০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত

মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার উদ্যোগের প্রশংসা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। ম্যানিলায় আঞ্চলিক অপরাধ বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল কাউন্টার টেরোরিজম কনফারেন্সে রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমার অতীতে সৌভাগ্য হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সেবাদানের এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তদন্ত কাজে সেখানকার বীরোচিত কৌঁসুলি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একত্রে কাজ করার। তাই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ কাজের অপ্রতিরোধ্য শক্তি আমি দেখেছি।

হলি আর্টিজানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার চতুর্থ বার্ষিকী। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে সন্ত্রাসীরা দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচটি দেশের ২২ জনকে জিম্মি করে হত্যা করে। নিহতদের অন্যতম ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন, যিনি গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে নিজ দেশে এসেছিলেন। মুসলমান বলে সন্ত্রাসীরা তাকে চলে যেতে দিয়েছিলো। ফারাজ হোসেন তারই মতো কলেজ ছুটিতে আমেরিকা থেকে বাড়িতে ফেরা দুই তরুণী বন্ধুকে ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ফারাজ তাদেরকে যথাসাধ্য রক্ষা করতে থেকে গিয়েছিলো। পরে তিনজনই নিহত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা সম্মানিত বোধ করছি যে, ব্যক্তিগত প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে হলি বেকারি বিচারের সভাপতিত্বকারী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ এখানে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন। আপনাদের অনেককেই আমি চিনি যারা নিজ দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে গিয়ে নিজেরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

ফারাজ হোসেন ও বিচারক রহমান, আপনারা উভয়েই সেই সাহসিকতা, দৃঢ়তা, সদগুণ ও ন্যায়বিচারের চেতনা ধারণ করেন- যা সন্ত্রাসবাদের সকল অশুভের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় নিশ্চিত করবে।

আমি আনন্দিত যে, ফৌজদারি মামলায় ডিজিটাল আলামতের ব্যবহার বিষয়ে আলোচনার জন্য এ বছরের শুরুর দিকে OPDAT-এর আরেকটি কর্মশালায় আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। সেখানে সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধ বিষয়ে কর্মরত বিচারক, কৌঁসুলি ও পুলিশের তদন্তকারীগণ তাদের মামলাগুলোতে ডিজিটাল আলামতের পূর্ণ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে একত্রে আলোচনা করেন।

তিনি যোগ করেন, আজকের কর্মশালার মাধ্যমে আপনাদের জন্য সে কাজগুলোই আরো বড় পরিসরে করার সুযোগ তৈরি হবে- যেমন সহযোগিতামূলক আলোচনা চলামান রাখা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইকে এগিয়ে নিতে সাধারণ সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আমরা জানি, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় সীমানার বাইরে গিয়ে কাজ করে। আমাদেরও অবশ্যই তাই করতে হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশের প্রশংসায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত

প্রকাশিত : ০৪:৩৩:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

বাংলাদেশের সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার উদ্যোগের প্রশংসা করলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। ম্যানিলায় আঞ্চলিক অপরাধ বিচার বিভাগের কর্মকর্তাদের ভার্চুয়াল কাউন্টার টেরোরিজম কনফারেন্সে রাষ্ট্রদূত মিলার বাংলাদেশের উদ্যোগের প্রশংসা করেন।

সেখানে তিনি বলেন, আমার অতীতে সৌভাগ্য হয়েছে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় সেবাদানের এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তদন্ত কাজে সেখানকার বীরোচিত কৌঁসুলি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে একত্রে কাজ করার। তাই আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর ঐক্যবদ্ধ কাজের অপ্রতিরোধ্য শক্তি আমি দেখেছি।

হলি আর্টিজানের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আগামী সপ্তাহে ঢাকার হলি আর্টিজান বেকারিতে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলার চতুর্থ বার্ষিকী। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে সন্ত্রাসীরা দু’জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচটি দেশের ২২ জনকে জিম্মি করে হত্যা করে। নিহতদের অন্যতম ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টায় এমোরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ বছর বয়সী বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ফারাজ হোসেন, যিনি গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে নিজ দেশে এসেছিলেন। মুসলমান বলে সন্ত্রাসীরা তাকে চলে যেতে দিয়েছিলো। ফারাজ হোসেন তারই মতো কলেজ ছুটিতে আমেরিকা থেকে বাড়িতে ফেরা দুই তরুণী বন্ধুকে ছেড়ে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। ফারাজ তাদেরকে যথাসাধ্য রক্ষা করতে থেকে গিয়েছিলো। পরে তিনজনই নিহত হয়েছিল।

তিনি বলেন, আমরা সম্মানিত বোধ করছি যে, ব্যক্তিগত প্রচণ্ড ঝুঁকি নিয়ে হলি বেকারি বিচারের সভাপতিত্বকারী সন্ত্রাসবাদ বিরোধী ট্রাইবুনালের বিচারক মজিবুর রহমান আজ এখানে আমাদের সাথে যুক্ত হয়েছেন। আপনাদের অনেককেই আমি চিনি যারা নিজ দেশের নাগরিকদের সুরক্ষার জন্য সন্ত্রাসীদেরকে বিচারের আওতায় আনতে গিয়ে নিজেরা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

ফারাজ হোসেন ও বিচারক রহমান, আপনারা উভয়েই সেই সাহসিকতা, দৃঢ়তা, সদগুণ ও ন্যায়বিচারের চেতনা ধারণ করেন- যা সন্ত্রাসবাদের সকল অশুভের বিরুদ্ধে আমাদের বিজয় নিশ্চিত করবে।

আমি আনন্দিত যে, ফৌজদারি মামলায় ডিজিটাল আলামতের ব্যবহার বিষয়ে আলোচনার জন্য এ বছরের শুরুর দিকে OPDAT-এর আরেকটি কর্মশালায় আমি বক্তব্য রেখেছিলাম। সেখানে সন্ত্রাস ও সাইবার অপরাধ বিষয়ে কর্মরত বিচারক, কৌঁসুলি ও পুলিশের তদন্তকারীগণ তাদের মামলাগুলোতে ডিজিটাল আলামতের পূর্ণ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবন্ধকতা বিষয়ে একত্রে আলোচনা করেন।

তিনি যোগ করেন, আজকের কর্মশালার মাধ্যমে আপনাদের জন্য সে কাজগুলোই আরো বড় পরিসরে করার সুযোগ তৈরি হবে- যেমন সহযোগিতামূলক আলোচনা চলামান রাখা এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সন্ত্রাস বিরোধী লড়াইকে এগিয়ে নিতে সাধারণ সমস্যাগুলোর সমাধান খুঁজে পেতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করা। আমরা জানি, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রীয় সীমানার বাইরে গিয়ে কাজ করে। আমাদেরও অবশ্যই তাই করতে হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর