গত ৫জুন অনুষ্ঠিত রোটারি ক্লাব অব চিটাগং হিলটাউনের বোর্ডসভায় ক্লাব ভাইস-প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আলমগীরকে সর্বসম্মতিক্রমে আগামী রোটাবর্ষের(২০২০-২০২১)সভাপতি নির্বাচন করা হয়। আগামী ১ জুলাই থেকে ৩০জুন পর্যন্ত (একবছর)রোটারিয়ান আলমগীর এ ক্লাবের সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
রোটারি ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি, জেলা গভর্নর, ক্লাব সভাপতি-সেক্রেটারিসহ সকল পদের মেয়াদ একবছর। সমাজউন্নয়ন সংগঠন অর্গানাইজেশন ফর দ্য পুওর কমিউনিটি অ্যাডভান্সমেন্ট(অপকা)’র প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর আমজনতার আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরের সুবিধাবঞ্চিত ও অবহেলিত মানুষের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার প্রত্যয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। চাকরি-বাকরি ছাড়াও জীবনে প্রতিষ্ঠালাভের নানান পথ রয়েছে।
আত্মপ্রত্যয় ও ইচ্ছাশক্তি থাকলে শুধু নিজেকে প্রতিষ্ঠা নয়, সমাজউন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় অগ্রগতি ও উন্নয়নে যে অবদান রাখা যায় ;মাতৃভূমির সীমানা ডিঙ্গিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নিজেকে তোলে ধরা যায়-তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত অপকা’র স্বপ্নদ্রষ্টা রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর।দীর্ঘসময় ধরে সমাজউন্নয়নে ধারাবাহিকভাবে কাজ করে একজন সফল এনজিও ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি নিজস্ব জায়গা করে নিয়েছেন।
দারিদ্র্য বিমোচন, নিরক্ষরতা দূরিকরণ, বনায়ন, বেকারসমস্যার সমাধান,প্রতিবন্ধী ও উপজাতি লোকজনের অবস্থার উন্নয়ন, ধূমপান ও মাদকতাবিরোধী অভিযান, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ক্রীড়াসহ বিভিন্ন সমাজউন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আলমগীরের হাতেগড়া সংগঠন অপকা এ দেশে বিশেষকরে মীরসরাইসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের আপামর জনগণের মধ্যে শক্তিশালী অবস্থান করে নিয়েছে।বহু দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত সহায়হীন মানুষ আলমগীরের স্বপ্নের কাছে নানানভাবে ঋণী।
অপকা এখন শুধু একটি সংগঠনের নাম নয়, সামাজিক বিপ্লবের সমার্থক শব্দ হিসেবে জনমনে ঠাঁই করে নিয়েছে। কালক্রমে অপকা আর আলমগীর এখন একাকার ; আলমগীর এখন শুধু ব্যক্তিবিশেষ নন, প্রতিষ্ঠান। এদিকে রোটারিয়ান আলমগীর তাঁর জন্মস্থান মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গা ঘেঁষে কয়েককোটি টাকা ব্যয়ে মীরসরাই অটিজম সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছেন। মানবতাবাদী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রোটারি ইন্টারন্যাশনাল এ মহতি উদ্যোগকে সক্রিয় সমর্থন জানিয়েছে। এ বিশাল প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্যে রোটারিয়ান মোহাম্মদ আলমগীর নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। রোটারিয়ান আলমগীর ১৯৭১ সালের ২ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ হাজ্বীস্বরাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।বাবা মরহুম সফিউল্যাহ মা জরিনা বেগম।
৩ভাই ও ১বোনের মধ্যে আলমগীর দ্বিতীয়। তিনি স্থানীয় উত্তর হাজীস্বরাই নিরদাসুন্দরী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক, জোরারগঞ্জ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি (১৯৮৬) বিজ্ঞানে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন।নিজামপুর কলেজ থেকে এইচএসসি (১৯৮৮) ও বিএসএস (১৯৯০) ও চট্টগ্রাম কলেজ থেকে এমএসএস (১৯৯৫) ডিগ্রি লাভ করেন।
রোটারিয়ান আলমগীর মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটি’র উপদেষ্টা, মীরসরাই কবিতা পরিষদের পৃষ্টপোষক, মীরসরাই উপজেলা সৌহার্দ্য সমন্বয় কমিটির সদস্য-সচিব, চট্টগ্রাম পিইইআর এর টীমলিডার, সিএএইচডি নেটওয়ার্কএর মহাসচিব, উত্তর হাজিস্বরাই জামেমসসিদ পরিচালনা কমিটির সাবেক সম্পাদক ও বর্তমান সদস্য, মীরসরাই সড়ক যোগাযোগ ও নিরাপত্তা কমিটি, উপজলা জন্মনিবন্ধন টাক্সফোর্স, মসজিদভিত্তিক গণশিক্ষা কার্যক্রম, উপজেলা প্রতিবন্ধী ও এসিডদগ্ধ কমিটি উপকূলীয় বনায়ন কমিটির সদস্য।
এছাড়া তিনি বারইয়াহাট জন্মনিবন্ধন টাক্সফোর্স, মীরসরাই উপজেলা স্যানিটেশন কমিটি, দুর্নীতি দমন কমিটি ও বারইয়াহাট ডিগ্রি কলেজ পরিচালনা পরিষদের সদস্য।অন্যদিকে তিনি আর্থ-সামাজিক উন্নয়নমূলক ম্যাগাজিন ‘উন্নয়ন’ এর সম্পাদক ও মীরসরাই বার্তা’র ম্যানেজিং পার্টনার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। ব্যক্তিগতজীবনে আলমগীর এককন্যা ও একপুত্র সন্তানের জনক।
সহধর্মিনীর নাম নুরসাত জাহান কলি।তাদের মেয়ে ইসরাত জাহান আকিকা আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ ফার্স্ট সেমিস্টার-এ আর ছেলে মুহাম্মদ আহনাফ আবরার ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। রোটারিয়ান আলমগীর ভারত, নেপাল, জাপান, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড, জার্মানী, থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ সফর করেন।























