০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মানবপাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন, সুখবর বাংলাদেশের

আবদুল মোমেন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বৈশ্বিক মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমাদের জন্য একটি সুখবর। এই বছরের প্রতিবেদনে ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্ট’ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ( ২৬ জুন) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সুখবর। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আরও এক ধাপ নিচে যাই, অর্থাৎ টায়ার থ্রিতে চলে যাই, তাহলে আমরা নানা সমস্যায় পড়ে যাবো। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এইড, ঋণ সুবিধা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে যেত।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার প্রতিরোধে সচেষ্ট। আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি। সাতজন বিচারক এই ট্রাইবুনালে নিযুক্ত রয়েছেন। গত বছর ৪০৩টি মানবপাচার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি মামলা আমরা প্রসিকিউট করি। ২৫ জনের সাজা হয়। মানবপাচারে জড়িত থাকার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৬২টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স সাসপেন্ড করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি লিবিয়ায় মানবপাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার অনুরোধ, আপনার সন্তানকে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। আর মানবপাচারে জড়িত অসাধু চক্র ও রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সহায়তা করুন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের চলতি বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ প্রকাশিত হয়। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্টে’ ছিল। সেবারসহ ওয়াচ লিস্টে বাংলাদেশ ছিল টানা তৃতীয়বারের মতো। এ বছর সেই ওয়াচ লিস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মানবপাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন, সুখবর বাংলাদেশের

প্রকাশিত : ০৩:৩০:৪৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুন ২০২০

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক বৈশ্বিক মানবপাচার প্রতিবেদনে বাংলাদেশের অগ্রগতি আমাদের জন্য একটি সুখবর। এই বছরের প্রতিবেদনে ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্ট’ থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।
শুক্রবার ( ২৬ জুন) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ তথ্য জানান।

ড. মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের এক ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বড় একটি সুখবর। আমরা যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে আরও এক ধাপ নিচে যাই, অর্থাৎ টায়ার থ্রিতে চলে যাই, তাহলে আমরা নানা সমস্যায় পড়ে যাবো। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের এইড, ঋণ সুবিধা, সাংস্কৃতিক বিনিময় ইত্যাদি ক্ষেত্রে সমস্যা হয়ে যেত।

ড. মোমেন বলেন, বাংলাদেশ মানবপাচার প্রতিরোধে সচেষ্ট। আমরা মানবপাচার প্রতিরোধে ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছি। সাতজন বিচারক এই ট্রাইবুনালে নিযুক্ত রয়েছেন। গত বছর ৪০৩টি মানবপাচার মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৩১২টি মামলা আমরা প্রসিকিউট করি। ২৫ জনের সাজা হয়। মানবপাচারে জড়িত থাকার জন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ১৬২টি রিক্রুটিং এজেন্সির লাইসেন্স সাসপেন্ড করে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি লিবিয়ায় মানবপাচারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমার অনুরোধ, আপনার সন্তানকে অবৈধভাবে বিদেশে পাঠাবেন না। আর মানবপাচারে জড়িত অসাধু চক্র ও রিক্রুটিং এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারকে সহায়তা করুন।

বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের চলতি বছরের ‘ট্রাফিকিং ইন পারসনস রিপোর্ট’ প্রকাশিত হয়। গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ‘টায়ার-টু ওয়াচ লিস্টে’ ছিল। সেবারসহ ওয়াচ লিস্টে বাংলাদেশ ছিল টানা তৃতীয়বারের মতো। এ বছর সেই ওয়াচ লিস্ট থেকে বেরিয়ে এসেছে বাংলাদেশ।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ