মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে জেলা নতুন বাজার রোডের মেসার্স মা-বাবা এন্টারপ্রাইজকে ১ লাখ ও শহরের বীণাপানি স্কুল রোডের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ সালাউদ্দিন দিপু।

এই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে বিপুল পরিমাণ নকল স্যাভলন উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারি পরিচালক মহেশ্বর রায় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ সালাউদ্দিন দিপু জানান, বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নকল স্যাভলন বাড়তি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল স্যাভলন উদ্ধার করা হয়। পরে নকল স্যাভলনের মূল ডিলার মেসার্স মা বাবা এন্টারপ্রাইজে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকেও নকল স্যাভলন উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো জানান, প্রতিটি স্যাভলনের বোতলের পেছনের স্টিকার বদলে উৎপাদন তারিখ পরিবর্তন করে উৎপাদন তারিখ এপ্রিল, ২০২০ করে নতুন স্টিকার লাগানো হয়েছে। এছাড়া মূল কার্টুনের গায়ে স্টিকারে উৎপাদন তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ২০২০ সালের জুন মাসে।

উৎপাদন ২০২০ সালের জুন মাস হলেও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজে স্যাভলন ডেলিভারি দেয়া হয়েছে ২০২০ মাসের মে মাসে। এক লিটার স্যাভলনের এমআরপি ২৫০ টাকা হলে এসব নকল স্যাভলন ৩৫০-৫০০ টাকায় লিটাল বিক্রি করা হচ্ছিল।

ডিলার হয়ে নকল স্যাভলন সারা জেলায় ছড়িয়ে দেয়া, মজুদ করা ও অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করায় মেসার্স মা বাবা এন্টাপ্রাইজকে এক লাখ টাকা এবং নকল স্যাভলন মজুদ ও অতিরিক্ত দামে বিক্রির দায়ে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা হয়।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর