চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোর আসার পথে ট্রাক চাপায় পড়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মোঃ জাহিদ হাসান গুরুতর আহত হয়েছেন। জাহিদ চুয়াডাঙ্গা জেলার পদ্মবিলা ইউনিয়নের ধুতুরহাট গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বারের মোঃ কামাল উদ্দিনের ছেলে ।

আজ ৬ই আগস্ট সকাল আনুমানিক ৯:৩০ টার দিকে মহেশপুর-খালিশপুর রোডে বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ দর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ব্যক্তিগত কাজে মোটরসাইকেলযোগে জাহিদ এবং তার দুই ছোট ভাই মোঃ ফয়সাল আহমেদ ও মোঃ আবু সাঈদ চুয়াডাঙ্গা থেকে যশোরে আসছিলেন। আসার পথে একই দিক থেকে আসা চলমান বালির ট্রাক পেছন থেকে এসে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। এর ফলে জাহিদ মোটরসাইকেলসহ রাস্তার বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে পড়ে। এর ফলে তার মাথায় চোট, হাত ছুলে যাওয়া এবং বাম পায়ের হাঁটুর কাছাকাছি অংশের মাংস কেটে পড়ে যায়, পায়ের লিগামেন্ট অনেকগুলো ছিড়ে যায় এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। জাহিদ গুরুতর আহত হলেও বাকি দুজন হাতে মাথায় পায়ে সামান্য চোট পেয়েছেন এবং সুস্থ আছেন তারা। দুর্ঘটনা ঘটার সাথে সাথে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জাহিদকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

যশোর সদর হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় তার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন এবং সেটা যশোরের সম্ভব নয়। এ কারণে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে জাহিদকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এসময় দায়িত্বরত চিকিৎসক জানায়, খুব সম্ভবত জাহিদের বাম পায়ের নিচের অংশ কেটে ফেলা লাগতে পারে। তবে ঢাকাতে পৌঁছে অপারেশন হলে আরো সঠিকভাবে জানা যাবে।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী, যারা জাহিদের সাথে মোটরসাইকেলেই ছিলেন তারা দুজন এখন প্রাথমিক চিকিৎসার পর মোটামুটিভাবে সুস্থ আছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর