১২:১৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

নওগাঁর সতিহাট বাসষ্ট্যান্ড যাত্রীছাউনির বেহালদশা, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

নওগাঁর মান্দায় অযত্ন-অবহেলায় বেহাল হয়ে পড়েছে সতিহাট বাসষ্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। যাত্রী বা পথচারীদের জন্য তৈরি করা যাত্রীছাউনিটি দখল ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে।
দীর্ঘদিনধরে সংস্কার না করা ও অযত্ন-অবহেলায় যাত্রী ছাউনির কিছু স্থানে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং কয়েক দফার ঘূর্ণিঝড়ে টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।এতে করে বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী ও পথচারীদের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মান্দার সতিহাট বাসষ্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে তৈরি করা হয় একটি যাত্রী ছাউনি। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে এই যাত্রী ছাউনিটি।
এ যাত্রী ছাউনিটির বসার স্থান নোংরা,ভাঙাচুড়া এবং অপরিস্কার, পলেস্তারা খসে পড়ছে। ময়লা জমে জমে কালচে রং ধারণ করেছে। অবৈধ দখল, মাদকসেবী, ভিক্ষুক ও হকারদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে এ যাত্রী ছাউনিটি।এই যাত্রী ছাউনির কারণে পথচারীদের সুবিধার পরিবর্তে ভোগান্তি বেড়ছে। জানাগেছে , আশির দশকে নির্মিত এ যাত্রী ছাউনিতে তেমন একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যাত্রী ছাউনিটির ভেতর একাংশে রয়েছে একটি
দোকান, সামনে রয়েছে অটোচার্জারের স্ট্যান্ড। এছাড়াও ছাউনিতে রয়েছে ভাসমান চা-সিগারেটের দোকান। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ রয়েছে। তবে, বেঞ্চে একাংশ ভেঙে আছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। পোস্টারেও ছেয়ে গেছে পুরো ছাউনি। আবর্জনায় ভরপুর হওয়ায় সবসময় মশার উপদ্রব থাকে। যাত্রী ছাউনিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, আমাদের অর্থ দিয়ে, আমাদের জন্য তৈরি করা ছাউনি কেন ব্যবহারের অযোগ্য থাকবে? বসার জন্য ছোট একটি বেঞ্চ রয়েছে, সেটিও ভাঙা। আবর্জনার গন্ধে থাকা যায় না। একটু বিশ্রাম নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়। তারা অারো বলেন যে, যাত্রী ছাউনিতে শুধু বাসের যাত্রীরা অপেক্ষা করে না। অনেক দূর থেকে আসা পথচারীরাও বিশ্রাম নেয়। বিশেষ করে, রোদ বৃষ্টি থেকে আশ্রয় নিতে যাত্রী ছাউনির প্রয়োজন অনেক বেশি। তবে, এ ছাউনির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। যাত্রী ছাউনিতে রয়েছে ১ টি স্থায়ী দোকান। এটি দ্রুত অপসারণসহ যাত্রীছাউনিটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

নওগাঁর সতিহাট বাসষ্ট্যান্ড যাত্রীছাউনির বেহালদশা, নেই সংস্কারের উদ্যোগ

প্রকাশিত : ০৪:৩১:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

নওগাঁর মান্দায় অযত্ন-অবহেলায় বেহাল হয়ে পড়েছে সতিহাট বাসষ্ট্যান্ডের যাত্রীছাউনি। যাত্রী বা পথচারীদের জন্য তৈরি করা যাত্রীছাউনিটি দখল ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে আছে।
দীর্ঘদিনধরে সংস্কার না করা ও অযত্ন-অবহেলায় যাত্রী ছাউনির কিছু স্থানে ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং কয়েক দফার ঘূর্ণিঝড়ে টিনের ছাউনি উড়ে গেছে।এতে করে বাসের জন্য অপেক্ষমান যাত্রী ও পথচারীদের প্রতিনিয়ত চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মান্দার সতিহাট বাসষ্ট্যান্ডে বাসের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীদের বিশ্রাম নেয়ার জন্য রাস্তার দক্ষিণ পার্শ্বে তৈরি করা হয় একটি যাত্রী ছাউনি। অথচ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে এই যাত্রী ছাউনিটি।
এ যাত্রী ছাউনিটির বসার স্থান নোংরা,ভাঙাচুড়া এবং অপরিস্কার, পলেস্তারা খসে পড়ছে। ময়লা জমে জমে কালচে রং ধারণ করেছে। অবৈধ দখল, মাদকসেবী, ভিক্ষুক ও হকারদের আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে এ যাত্রী ছাউনিটি।এই যাত্রী ছাউনির কারণে পথচারীদের সুবিধার পরিবর্তে ভোগান্তি বেড়ছে। জানাগেছে , আশির দশকে নির্মিত এ যাত্রী ছাউনিতে তেমন একটা উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। যাত্রী ছাউনিটির ভেতর একাংশে রয়েছে একটি
দোকান, সামনে রয়েছে অটোচার্জারের স্ট্যান্ড। এছাড়াও ছাউনিতে রয়েছে ভাসমান চা-সিগারেটের দোকান। বসার জন্য সিমেন্টের তৈরি বেঞ্চ রয়েছে। তবে, বেঞ্চে একাংশ ভেঙে আছে। ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা খসে পড়ছে। পোস্টারেও ছেয়ে গেছে পুরো ছাউনি। আবর্জনায় ভরপুর হওয়ায় সবসময় মশার উপদ্রব থাকে। যাত্রী ছাউনিতে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, আমাদের অর্থ দিয়ে, আমাদের জন্য তৈরি করা ছাউনি কেন ব্যবহারের অযোগ্য থাকবে? বসার জন্য ছোট একটি বেঞ্চ রয়েছে, সেটিও ভাঙা। আবর্জনার গন্ধে থাকা যায় না। একটু বিশ্রাম নিতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে হয়। তারা অারো বলেন যে, যাত্রী ছাউনিতে শুধু বাসের যাত্রীরা অপেক্ষা করে না। অনেক দূর থেকে আসা পথচারীরাও বিশ্রাম নেয়। বিশেষ করে, রোদ বৃষ্টি থেকে আশ্রয় নিতে যাত্রী ছাউনির প্রয়োজন অনেক বেশি। তবে, এ ছাউনির বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেছে। যাত্রী ছাউনিতে রয়েছে ১ টি স্থায়ী দোকান। এটি দ্রুত অপসারণসহ যাত্রীছাউনিটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন পথচারীরা।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ