বেরিয়ে আসছে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহেদের জালিয়াতির চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। নানা নামে, নানা পরিচয়ে নিজেকে জাহির করে বিভিন্ন সময়ে হাতিয়ে নিয়েছেন অর্থ, কয়েক বছরেই বনে গেছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার বিরুদ্ধে রাজধানীতেই রয়েছে ৩২টি মামলা।
মোহাম্মদ শাহেদ নামেই পরিচিতি। আসল নাম শাহেদ করিম। রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনি। সাতক্ষীরার এক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তান শাহেদ কয়েক বছরেই হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক ।
২০১১ সালে ধানমন্ডিতে এমএলএম ব্যবসা করে গ্রাহকদের ৫০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তখন লোকে তাকে চিনতো মেজর ইফতেখার করিম নামে। কখনো মেজর, কখনো সচিব. ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর এপিএস হিসেবেও নিজের পরিচয় দিয়েছেন।
মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ থেকে ৬ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার নথিতে নিজেকে অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল হিসেবে জাহির করেন। এ বিষয়ে আদালতে ২টি মামলা চলছে এখনো।
শাহেদের বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় ২টি, বরিশালে ১টি, উত্তরা থানায় ৮টি মামলাসহ রাজধানীতে ৩২টি মামলা রয়েছে। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে প্রতারণার মামলায় তাকে একবার গ্রেফতারও করা হয়েছিলো।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে শাহেদসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন। প্রশাসন জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছিল। বেরিয়ে এসেছে কী পরিমাণ অনিয়ম এখানে হয়েছে।
আরো পড়ুন: রিজেন্টের প্রধান কার্যালয়ে মিলল অসংখ্য অনুমোদনহীন কিট। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অনুসন্ধান চলছে।
সোমবার রাজধানীর উত্তরা এবং মিরপুরে শাহেদের মালিকানাধীন রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাব। উঠে আসে অনিয়ম ও প্রতারণার নানা চিত্র।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ


























