্ষার্থীদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এ ফলাফল অর্জিত হয়েছে।
অপরদিকে উপজেলার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিটি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল। প্রতিষ্ঠানটি থেকে মোট ৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৬২ জন জিপিএ ৫ সহ শতভাগ কৃতকার্য হয়েছে। জিপিএ ৫ এর হার ৯৯%।
চিরিরবন্দর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শতবর্ষী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিরিরবন্দর সরকারী মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বছর এ প্রতিষ্ঠান থেকে ১০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে, এর মধ্যে ৮৫ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে। উল্লেখ্য যে অত্র প্রতিষ্ঠানের কারিগরি শাখায় ৬জন জিপিএ ৫ পেয়ে উপজেলার শীর্ষ স্থানে রয়েছে।
এছাড়াও চিরিরবন্দরে বেশ কয়েকটি ভাল মানের প্রতিষ্ঠান রয়েছে, ওই প্রতিষ্ঠানগুলিও ভাল ফলাফল করেছে।
অপরদিকে আমেনা বাকী রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল থেকে ১৬৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৪৮ জন জিপিএ ৫, সানলাইট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১০৪ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৫৬ জন জিপিএ ৫ পেয়েছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ইমরান



















