বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের বিষয়ে ‘গভীর অনিশ্চয়তা’ দেখছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির প্রধান অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ বলেন, আইএমএফ আগে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, সে তুলনায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে আরো খারাপ সংকোচন হবে। পুনরুদ্ধারের পথে ‘গভীর অনিশ্চয়তা’ দেখা যাবে। মঙ্গলবার নতুন এক ব্লগ পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গীতা গোপীনাথ বলেন, করোনা মহামারীর কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট অতীতের সংকটের তুলনায় আরো সর্বব্যাপী এবং আলাদা। উন্নত ও উদীয়মান উভয় বাজার অর্থনীতিতেই উৎপাদন ব্যয়ের চেয়ে সেবা খাত কঠোরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে মুদ্রাস্ফীতিও কমেছে। তিনি বাস্তব অর্থনীতি আর আর্থিক বাজারের মধ্যে এক বিস্ময়কর বিভ্রান্তির কথাও উল্লেখ করেছেন, যা আর্থিক বাজারে তীব্র অস্থিরতা তৈরি করেছে।
২৪ জুন বৈশ্বিক অর্থনৈতিক আউটলুক হালনাগাদ করবে আইএমএম।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা গত মাসে জানান, আইএমএফ আগে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হবে বলে যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, তা আরো বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলেননি জর্জিয়েভা। গোপীনাথ বলেন, অনেক দেশে প্রাথমিক পুনরুদ্ধারের লক্ষণ রয়েছে, যারা তাদের অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করেছিল। তবে সংক্রমণের নতুন ঢেউ এবং পুনরায় লকডাউন পদক্ষেপ আরো ঝুঁকি তৈরি করেছে।
গত সোমবার পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত প্রায় ৮০ লাখ মানুষ। বর্তমানে সংক্রমণের মাত্রা বেশি লাতিন আমেরিকায়। আবার যুক্তরাষ্ট্র ও চীনেও নতুন করে প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। গোপীনাথ বলছেন, জনগণের চাহিদা বাড়লে সেবা খাত হয়তো তাড়াতাড়ি ঘুরে দাঁড়াতে পারে। তবে এর নিশ্চয়তা নেই। কারণ মানুষের সামাজিক মিথস্ক্রিয়া কমে যাওয়ায় ব্যয়ের আচরণ পরিবর্তন হতে পারে। অনিশ্চয়তার কারণে সঞ্চয়ের হার বাড়ছে অনেক বেশি। যেমন চীন সবার আগে লকডাউন তুলে নিতে পারলেও সেবা খাত, যেমন: পর্যটন, ভ্রমণ এসব খাত এখনো উঠে দাঁড়াতে লড়াই করছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এসএম