০৭:২৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

শিক্ষা বৃত্তির টাকা করোনা রোগীদের সেবায় দান করলো স্কুলছাত্রী

শিক্ষাবৃত্তির টাকা করোনা রোগীদের সহায়তায় মাগুরা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করল আমিশা রহমান অথৈ নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সোমবার বিকেল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথৈ বৃত্তির ৫ হাজার টাকা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা, প্রেসক্লাব সম্পাদক শামীম খান, মেয়েটির বাবা শহরের মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা শেখ মুক্তি রহমান, পরিবারের অপর সদস্য কলেজ শিক্ষিকা সোনিয়া সুলতানা।
মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আমিশা রহমান জানায়, ছোটবেলা থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে আমার। সে ইচ্ছের জায়গা থেকেই শিক্ষা বৃত্তির টাকা জেলা প্রশাসকের করোনা তহবিলে জমা দিয়েছি।
সে প্রাথমিক সমাপনি ও জেএসসি দুই পরীক্ষাতেই টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি বাবদ প্রতি ৬ মাস অন্তর পাওয়া ২ হাজার ১১৮ টাকা থেকে সঞ্চিত ৫ হাজার টাকা সে করোনা সহায়তায় দান করলো। জেএসসি’র বৃত্তির টাকা হাতে পেলে কিছু টাকা সে একইভাবে অসহায় দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করবে এবং ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছের কথা জানায় অথৈ।
এ সময় জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, আমিশা রহমান অথৈ তার শিক্ষাবৃত্তির টাকা করোনা তহবিলে দান করায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে কর্মজীবনে অথৈ অসহায় মানুষের জন্যে একইভাবে কাজ করবে সে প্রত্যাশা করি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার মনোনয়নপত্র জমা

শিক্ষা বৃত্তির টাকা করোনা রোগীদের সেবায় দান করলো স্কুলছাত্রী

প্রকাশিত : ০৬:২৮:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জুলাই ২০২০

শিক্ষাবৃত্তির টাকা করোনা রোগীদের সহায়তায় মাগুরা জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করল আমিশা রহমান অথৈ নামের নবম শ্রেণীর এক ছাত্রী। সোমবার বিকেল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অথৈ বৃত্তির ৫ হাজার টাকা জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলমের কাছে হস্তান্তর করে।
এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা, প্রেসক্লাব সম্পাদক শামীম খান, মেয়েটির বাবা শহরের মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা শেখ মুক্তি রহমান, পরিবারের অপর সদস্য কলেজ শিক্ষিকা সোনিয়া সুলতানা।
মাগুরা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী আমিশা রহমান জানায়, ছোটবেলা থেকেই অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছে আমার। সে ইচ্ছের জায়গা থেকেই শিক্ষা বৃত্তির টাকা জেলা প্রশাসকের করোনা তহবিলে জমা দিয়েছি।
সে প্রাথমিক সমাপনি ও জেএসসি দুই পরীক্ষাতেই টেলেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। পঞ্চম শ্রেণীর বৃত্তি বাবদ প্রতি ৬ মাস অন্তর পাওয়া ২ হাজার ১১৮ টাকা থেকে সঞ্চিত ৫ হাজার টাকা সে করোনা সহায়তায় দান করলো। জেএসসি’র বৃত্তির টাকা হাতে পেলে কিছু টাকা সে একইভাবে অসহায় দরিদ্রদের জন্য ব্যয় করবে এবং ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হয়ে অসহায় মানুষের পাশে থাকার ইচ্ছের কথা জানায় অথৈ।
এ সময় জেলা প্রশাসক ড. আশরাফুল আলম বলেন, আমিশা রহমান অথৈ তার শিক্ষাবৃত্তির টাকা করোনা তহবিলে দান করায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে উচ্চ শিক্ষিত হয়ে কর্মজীবনে অথৈ অসহায় মানুষের জন্যে একইভাবে কাজ করবে সে প্রত্যাশা করি।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ