০৯:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফের দাবি

কালো পতকা হাতে নিয়ে তিন মাসের বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছেন ঢাকায় বসবাসরত ভাড়াটিয়ারা। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়ায় থাকেন। কিন্তু এই বিশাল ভাড়াটিয়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারের কথা কোনো জনপ্রতিনিধি বলেন না। তাদের অধিকার রক্ষা করেন না। আমরা ভাড়াটিয়ারা নানাভাবে অধিকার বঞ্চিত। এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জনমনে আতঙ্কের কারণে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ও জীবিকা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।’

‘সরকারি কর্মজীবী, কিছুসংখ্যক বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব পেশাজীবী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যেখানে পরিবারের জন্য প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করাই একটি চ্যালেঞ্জ, সেখানে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বাড়ি ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন সার্ভিসের বিল।’

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বলেন, সরকার বাজেটে বড় বড় ব্যবসায়ীর করের হার কমিয়েছে, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে কিন্তু গরিবের ওপর চাপিয়েছে মোবাইল কলরেট-ডাটার ওপর বাড়তি কর, ইউটিলিটি বিল পরিশোধের জন্য জুন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে আল্টিমেটাম। করোনা মহামারির পর থেকে ভাড়াটিয়া পরিষদ বাড়ি ভাড়ার অমানবিক চাপ থেকে অসহায় সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি।

আমরা আশা করেছিলাম, সরকার বাড়িওয়ালাদের কর মওকুফের মতো কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে করোনাকালে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফের মতো একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে সারাদেশের অসহায় ভাড়াটিয়াদের পাশে দাঁড়াবে।’

বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, ‘আমরা শুনতে পেরেছি ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাদের চাপে পড়ে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র খুবই কম দামে বিক্রি করে ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও কোথায় জোরপূর্বক বাসা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে। মানসিক নির্যাতনের তো কোনো সীমাই নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক দিক বিবেচনা করে তিন মাসের ভাড়া মওফুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে ভাড়াটিয়া পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা, খিলগাঁও থানা আহ্বায়ক তুহিন চৌধুরী, শ্যামপুর কদমতলী থানা সভাপতি মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার আহমেদ জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল, কলাবাগান থানা কমিটির আহ্বায়ক মো. রাসেল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর

জনপ্রিয়

প্রধান উপদেষ্টাকে নিয়ে ফেসবুকে বিতর্কিত পোষ্ট দেয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে ওএসডি করে বদলি!

তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফের দাবি

প্রকাশিত : ০৫:০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

কালো পতকা হাতে নিয়ে তিন মাসের বাড়ি ও দোকান ভাড়া মওকুফের দাবি জানিয়েছেন ঢাকায় বসবাসরত ভাড়াটিয়ারা। রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ভাড়াটিয়া পরিষদের উদ্যোগে এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি মো. বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ ভাড়ায় থাকেন। কিন্তু এই বিশাল ভাড়াটিয়া জনগোষ্ঠীর মৌলিক অধিকারের কথা কোনো জনপ্রতিনিধি বলেন না। তাদের অধিকার রক্ষা করেন না। আমরা ভাড়াটিয়ারা নানাভাবে অধিকার বঞ্চিত। এর মধ্যেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারির প্রভাবে দীর্ঘদিন ধরে লকডাউন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি ও জনমনে আতঙ্কের কারণে ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের নিম্নআয়ের মানুষের জীবন ও জীবিকা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়েছে।’

‘সরকারি কর্মজীবী, কিছুসংখ্যক বড় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি সব পেশাজীবী ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যেখানে পরিবারের জন্য প্রতিদিনের খাবারের ব্যবস্থা করাই একটি চ্যালেঞ্জ, সেখানে মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে বাড়ি ভাড়া, গ্যাস, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন সার্ভিসের বিল।’

ভাড়াটিয়া পরিষদের সভাপতি বলেন, সরকার বাজেটে বড় বড় ব্যবসায়ীর করের হার কমিয়েছে, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়েছে কিন্তু গরিবের ওপর চাপিয়েছে মোবাইল কলরেট-ডাটার ওপর বাড়তি কর, ইউটিলিটি বিল পরিশোধের জন্য জুন পর্যন্ত দেয়া হয়েছে আল্টিমেটাম। করোনা মহামারির পর থেকে ভাড়াটিয়া পরিষদ বাড়ি ভাড়ার অমানবিক চাপ থেকে অসহায় সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়ার জন্য সরকারের কাছে বারবার দাবি জানানোর পরও সরকার কোনো প্রকার কর্ণপাত করেনি।

আমরা আশা করেছিলাম, সরকার বাড়িওয়ালাদের কর মওকুফের মতো কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে করোনাকালে ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফের মতো একটি সিদ্ধান্ত দিয়ে সারাদেশের অসহায় ভাড়াটিয়াদের পাশে দাঁড়াবে।’

বাহরানে সুলতান বাহার বলেন, ‘আমরা শুনতে পেরেছি ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাদের চাপে পড়ে নিজেদের মূল্যবান জিনিসপত্র খুবই কম দামে বিক্রি করে ভাড়া পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও কোথায় জোরপূর্বক বাসা থেকে বের করে দেয়া হচ্ছে। শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হচ্ছে। মানসিক নির্যাতনের তো কোনো সীমাই নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মানবিক দিক বিবেচনা করে তিন মাসের ভাড়া মওফুফের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার বিনীত আহ্বান জানাচ্ছি।’

মানববন্ধনে ভাড়াটিয়া পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোস্তফা, খিলগাঁও থানা আহ্বায়ক তুহিন চৌধুরী, শ্যামপুর কদমতলী থানা সভাপতি মাকসুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার আহমেদ জয়, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল, কলাবাগান থানা কমিটির আহ্বায়ক মো. রাসেল, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ মে আর