১০:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ঈদে বাড়বে না ট্রেন, বাসের সিদ্ধান্ত পরে

ঈদুল আজহায় নগরবাসী গ্রামে যেতে পারবে কিনা বা পরিবহন ব্যবস্থা কেমন থাকবে, এমন সরকারি সিদ্ধান্ত এখনো না হলেও মালিক সংগঠনগুলো বলছে যাত্রী পরিবহনে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে উৎসবগুলো যেন হারিয়েছে রং। পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে করোনা মহামারি চলছে। গত ঈদুল ফিতরে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভয়কে তুচ্ছ করে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরেছেন মানুষ। এবার চলছে পরিবহন। আসন্ন ঈদুল আজহায় নির্বিঘ্নে গ্রামের বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা নগরবাসী সেই দেখার বিষয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখনো পরিকল্পনা আমাদের তৈরি হয়নি। সময় আছে, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগে জানাবেন। এই ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে, ঈদে বাসের সংখ্যা না বাড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন কঠিন হবে।

ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে যে ১৭টি ট্রেন চলছে ঈদে সেই সংখ্যা একটিও বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, ঈদে আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবো না। সাধারণ মানুষকে নিরুৎসাহিত করছি, যাতে ঈদ সামনে মানুষের মুভমন্টে কম হয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এখন যে নির্দেশনা আছে, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার জন্য তখনো এই নির্দেশনা থাকলে আমরা পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবো। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি মজুদ আছে।

তিনি আরো জানান, ঈদে তো বেশি ভিড় হবেই। সরকার যদি বলে ঈদের মধ্যে এই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আমরা সেটা করবো না।

লঞ্চ মালিকরা বলছেন এরইমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বহু মানুষ ঢাকা ছাড়ায় ঈদ মৌসুমেও তারা পাবেন না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। আর লঞ্চের সংখ্যা যতো বাড়বে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও তত বেশি হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, এবার ঈদে লোক কম হবে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমাদের লোকশান হবে; দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লোকসান অব্যাহত থাকবে।

পরিবহন মালিকরা জানিছেন, তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের। জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত তারা।

বিজনেস বাংলাদেশ / শেখ

ইউনূস-মোদির বৈঠক নিউইয়র্কে করার প্রস্তাব দিলো ঢাকা

ঈদে বাড়বে না ট্রেন, বাসের সিদ্ধান্ত পরে

প্রকাশিত : ০৭:৫৭:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

ঈদুল আজহায় নগরবাসী গ্রামে যেতে পারবে কিনা বা পরিবহন ব্যবস্থা কেমন থাকবে, এমন সরকারি সিদ্ধান্ত এখনো না হলেও মালিক সংগঠনগুলো বলছে যাত্রী পরিবহনে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।

করোনা সংক্রমণের এই সময়ে উৎসবগুলো যেন হারিয়েছে রং। পাঁচ মাস ধরে বাংলাদেশে করোনা মহামারি চলছে। গত ঈদুল ফিতরে নিষেধাজ্ঞা স্বত্বেও ভয়কে তুচ্ছ করে ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা থেকে গ্রামে ফিরেছেন মানুষ। এবার চলছে পরিবহন। আসন্ন ঈদুল আজহায় নির্বিঘ্নে গ্রামের বাড়ি ফিরতে পারবেন কিনা নগরবাসী সেই দেখার বিষয়।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এখনো পরিকল্পনা আমাদের তৈরি হয়নি। সময় আছে, নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আমাদের আগে জানাবেন। এই ব্যাপারে স্পষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে, ঈদে বাসের সংখ্যা না বাড়ালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যাত্রী পরিবহন কঠিন হবে।

ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করতে বর্তমানে যে ১৭টি ট্রেন চলছে ঈদে সেই সংখ্যা একটিও বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।

তিনি বলেন, ঈদে আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবো না। সাধারণ মানুষকে নিরুৎসাহিত করছি, যাতে ঈদ সামনে মানুষের মুভমন্টে কম হয়।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, এখন যে নির্দেশনা আছে, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করার জন্য তখনো এই নির্দেশনা থাকলে আমরা পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়ে চলাচল করবো। আমাদের পর্যাপ্ত গাড়ি মজুদ আছে।

তিনি আরো জানান, ঈদে তো বেশি ভিড় হবেই। সরকার যদি বলে ঈদের মধ্যে এই পঞ্চাশ শতাংশের বেশি যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। আমরা সেটা করবো না।

লঞ্চ মালিকরা বলছেন এরইমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের বহু মানুষ ঢাকা ছাড়ায় ঈদ মৌসুমেও তারা পাবেন না কাঙ্ক্ষিত যাত্রী। আর লঞ্চের সংখ্যা যতো বাড়বে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও তত বেশি হবে।

লঞ্চ মালিক সমিতির উপদেষ্টা গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, এবার ঈদে লোক কম হবে ভিড় হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে আমাদের লোকশান হবে; দেশের পরিস্থিতি ঠিক না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লোকসান অব্যাহত থাকবে।

পরিবহন মালিকরা জানিছেন, তারা অপেক্ষায় আছেন সরকারি সিদ্ধান্তের। জনস্বাস্থ্যের গুরুত্বকে প্রাধান্য দিয়ে যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত তারা।

বিজনেস বাংলাদেশ / শেখ