ময়মনসিংহের র্যাব-১৪ মোবাইল কোর্টের মধ্যেমে ভালুকার মাছের বাজারে অভিযান চালিয়ে মানুষখেকো হিসেবে পরিচিত দুই হাজার কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করেছে। রুপচাঁদা বলে সরকারি নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রির জন্য তিন মাছ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। অধিক লাভের আশায় নিষিদ্ধ এই মাছ উৎপাদনের সাথে জড়িত তিন মালিক ঘা ডাকা দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪জুলাই) বিকালে র্যার-১৪ কার্যালয় থেকে পাঠানো সিনিয়র এএসপি জুনাঈদ আফ্রাদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয় । প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ সকাল ছয়টা থেকে সকাল নয়টা পর্যন্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিনিয়র এএসপি জুনাইদ আফ্রাদ, এএসপি তাসলিম হুসাইনের নেতৃত্বে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুমেন শর্মা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ভালুকার মাছ বাজারে অভিযান চালানো হয়। তখন নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রির দায়ে ব্যবসায়ী মামুদ রানাকে ৫ হাজার টাকা,শ্রী রবেন চন্দ্র বর্মনকে ৩ হাজার টাকা ও রুকন উদ্দিনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। তবে তিনজন মাছ উৎপাদনকারী ফার্মের মালিক সবুজ মন্ডল,আব্দুল সামাদ মন্ডল ও মিলন মন্ডল পলাতক রয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি জুনাঈদ আফ্রাদ জানান,সারাদেশে রুপচাঁদার নামে অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রি করেছে। এই মাছটি মূলত আমাজন নদীর ভয়ংকর মাছ। মানুষখেকো হিসেবেও এই মাছটি পরিচিত। পিরানহা মাছ তাদের খোরদার দাঁত দিয়ে মাত্র কয়েক মিনিটে মানুষের হাড় থেকে মাংস আলাদা করে ফেলে। বেশী লাভের আশায় সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে মাছ বিক্রি করেছে ও মাছের ফার্মের মালিকরা উৎপাদন অব্যাহত রেখেছে। পলাতক তিনজনের বিরুদ্ধে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বাদী হয়ে ভালুকা থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ


























