০৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

গায়ের রং নিয়ে মুখ খুললেন বিপাশা

বিপাশা বসু

বিপাশা বসু বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে। এই ‘শ্যামবর্ণা’ সুন্দরীকে ছোট থেকেই গায়ের রং নিয়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে। সম্প্রতি প্রসাধনী ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বেশ খুশি বঙ্গ তনয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্টে নিজের ‘শ্যামবর্ণা’ হওয়া নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন এই সুন্দরী। সেখান থেকে কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বিপাশা লিখেছেন, ছোট থেকেই আমি শুনে এসেছি, সোনির থেকে বনি কালো। ওর গায়ের রং একটু চাপা না? যদিও আমার মা-ও শ্যামবর্ণা, এবং আমি তাঁর মতোই দেখতে। কিন্তু আমি ছোট থেকেই শুনতাম, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন আমার গায়ের রং নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে উঠতেন। বুঝতাম না, কেন? মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে আমি মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করি। আমি সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় জিতেছিলাম, সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হলো শ্যামবর্ণা কলকাতার তরুণী সুপারমডেল প্রতিযোগিতার বিজেতা। আমি বিস্মিত হতাম, সেই আমার বর্ণনায় শ্যামবর্ণা।

এই নায়িকা আরো লিখেছেন, পরবর্তীকালে যখন আমি নিউ ইয়র্ক, প্যারিসে গেলাম মডেলিংয়ের জন্য। সেখানে দেখলাম, গায়ের রঙের জন্যই আমি গুরুত্ব পাচ্ছি। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে প্রথম ছবির প্রস্তাব পেলাম, তখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমি একেবারেই অজ্ঞাত পরিচয়। সিনেমায় কাজ করে ভালোবাসাও পেলাম। তবে আমার নামের সঙ্গে শ্যামবর্ণা শব্দটি থেকেই গেল। পরবর্তীকালে এই শব্দটির প্রতিই ভালোবাসা জন্মে গেল। দেখলাম, দর্শকরা এই শ্যামবর্ণা মেয়েটিকেই পছন্দ করছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

গায়ের রং নিয়ে মুখ খুললেন বিপাশা

প্রকাশিত : ০৬:২৯:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুন ২০২০

বিপাশা বসু বলিউডের আবেদনময়ী অভিনেত্রী হিসেবে। এই ‘শ্যামবর্ণা’ সুন্দরীকে ছোট থেকেই গায়ের রং নিয়ে নানা কথা শুনতে হয়েছে। সম্প্রতি প্রসাধনী ‘ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি’ থেকে ফেয়ার শব্দটি বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্তে বেশ খুশি বঙ্গ তনয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্টে নিজের ‘শ্যামবর্ণা’ হওয়া নিয়ে অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন এই সুন্দরী। সেখান থেকে কিছু অংশ পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

বিপাশা লিখেছেন, ছোট থেকেই আমি শুনে এসেছি, সোনির থেকে বনি কালো। ওর গায়ের রং একটু চাপা না? যদিও আমার মা-ও শ্যামবর্ণা, এবং আমি তাঁর মতোই দেখতে। কিন্তু আমি ছোট থেকেই শুনতাম, বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন আমার গায়ের রং নিয়ে আলোচনায় ব্যস্ত হয়ে উঠতেন। বুঝতাম না, কেন? মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকে আমি মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করি। আমি সুপারমডেল প্রতিযোগিতায় জিতেছিলাম, সংবাদমাধ্যমে হেডলাইন হলো শ্যামবর্ণা কলকাতার তরুণী সুপারমডেল প্রতিযোগিতার বিজেতা। আমি বিস্মিত হতাম, সেই আমার বর্ণনায় শ্যামবর্ণা।

এই নায়িকা আরো লিখেছেন, পরবর্তীকালে যখন আমি নিউ ইয়র্ক, প্যারিসে গেলাম মডেলিংয়ের জন্য। সেখানে দেখলাম, গায়ের রঙের জন্যই আমি গুরুত্ব পাচ্ছি। পরবর্তীকালে দেশে ফিরে প্রথম ছবির প্রস্তাব পেলাম, তখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমি একেবারেই অজ্ঞাত পরিচয়। সিনেমায় কাজ করে ভালোবাসাও পেলাম। তবে আমার নামের সঙ্গে শ্যামবর্ণা শব্দটি থেকেই গেল। পরবর্তীকালে এই শব্দটির প্রতিই ভালোবাসা জন্মে গেল। দেখলাম, দর্শকরা এই শ্যামবর্ণা মেয়েটিকেই পছন্দ করছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর