দিনে ক্রেতাশূন্য থাকলেও রাজধানীর কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে রাতের চিত্র ভিন্ন। ঈদের মাত্র দুদিন বাকি থাকায় বেড়েছে উপস্থিতি। তবে ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি। অবশ্য এখনো আশা ছাড়ছেন না বিক্রেতারা।
তবে বিক্রেতারা বলছেন ক্রেতার চেয়ে দর্শকই বেশি। তাদের উদ্ভট প্রশ্নে অনেক ক্ষেত্রে বিব্রতও হচ্ছেন বিক্রেতারা।
আসমত আলী। বাংলার বস ও বাংলার সম্রাট নিয়ে এসেছেন গাবতলী পশুর হাটে। গরু দুটির দাম হাকিয়েছেন ৩০ লাখ ও ২২ লাখ টাকা। হাটের প্রধান ফটকের পাশেই হওয়ায় দর্শনার্থীদরে আনাগোনাও বেশি। সবাই ছবি ও ভিডিও করতে ব্যস্ত। কিন্তু কিনছেন না কেউই।
গরু ব্যবসায়ীরা জানান, মানুষ শুধু ছবি তুলছে গরু কিনছেন না কেউ। এতে আরো বেশি ঝামেলা হচ্ছে। যারা গরু কিনবেন তারা সুযোগ পাচ্ছে না।
অনলাইনে গরু বিক্রি নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। গরু কেনার কথা বলে একই মোবাইল নম্বর থেকে একাধিক ব্যক্তি গরুর দরদাম করছেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, কুমিল্লা, ঢাকা উত্তরা, গুলশানসহ বিভিন্ন জায়গা থেকে একই নাম্বার থেকে ফোন করে বিভিন্ন রকম কথা বলে। এতে দারুণ ভোগান্তিতে পড়েছি। এ কারণে ফোন বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছি।
তবে গাবতলী হাটে যারা আসছেন তারা কেউ যাচাই বাছাই করেই কিনছেন গরু। আবার দাম কমবে এমন আশায় অনেকে ফিরেও যাচ্ছেন।
রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে এবার কোরবানীর হাট বসেছে ১১টি।
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর