০৮:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এই বাজেট গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট পাসের পর অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা। আগামীকাল ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এই বাজেট।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাস হয়। এদিন অধিবেশনে রীতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন খরচের জন্য যংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব দিতে ‘নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২০’ সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার আগে ৪২১টি ছাঁটাই প্রস্তাব আসে। দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ৯ জন সংসদ সদস্য এই ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া সংসদ সদস্যরা হলেন— জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, মুজিবুর রহমান (চুন্নু), শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

৫৯টি দাবির মধ্যে সংসদ সচিবালয় এবং লেজিলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে কোনো ছাঁটাই প্রস্তাব নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চার থেকে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে।

ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এর বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাব এবং কিছু রয়েছে মিতব্যয়ী ছাঁটাই। বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ কমিয়ে একশ টাকা করার প্রস্তাব এবং মিতব্যয়ী ছাঁটাই প্রস্তাবে বরাদ্দ একশ থেকে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

পিরোজপুরে ছাত্রলীগ কর্মীকে পিটিতে হত্যা মামলায় ২ আসামী গ্রেপ্তার

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস

প্রকাশিত : ০৪:০৭:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে। ‘অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা’ শিরোনামের এই বাজেট গত ১১ জুন জাতীয় সংসদে উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার এই বাজেট পাসের পর অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়েছেন সংসদ অধিবেশনে উপস্থিত সংসদ সদস্যরা। আগামীকাল ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে এই বাজেট।

মঙ্গলবার (৩০ জুন) দুপুরে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদ অধিবেশনে বাজেট পাস হয়। এদিন অধিবেশনে রীতি অনুযায়ী অর্থমন্ত্রী ২০২০-২১ অর্থবছরের বিভিন্ন খরচের জন্য যংযুক্ত তহবিল থেকে অর্থ প্রদান ও নির্দিষ্টকরণের কর্তৃত্ব দিতে ‘নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০২০’ সংসদে উপস্থাপন করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এরপর সংসদে উপস্থিত সবাই টেবিল চাপড়ে অর্থমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

প্রস্তাবিত বাজেট পাস হওয়ার আগে ৪২১টি ছাঁটাই প্রস্তাব আসে। দেশের মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৫৯টি দাবির বিপরীতে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির ৯ জন সংসদ সদস্য এই ছাঁটাই প্রস্তাব দেন। ছাঁটাই প্রস্তাব দেওয়া সংসদ সদস্যরা হলেন— জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, মুজিবুর রহমান (চুন্নু), শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীর ফজলুর রহমান, লিয়াকত হোসেন খোকা, ও রওশন আরা মান্নান এবং বিএনপির হারুনুর রশীদ ও রুমিন ফারহানা।

৫৯টি দাবির মধ্যে সংসদ সচিবালয় এবং লেজিলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে কোনো ছাঁটাই প্রস্তাব নেই। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের একটি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে। এছাড়া অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের চার থেকে ৯টি করে ছাঁটাই প্রস্তাব রয়েছে।

ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, এর বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাব এবং কিছু রয়েছে মিতব্যয়ী ছাঁটাই। বেশিরভাগই নীতি অনুমোদন ছাঁটাই প্রস্তাবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের বরাদ্দ কমিয়ে একশ টাকা করার প্রস্তাব এবং মিতব্যয়ী ছাঁটাই প্রস্তাবে বরাদ্দ একশ থেকে এক হাজার টাকা কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর