০৯:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

মান্দায় বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত, শতশত পরিবার ঘর ছাড়া

নওগাঁয় মান্দায় আত্রাই নদের ৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত দুই দিন এই বাঁধগুলো ভেঙ্গে যায়। ফলে উপজেলার শতশত পরিবারের লোকের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এ সব পরিবার বাঁধে ও উঁচু স্থানে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাসবাস শুরু করেছেন। আবার বাঁধের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষার জন্যে বালির বস্তা ও বাঁশ ব্যবহার করছেন।

জানা গেছে, জেলার মান্দা উপজেলায় নুরুল্লাবাদ উত্তরপাড়া, জোকাহাট, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি নামক স্থানে এবং আত্রাই নদের ডান তীরে পৃথক পৃথক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় এ দুই উপজেলার কমপক্ষে ৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হযে পড়েছে। বন্যাকবলিত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ, কসব, বিষ্ণপুর।
এসব এলাকার আউশ ধান এবং সদ্য রোপিত আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। শত শত বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব পরিবারের লোকজন বিভিন্ন রাস্তা এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি বন্যাকবলিত এলাকায় যান নি বা কোন সহযোগিতা প্রদান করেননি বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন রাস্তায় এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো তাদের ছেলে মেয়ে এবং গরু ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খোলা আকাশের নিচে তাঁরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। এখনো মান্দা-জোতবাজার-আত্রাই বাঁধের অন্তত: ৪০টি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এসব ফাটলে বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে মেরামত করছেন।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ চলছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

জনপ্রিয়

নওগাঁয় হাসপাতালের অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদে হাসপাতাল ঘেরাও, তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে তালা

মান্দায় বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত, শতশত পরিবার ঘর ছাড়া

প্রকাশিত : ০৩:৩২:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই ২০২০

নওগাঁয় মান্দায় আত্রাই নদের ৫টি স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ৪টি ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। গত দুই দিন এই বাঁধগুলো ভেঙ্গে যায়। ফলে উপজেলার শতশত পরিবারের লোকের ঘরে পানি ঢুকে গেছে। এ সব পরিবার বাঁধে ও উঁচু স্থানে পরিবারের লোকজন নিয়ে বাসবাস শুরু করেছেন। আবার বাঁধের অনেক স্থানে ফাটল দেখা দেওয়ায় স্থানীয়রা বাঁধ রক্ষার জন্যে বালির বস্তা ও বাঁশ ব্যবহার করছেন।

জানা গেছে, জেলার মান্দা উপজেলায় নুরুল্লাবাদ উত্তরপাড়া, জোকাহাট, চকরামপুর ও কয়লাবাড়ি নামক স্থানে এবং আত্রাই নদের ডান তীরে পৃথক পৃথক স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় এ দুই উপজেলার কমপক্ষে ৪টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হযে পড়েছে। বন্যাকবলিত ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে মান্দা উপজেলার নুরুল্যাবাদ, কসব, বিষ্ণপুর।
এসব এলাকার আউশ ধান এবং সদ্য রোপিত আমন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। শত শত বাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এসব পরিবারের লোকজন বিভিন্ন রাস্তা এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন। এই দুই উপজেলার বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেয়া হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত প্রশাসনিকভাবে কিংবা কোন জনপ্রতিনিধি বন্যাকবলিত এলাকায় যান নি বা কোন সহযোগিতা প্রদান করেননি বলে তাঁরা অভিযোগ করেছেন।
বিভিন্ন রাস্তায় এবং উঁচু স্থানে আশ্রয় নেয়া পরিবারগুলো তাদের ছেলে মেয়ে এবং গরু ছাগল নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। খোলা আকাশের নিচে তাঁরা দুর্বিসহ জীবন যাপন করছেন। এখনো মান্দা-জোতবাজার-আত্রাই বাঁধের অন্তত: ৪০টি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা এসব ফাটলে বাঁশ ও বালির বস্তা দিয়ে মেরামত করছেন।

মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হালিম বলেন, নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারী বাড়ানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার কাজ চলছে। দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খোলা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ৫শ’ পরিবারের মধ্যে খাদ্য বিতরণ করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ