০১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

মাদারীপুরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জনের মৃত্যু

মাদারীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শনিবার রাতে শহরের পানিছত্র আলজাবির উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন:মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (ব্রাদার) মো. শহিদুল ইসলাম (৫২)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের খালাশীকান্দি গ্রামের মোহসিন উদ্দিন খালাশীর ছেলে ও মাদারীপুর শহরের পানিছত্র আলজাবির উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় আবদুল লতিফ হাওলাদার (৬৫)।

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স মো. শহিদুল ইসলাম করোনা উপসর্গ জ্বর ও কাশি নিয়ে গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং করোনার টেস্ট করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রোববার ভোরে তিনি মারা যান।

এদিকে শহরের পানিছত্র এলাকার মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

মৃত আবদুল লতিফ হাওলাদারের ভাগিনা মিলটন জানান, শনিবার সকালে মামাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনা টেস্ট করার জন্য। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্যরা কেউ তার নমুনা সংগ্রহ করেননি।

তাকে ভর্তিও করেননি। বাড়িতে রাতে মারা যাওয়ার পর সিভিল সার্জন অফিস থেকে লোক এসে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (ব্রাদার) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন।

পানিছত্র এলাকার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিকে তার স্বাজনরা হাসপাতালে করোনা টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে আসে। করোনা টেস্ট করানো মানুষের দীর্ঘলাইন দেখে তারা নিজেরা বাড়ি ফিরে যান।

এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতজন। রোববার সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৫০ জন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ

মাদারীপুরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত : ০৩:২৮:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

মাদারীপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী ও করোনা উপসর্গ নিয়ে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার ভোরে চিকিৎসাধীন থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও শনিবার রাতে শহরের পানিছত্র আলজাবির উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় নিজ বাড়িতে তাদের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন:মাদারীপুর সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (ব্রাদার) মো. শহিদুল ইসলাম (৫২)। তিনি মাদারীপুর সদর উপজেলার ধুরাইল ইউনিয়নের খালাশীকান্দি গ্রামের মোহসিন উদ্দিন খালাশীর ছেলে ও মাদারীপুর শহরের পানিছত্র আলজাবির উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় আবদুল লতিফ হাওলাদার (৬৫)।

মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ইকরাম হোসেন বলেন, সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স মো. শহিদুল ইসলাম করোনা উপসর্গ জ্বর ও কাশি নিয়ে গত ৬ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন এবং করোনার টেস্ট করান। পরে তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

শনিবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং রোববার ভোরে তিনি মারা যান।

এদিকে শহরের পানিছত্র এলাকার মারা যাওয়া ওই বৃদ্ধ দীর্ঘদিন ধরে অ্যাজমা ও ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দাফনকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

মৃত আবদুল লতিফ হাওলাদারের ভাগিনা মিলটন জানান, শনিবার সকালে মামাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় করোনা টেস্ট করার জন্য। কিন্তু হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক বা অন্যরা কেউ তার নমুনা সংগ্রহ করেননি।

তাকে ভর্তিও করেননি। বাড়িতে রাতে মারা যাওয়ার পর সিভিল সার্জন অফিস থেকে লোক এসে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে।

মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শফিকুল ইসলাম জানান, সদর হাসপাতালের সহকারী নার্স (ব্রাদার) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোববার ভোরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যুবরণ করেন।

পানিছত্র এলাকার মারা যাওয়া ওই ব্যক্তিকে তার স্বাজনরা হাসপাতালে করোনা টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে আসে। করোনা টেস্ট করানো মানুষের দীর্ঘলাইন দেখে তারা নিজেরা বাড়ি ফিরে যান।

এ পর্যন্ত জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন সাতজন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন সাতজন। রোববার সকাল পর্যন্ত জেলায় মোট আক্রান্ত ৩৫০ জন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ ইমরান মাসুদ