করোনাভাইরাসে শনাক্তের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশে চরম গড়িমসি করছে সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। প্রথম দিকে এ প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে হেলথ বুলেটিন প্রচারের ৭-৮ ঘণ্টা পর জেলা ও শহরভিত্তিক শনাক্তের তথ্য প্রকাশ হলেও দিনে দিনে বিলম্বের সময়টাই বেড়েছে। কিছুদিন বাদে একদিনের তথ্য পরদিন প্রকাশ করা হলেও এখন পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, জেলা ও শহরভিত্তিক তথ্য প্রকাশ হচ্ছে দুই দিন পর।
একদিকে জেলাগুলোর সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশ হচ্ছে করোনাভাইরাস শনাক্তের আপডেটেড তথ্য, অন্যদিকে আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে ঝুলছে দুদিন আগের পুরনো তথ্য। এতে যেমন সংবাদকর্মীরা বিপাকে পড়ছেন, তেমনি এই দুর্যোগের সময়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আজ মঙ্গলবার (২ জুন) দুপুর আড়াইটায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পক্ষ থেকে করোনা বিষয়ে গত ২৪ ঘণ্টার হালনাগাদ তথ্যের বুলেটিন প্রচারের পর আইইডিসিআরের ওয়েবসাইটে ঢুকে দেখা যায়, সেখানে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঝুলছিল ৩১ মে’র জেলা ও শহরভিত্তিক তথ্য। অর্থাৎ ২ জুনের সর্বশেষ তথ্য তো বহুদূর, ১ জুনের তথ্যই প্রকাশ হয়নি।
১ জুন রাত সাড়ে ৯টার দিকে আইইডিসিআরেরর ওয়েবসাইটে ঝুলছিল ৩০ মে’র তথ্য। তারও অনেক পরে প্রকাশ করেছে ৩১ মে’র তথ্য। অর্থাৎ এখন এই অতিবিলম্বটাকেই ‘নিয়ম’ বানিয়ে ফেলেছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিষ্ঠান আইইডিসিআর।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর দিকে দিনের তথ্য দিনেই হালনাগাদ করতো আইইডিসিআর। তবে সে সময়ও এ তথ্য পেতে অপেক্ষা করতে হতো গভীর রাত পর্যন্ত। এরপর এ হালনাগাদের তথ্য প্রকাশের সময় গড়ায় পরদিনে। সংশ্লিষ্টদের অনীহায় শনাক্তের হালনাগাদ তথ্য প্রকাশের সময় এখন পিছিয়ে দুই দিনে পৌঁছে গেছে।
যদিও দেশে করোনা শনাক্ত হওয়ার প্রথম দিকে আক্রান্ত, মৃত ও সুস্থ রোগীসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য জানাতো আইইডিসিআরই। কিছুদিন পর আইইডিসিআরের সেই দায়িত্ব নিয়ে নেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে অধিদফতর সংক্ষিপ্ত বুলেটিন প্রকাশ করলেও কোন জেলায় বা ঢাকা মহানগরীর কোন এলাকায় কত আক্রান্ত— এসবের বিস্তারিত তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে আসছে আইইডিসিআর। আর হালনাগাদ তথ্য না পেয়ে গণমাধ্যমকে থাকতে হচ্ছে পুরনো তথ্যের বৃত্তে, সাধারণ মানুষ পড়ছে বিভ্রান্তিতে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

























