বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার পর থেকে একের পর এক রহস্যের উন্মোচন হচ্ছে। মু্ম্বাই পুলিশের তদন্তে সেইসব রহস্য উঠে আসছে গণমাধ্যমে। তবে সব রহস্য ছাপিয়ে সুশান্ত যে আত্মহত্যাই করেছেন, কিছুদিন আগে তা ভিসেরা রিপোর্টোর ভিত্তিতে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
পুলিশসুশান্তের মৃত্যুর তদন্ত যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে চাইছে । তাই জোরকদমে চলছে কাজও। এবার আত্মহত্যার সময় যে পোশাক ব্যবহার করেছিলেন সুশান্ত, সেটি পরীক্ষা করার জন্য ফরেনসিকে পাঠানো হয়েছে সম্প্রতি।
জানা গেছে, আত্মহত্যার সময় সবুজ রঙের একটি সুতির নাইট গাউন ব্যবহার করেছিলেন অভিনেতা। ফরেনসিক ল্যাবে সেই পোশাকের ‘টেনসিল স্ট্রেন্থ’ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সুশান্তের দেহের ওজন এই নাইট গাউনটির বহন করার ক্ষমতা আদৌ ছিল কিনা, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। মুম্বইয়ের শহরতলী কালিনার এক ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে (FSL) ওই গাউনের রাসায়নিক এবং ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে মুম্বই পুলিশের তরফে।
এদিকে যশরাজ প্রোডাকশনের সঙ্গে সুশান্তের যে চুক্তি হয়েছিল তা সম্প্রতি সামনে এসেছে। , সুশান্তের সঙ্গে যশরাজ ফিল্মস ৩টি ছবির চুক্তি করেছিল। প্রথমটির জন্য সুশান্তের পাওয়ার কথা ছিল ৩০ লক্ষ টাকা। যদি প্রথম ছবিটি যদি হিট হয়, তবে দ্বিতীয়টির ৬০ লক্ষ টাকা পেতেন তিনি। আর যদি প্রথমটি ভাল ব্যবসা দিতে না পারে তবে দ্বিতীয় ছবির জন্যও ৩০ লক্ষ টাকাই পাওয়ার কথা ছিল তার। দু’টি ছবিই ভাল চললে তৃতীয়টির জন্য ১ কোটি টাকার চুক্তি হয়েছিল। এক্ষেত্রে যদি প্রথমটি হিট পরেরটি ফ্লপ হয়, তবে তৃতীয়টির জন্য ৩০ লক্ষ টাকা পাওয়ার কথা ছিল সুশান্তের। আর যদি প্রথমটি ফ্লপ করে দ্বিতীয়টি হিট হয়, তাহলে তৃতীয়ের জন্য তিনি পেতেন ৬০ লক্ষ টাকা।
এই হিসেবে চললে প্রথম ছবি ‘শুদ্ধ দেশি রোমান্স’ হিট করার পর দ্বিতীয় ছবি ‘ডিটেকটিভ ব্যোমকেশ বাকসে’র জন্য সুশান্তকে ৬০ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এক্ষেত্রে তাকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হয়। আর তৃতীয় ছবি ‘পানি’ তো তৈরিই হয়নি। কিন্তু দ্বিতীয় ছবির ক্ষেত্রে ৬০ লক্ষের বদলে কেন অভিনেতাকে ১ কোটি টাকা দেওয়া হল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। পুলিশের কাছে এর কোন স্পষ্ট জবাব দিতে পারেনি প্রযোজনা সংস্থাটি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর