১২:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

উচ্চ সংক্রমিত এলাকা লকডাউন হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উচ্চহারে সংক্রমিত এলাকাগুলোতে লকডাউনের পাশাপাশি কারও যেন খাবারের অভাব না হয়, সে জন্য অর্থনীতির চাকাকেও সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস–আতঙ্ক এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা খুব দুঃখজনক। তবু আমরা ঠিক করেছি, কোন কোন এলাকায় বেশি (করোনার সংক্রমণ) দেখা যাচ্ছে, সেটা লকডাউন করা। আমরা সেটা আটকাচ্ছি যাতে সেখান থেকে আর কোনোভাবে সংক্রমিত না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাথে সাথে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন সচল থাকে সেদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা শেখ হাসিনা আজ দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে সাবেক মন্ত্রী সাংসদ মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বাস্তবতার নিরিখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মানুষগুলোকে তো আমরা করোনার ভয়ে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাঁদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা তো আমাদের নিতে হবে। তাঁদের জীবনযাত্রাটা যেন চলে, সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।’
করোনাভাইরাসকে অত্যন্ত শক্তিশালী আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোতে এই রোগের যে ধরন দেখেছেন তাতে এই রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার ক্রমেই বেড়ে গিয়ে একটি পর্যায়ে গিয়ে থামে, বর্তমানে যে ওয়েভটি দক্ষিণ এশিয়া তথা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চলছে। যে কারণে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে তাঁর সরকার, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণকে বোঝাতে যে, আপনারা অন্তত একটু স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলেন। কারণ, এটা খুব সাংঘাতিক একটা সংক্রামক ব্যাধি। কাজেই, সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করেন।’

এরপর প্রথা অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদ মুলতবির রেওয়াজ থাকায় এদিনের সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ

উচ্চ সংক্রমিত এলাকা লকডাউন হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৯:৪০:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ জুন ২০২০

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে উচ্চহারে সংক্রমিত এলাকাগুলোতে লকডাউনের পাশাপাশি কারও যেন খাবারের অভাব না হয়, সে জন্য অর্থনীতির চাকাকেও সচল করার উদ্যোগ নিয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস–আতঙ্ক এখন এমন পর্যায়ে চলে যাচ্ছে যেটা খুব দুঃখজনক। তবু আমরা ঠিক করেছি, কোন কোন এলাকায় বেশি (করোনার সংক্রমণ) দেখা যাচ্ছে, সেটা লকডাউন করা। আমরা সেটা আটকাচ্ছি যাতে সেখান থেকে আর কোনোভাবে সংক্রমিত না হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘সাথে সাথে আমাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডগুলো যেন সচল থাকে সেদিকেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং আমরা একটা বাজেটও দিতে সক্ষম হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী এবং সংসদনেতা শেখ হাসিনা আজ দুপুরে একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টম (বাজেট) অধিবেশনে সাবেক মন্ত্রী সাংসদ মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহর মৃত্যুতে জাতীয় সংসদে গৃহীত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় এ কথা বলেন।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এ সময় স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বাস্তবতার নিরিখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের মানুষগুলোকে তো আমরা করোনার ভয়ে না খাইয়ে মারতে পারি না। তাঁদের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা তো আমাদের নিতে হবে। তাঁদের জীবনযাত্রাটা যেন চলে, সে ব্যবস্থাটা আমাদের করতে হবে।’
করোনাভাইরাসকে অত্যন্ত শক্তিশালী আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত পশ্চিমা দেশগুলোতে এই রোগের যে ধরন দেখেছেন তাতে এই রোগের সংক্রমণ এবং মৃত্যুহার ক্রমেই বেড়ে গিয়ে একটি পর্যায়ে গিয়ে থামে, বর্তমানে যে ওয়েভটি দক্ষিণ এশিয়া তথা বিভিন্ন উন্নয়নশীল দেশগুলোতে চলছে। যে কারণে জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে তাঁর সরকার, বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি জনগণকে বোঝাতে যে, আপনারা অন্তত একটু স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলেন। কারণ, এটা খুব সাংঘাতিক একটা সংক্রামক ব্যাধি। কাজেই, সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করেন।’

এরপর প্রথা অনুযায়ী কোনো সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে সংসদ মুলতবির রেওয়াজ থাকায় এদিনের সংসদ মুলতবি ঘোষণা করা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ বিএইচ