১০:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

রান্নাঘর থেকে পুলিশ কন্সটেবলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

বাড়ির রান্নঘর থেকে বুধবার (১৭ জুন) পুলিশ কন্সটেবল রবিউল আউয়ালের (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন।
গাজীপুর মহানগরীর পশ্চিম বিলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রবিউল আউয়াল কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, প্রায় ৭-৮ মাস রবিউলের বিয়ের আগের দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বড় ভাই মারা যান। এর কয়েকদিন পর ছেলের শোকে তার  মা-ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা ও ভাইয়ের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন রবিউল। জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে গাজীপুরের বাড়িতে আসেন তিনি।
কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে মার্চে পুনরায় ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
ওসি আরও জানান, তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হয়। তবে তার মানসিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হলে সম্প্রতি স্বজনরা সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এদিকে কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি পেয়ে বুধবার সকালে রবিউলকে নিয়ে তার বাবা ও ভাই কিশোরগঞ্জে যান।
কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় তার পক্ষে কর্মস্থলে যোগদান করা সম্ভব হয়নি।
পরে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বাবা-ভাই। বাড়ি ফিরে আসার পর রাত ৮টার দিকে সবার অগোচরে রবিউল রান্নাঘরে ঢুকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয়।
জিএমপির সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময়েও তার সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন পুলিশে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে রান্নাঘর থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত মাখা একটি দা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন রবিউল।

রান্নাঘর থেকে পুলিশ কন্সটেবলের গলা কাটা লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত : ০৩:৫৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জুন ২০২০
বাড়ির রান্নঘর থেকে বুধবার (১৭ জুন) পুলিশ কন্সটেবল রবিউল আউয়ালের (২২) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন।
পুলিশের ধারণা, মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে তিনি গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন।
গাজীপুর মহানগরীর পশ্চিম বিলাশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। রবিউল আউয়াল কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর ভূইয়া জানান, প্রায় ৭-৮ মাস রবিউলের বিয়ের আগের দিন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার বড় ভাই মারা যান। এর কয়েকদিন পর ছেলের শোকে তার  মা-ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
মা ও ভাইয়ের মৃত্যুতে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন রবিউল। জানুয়ারিতে চিকিৎসার জন্য ছুটি নিয়ে গাজীপুরের বাড়িতে আসেন তিনি।
কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে তিনি কর্মস্থলে যোগ দেন। কিন্তু আবারও অসুস্থ হয়ে পড়লে মার্চে পুনরায় ছুটি নিয়ে বাড়িতে চলে যান।
ওসি আরও জানান, তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করা হয়। তবে তার মানসিক অবস্থার তেমন উন্নতি না হলে সম্প্রতি স্বজনরা সেখান থেকে তাকে বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এদিকে কর্মস্থলে যোগদানের চিঠি পেয়ে বুধবার সকালে রবিউলকে নিয়ে তার বাবা ও ভাই কিশোরগঞ্জে যান।
কিন্তু সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়ায় তার পক্ষে কর্মস্থলে যোগদান করা সম্ভব হয়নি।
পরে তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরে যান বাবা-ভাই। বাড়ি ফিরে আসার পর রাত ৮টার দিকে সবার অগোচরে রবিউল রান্নাঘরে ঢুকে দরজার ছিটকিনি আটকে দেয়।
জিএমপির সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ সময়েও তার সাড়া শব্দ না পেয়ে বাড়ির লোকজন পুলিশে সংবাদ দেয়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে রান্নাঘর থেকে তার গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে। ঘটনাস্থল থেকে রক্ত মাখা একটি দা উদ্ধার করা হয়।
তিনি জানান, ধারণা করা হচ্ছে মা ও ভাইয়ের মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে গলা কেটে আত্মহত্যা করেছেন রবিউল।