০৫:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস গাড়ি কেনা বন্ধ

আগামী ছয় মাস সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় কমানোর জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ শাখা এক পরিপত্রে সরকারের এ সিদ্ধান্ত সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরকে জানিয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের কৃচ্ছ সাধন নীতির আলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় সকল প্রকার নতুন অথবা প্রতিস্থাপক যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে ব্যয় হয় তাকে পরিচালন ব্যয় বলা হয়। আর উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে ব্যয় তাকে বলা হয় উন্নয়ন ব্যয়। সাধারণত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে গাড়ি কেনে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হওয়ার আশংকা করছে সরকার। এজন্য যেসব ব্যয় না করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব তেমন ব্যয় না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোতে গাড়ি বাবদ অনেক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প শেষে ওই গাড়ির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। আবার গাড়ি কেনার চেয়ে এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এজন্য আগে থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে সরকার। কেনার পরিবর্তে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গাড়ি ও চালক ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্পে বিশেষ প্রয়োজনে গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফলে আগামী ছয় মাস এসব গাড়ি কেনাও বন্ধ থাকবে। প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নেওয়াও বন্ধ থাকা উচিত মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

একজন ব্যবসায়ী বান্ধব নেতা ওয়াহিদুল হাসান দিপু

সরকারি প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস গাড়ি কেনা বন্ধ

প্রকাশিত : ০৬:৪৭:৫৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই ২০২০

আগামী ছয় মাস সরকারি প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে। পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় কমানোর জন্য সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ শাখা এক পরিপত্রে সরকারের এ সিদ্ধান্ত সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরকে জানিয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও সরকারের কৃচ্ছ সাধন নীতির আলোকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয়ের আওতায় সকল প্রকার নতুন অথবা প্রতিস্থাপক যানবাহন কেনা বন্ধ থাকবে।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য যে ব্যয় হয় তাকে পরিচালন ব্যয় বলা হয়। আর উন্নয়ন প্রকল্প বা কর্মসূচি বাস্তবায়নে যে ব্যয় তাকে বলা হয় উন্নয়ন ব্যয়। সাধারণত সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য স্থায়ীভাবে গাড়ি কেনে। আর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন ধরনের গাড়ি কেনা হয়ে থাকে। করোনাভাইরাসের কারণে রাজস্ব আয় কম হওয়ার আশংকা করছে সরকার। এজন্য যেসব ব্যয় না করে কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব তেমন ব্যয় না করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পগুলোতে গাড়ি বাবদ অনেক ব্যয় হয়ে থাকে। কিন্তু প্রকল্প শেষে ওই গাড়ির প্রয়োজনীয়তা থাকে না। আবার গাড়ি কেনার চেয়ে এর পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও জ্বালানি বাবদ খরচ হয় অনেক বেশি। এসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগও পাওয়া যায়। এজন্য আগে থেকেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য গাড়ি কেনা বন্ধ রেখেছে সরকার। কেনার পরিবর্তে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে গাড়ি ও চালক ভাড়া নিয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালনার নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। কোনো কোনো প্রকল্পে বিশেষ প্রয়োজনে গাড়ি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। সরকার যেহেতু সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফলে আগামী ছয় মাস এসব গাড়ি কেনাও বন্ধ থাকবে। প্রকল্পে গাড়ি ভাড়া নেওয়াও বন্ধ থাকা উচিত মনে করেন ওই কর্মকর্তা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর