০৪:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৫

‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া সংরক্ষণ বড় চ্যালেঞ্জ’

মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া তোলা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেছেন, চামড়া নিয়ে গতবছরের মতো পরিস্থিতি আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। তাই সবাই মিলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ দেয়া ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভার শুরুতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনলাইনে এতে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, শিল্প প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ট্যানারি মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়াশিল্প দিন দিন শ্রমঘন হয়ে উঠেছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে অসংখ্য লোক। সভায় গুরুত্ব দেয়া হবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে চামড়াশিল্প নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। ট্যানারি মালিক, আড়তদারসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কুটির ও ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প মালিকসহ শ্রমিকদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো আসন্ন ঈদুল আজহার সময়ে চামড়ার জন্য সরকারের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করা। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়, সেটা। এছাড়া সব ধরনের চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। বিশেষ করে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এই চেইনটা যেন ঠিক থাকে। এখানে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়।

তিনি আরো বলেন, চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতবছরের মতো পরিস্থিতি আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। যদিও এ বছর বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া তোলা, সংগ্রহ, পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চামড়া শিল্পে জড়িত সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে কাজ করলে আমাদের সমস্যাগুলো থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এ খাতের সমস্যা সমাধানে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম সভা করেছিলাম। সে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। তবে আমাদের প্রধান ফোকাস হবে কোভিডজনিত সমস্যা মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ ও আগামী ঈদুল আজহার সময় চামড়ার ব্যবস্থাপনাগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এসএম

জনপ্রিয়

‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া সংরক্ষণ বড় চ্যালেঞ্জ’

প্রকাশিত : ০৭:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ জুন ২০২০

মহামারী করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া তোলা, সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

তিনি বলেছেন, চামড়া নিয়ে গতবছরের মতো পরিস্থিতি আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। তাই সবাই মিলে স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে সঠিকভাবে চামড়া সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করার আহ্বান জানাচ্ছি। সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে অনলাইনে চামড়া শিল্পের উন্নয়নে সুপারিশ দেয়া ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভার শুরুতে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনলাইনে এতে অংশ নেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী, শিল্প প্রতিমন্ত্রীসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং ট্যানারি মালিক ও ব্যবসায়ীরা।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, চামড়াশিল্প দিন দিন শ্রমঘন হয়ে উঠেছে। এ শিল্পের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে অসংখ্য লোক। সভায় গুরুত্ব দেয়া হবে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে আমরা কীভাবে চামড়াশিল্প নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। ট্যানারি মালিক, আড়তদারসহ এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের কুটির ও ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প মালিকসহ শ্রমিকদের কীভাবে সহযোগিতা করা যায়।

তিনি বলেন, আমাদের সামনে আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো আসন্ন ঈদুল আজহার সময়ে চামড়ার জন্য সরকারের নির্ধারিত দাম বাস্তবায়ন করা। বিশেষ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে যে দাম নির্ধারণ করা হয়, সেটা। এছাড়া সব ধরনের চামড়া সঠিকভাবে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করা। বিশেষ করে সংগ্রহ ও সংরক্ষণ এই চেইনটা যেন ঠিক থাকে। এখানে যেন কোনো জটিলতা সৃষ্টি না হয়।

তিনি আরো বলেন, চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। গতবছরের মতো পরিস্থিতি আমরা কেউ প্রত্যাশা করি না। যদিও এ বছর বিশেষ করে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করে চামড়া তোলা, সংগ্রহ, পরিবহন একটা বড় চ্যালেঞ্জ।

আমরা মনে করি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ব্যাংক, শিল্প মন্ত্রণালয় এবং চামড়া শিল্পে জড়িত সব ব্যবসায়ীর সঙ্গে মিলে কাজ করলে আমাদের সমস্যাগুলো থাকবে না।

মন্ত্রী বলেন, আমরা এ খাতের সমস্যা সমাধানে গত ১২ ফেব্রুয়ারি প্রথম সভা করেছিলাম। সে সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হবে। তবে আমাদের প্রধান ফোকাস হবে কোভিডজনিত সমস্যা মোকাবেলায় করণীয় নির্ধারণ ও আগামী ঈদুল আজহার সময় চামড়ার ব্যবস্থাপনাগুলো সুন্দরভাবে সম্পন্ন করা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এসএম