১০:৩৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

মেজর সিনহাকে নিয়ে মুখ খুললেন কোবরা

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে দেখা হওয়া ছাড়াও অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও এসআই লিয়াকতের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গুজব, ভিত্তিহীন দাবি করে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা।

জানা যায়, সিনহা হত্যাকাণ্ড যেখানে ঘটে, সেই বাহারছড়া সংলগ্ন মারিসঘোণা এলাকাতেই বসবাস করেন চলচ্চিত্রের ফাইটিং গ্রুপ পরিচালনাকারী ইলিয়াস কোবরা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে চলচ্চিত্রের ফাইটিং গ্রুপ পরিচালনাকারী ইলিয়াস কোবরার আমন্ত্রণ পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারেননি মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা ছিলেন সিনহা। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন খল অভিনেতা কোবরা।

মেজর সিনহা সম্পর্কে ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমি জানতামই না যে মেজর সিনহা নামে কেউ আছে। গণমাধ্যমে যখন খবর আসে তখন আমি মেজর সিনহা সম্পর্কে জানতে পারি।

তিনি আরো বলেন, সিনহার সঙ্গে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি নেই, এখানেও নেই, ঢাকাতেও কিছু নেই।

অভিযোগ উঠেছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার অবস্থান, কতক্ষণ পর কোন রাস্তায় কোথায় যাবেন সেসব তথ্য জানিয়ে কোবরা ৯টি এসএমএস পাঠান ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে। তবে খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না এসএমএস তো দূরে কথা। এ সব তথ্য গুজব ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি করার জন্য এমন খবর রটানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

এছাড়াও ইলিয়াস কোবরা এসআই লিয়াকতের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে কোবরা বলেন, আমি নিজেই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করি। মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য আমার সংগঠন আছে। মাদক নিয়ে আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে এর ভয়াবহতা তুলে ধরি।

তথ্য প্রমাণ ছাড়া তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর জন্য তিনি আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত মারুক শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কোবরার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

মেজর সিনহাকে নিয়ে মুখ খুললেন কোবরা

প্রকাশিত : ০৭:০৫:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৯ অগাস্ট ২০২০

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে দেখা হওয়া ছাড়াও অভিযুক্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও এসআই লিয়াকতের সঙ্গে তার কথা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ গুজব, ভিত্তিহীন দাবি করে আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন এ অভিনেতা।

জানা যায়, সিনহা হত্যাকাণ্ড যেখানে ঘটে, সেই বাহারছড়া সংলগ্ন মারিসঘোণা এলাকাতেই বসবাস করেন চলচ্চিত্রের ফাইটিং গ্রুপ পরিচালনাকারী ইলিয়াস কোবরা।

বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে চলচ্চিত্রের ফাইটিং গ্রুপ পরিচালনাকারী ইলিয়াস কোবরার আমন্ত্রণ পুরোপুরি এড়িয়ে যেতে পারেননি মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। পুলিশের গুলিতে মৃত্যুর আগে ইলিয়াস কোবরার সঙ্গে বেশ কয়েক ঘণ্টা ছিলেন সিনহা। এমন অভিযোগ অস্বীকার করেন খল অভিনেতা কোবরা।

মেজর সিনহা সম্পর্কে ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমি জানতামই না যে মেজর সিনহা নামে কেউ আছে। গণমাধ্যমে যখন খবর আসে তখন আমি মেজর সিনহা সম্পর্কে জানতে পারি।

তিনি আরো বলেন, সিনহার সঙ্গে যেখানে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আমার কোনো সম্পত্তি নেই, এখানেও নেই, ঢাকাতেও কিছু নেই।

অভিযোগ উঠেছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার অবস্থান, কতক্ষণ পর কোন রাস্তায় কোথায় যাবেন সেসব তথ্য জানিয়ে কোবরা ৯টি এসএমএস পাঠান ওসি প্রদীপ কুমার দাসকে। তবে খলনায়ক ইলিয়াস কোবরা বলেন, আমি লেখাপড়া জানি না এসএমএস তো দূরে কথা। এ সব তথ্য গুজব ভিত্তিহীন। আমার সম্মানহানি করার জন্য এমন খবর রটানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।

এছাড়াও ইলিয়াস কোবরা এসআই লিয়াকতের সঙ্গে মাদক ব্যবসায় জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। তবে বিষয়টি ভিত্তিহীন উল্লেখ করে কোবরা বলেন, আমি নিজেই মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করি। মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য আমার সংগঠন আছে। মাদক নিয়ে আমি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে শিল্পী হিসেবে এর ভয়াবহতা তুলে ধরি।

তথ্য প্রমাণ ছাড়া তার বিরুদ্ধে গুজব ছড়ানোর জন্য তিনি আইনি ব্যবস্থা নিবেন বলেও জানান।

প্রসঙ্গত, ১৯৮৭ সালে সোহেল রানা পরিচালিত মারুক শাহ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে ইলিয়াস কোবরার অভিষেক ঘটে। চলচ্চিত্রে আসার আগে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালাতেন। তিনি প্রায় পাঁচ শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। তিনি ২০০০ সালে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ক্রীড়া-সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর