০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫

অপরাধ কমেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়

করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের প্রথম তিন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ৪০ শতাংশ কমেছে।

পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী ভেকি চেলে জানান, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো কমেছে। তিনি জানান, লকডাউনের সময় অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখানে সাহায্য করেছে। যদিও মহামারীর সময় পানীয়র দোকানে হামলার ঘটনা বেড়েছে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বে অন্যতম শীর্ষে। করোনাভাইরাস সংক্রমণেও এটি উপরের দিকে। আফ্রিকা মহাদেশের অর্ধেক সংক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকায়। আজ পর্যন্ত সেখানে ৫ লাখ ৮০ হাজার সংক্রমণ ও ১১ হাজার ৫৫৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংক্রমণে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভেকি চেলে শুক্রবার সংবাদকর্মীদের বলেন, অফিশিয়াল সংখ্যা আসলে ‘অতীতে কখনই দেখা যায়নি’ এমন ‘আশাব্যঞ্জক’ চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে এবং শান্তিপূর্ণ এক দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা দেখেছি যেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের যেন ‘ছুটি’ ছিল। তার কথায়, ‘এই তিন মাসে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তিন মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।’ এছাড়া গোলাগুলি, অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্বেষমূলক ক্ষতি করার ঘটনা কমেছে ২৯ শতাংশ।

যদিও অ্যালকোহল আর সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ২৭ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ১২ জুলাই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে।

এপ্রিলে ভেকি চেলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যেখানেই মদ বিক্রি করা হবে সেখানে সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেবে তার কর্মকর্তারা। মদ খাওয়া অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়লে অত্যাচার করার ঘটনা নিয়ে সমালোচিত হন ভেকি চেলে। এক ব্যক্তিকে তারই বাগানে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে।

পানশালা ও রেস্টুরেন্ট মালিকরাও নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেন। তারা অভিযোগ করেন, এতে তাদের ব্যবসাই ধ্বংস হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এ সপ্তাহে রাস্তায় প্রতিবাদ করেন কিছু মানুষ। যদিও প্রশাসন বলছে, এই নিষেধাজ্ঞায় দেশে অপরাধ কমেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

অপরাধ কমেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়

প্রকাশিত : ০৭:০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের প্রথম তিন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ৪০ শতাংশ কমেছে।

পুলিশ বিষয়ক মন্ত্রী ভেকি চেলে জানান, এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যৌন হয়রানি থেকে শুরু করে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাগুলো কমেছে। তিনি জানান, লকডাউনের সময় অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা এখানে সাহায্য করেছে। যদিও মহামারীর সময় পানীয়র দোকানে হামলার ঘটনা বেড়েছে।

সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনে দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বে অন্যতম শীর্ষে। করোনাভাইরাস সংক্রমণেও এটি উপরের দিকে। আফ্রিকা মহাদেশের অর্ধেক সংক্রমণ দক্ষিণ আফ্রিকায়। আজ পর্যন্ত সেখানে ৫ লাখ ৮০ হাজার সংক্রমণ ও ১১ হাজার ৫৫৬ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সংক্রমণে বিশ্বে পঞ্চম স্থানে দক্ষিণ আফ্রিকা।

ভেকি চেলে শুক্রবার সংবাদকর্মীদের বলেন, অফিশিয়াল সংখ্যা আসলে ‘অতীতে কখনই দেখা যায়নি’ এমন ‘আশাব্যঞ্জক’ চিত্রই ফুটিয়ে তুলছে এবং শান্তিপূর্ণ এক দক্ষিণ আফ্রিকাকে আমরা দেখেছি যেখানে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের যেন ‘ছুটি’ ছিল। তার কথায়, ‘এই তিন মাসে গত বছরের এই সময়ের তুলনায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। তিন মাসে ধর্ষণের ঘটনা ৪০ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে।’ এছাড়া গোলাগুলি, অগ্নিকাণ্ড ও বিদ্বেষমূলক ক্ষতি করার ঘটনা কমেছে ২৯ শতাংশ।

যদিও অ্যালকোহল আর সিগারেটের ওপর নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তটি নিয়ে বেশ বিতর্কের সৃষ্টি হয়। ২৭ মার্চ থেকে ১ জুন পর্যন্ত অ্যালকোহলের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। ১২ জুলাই নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করা হয়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে।

এপ্রিলে ভেকি চেলে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, যেখানেই মদ বিক্রি করা হবে সেখানে সব স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেবে তার কর্মকর্তারা। মদ খাওয়া অবস্থায় হাতেনাতে ধরা পড়লে অত্যাচার করার ঘটনা নিয়ে সমালোচিত হন ভেকি চেলে। এক ব্যক্তিকে তারই বাগানে পিটিয়ে মারার অভিযোগ রয়েছে।

পানশালা ও রেস্টুরেন্ট মালিকরাও নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেন। তারা অভিযোগ করেন, এতে তাদের ব্যবসাই ধ্বংস হয়ে যাবে। নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে এ সপ্তাহে রাস্তায় প্রতিবাদ করেন কিছু মানুষ। যদিও প্রশাসন বলছে, এই নিষেধাজ্ঞায় দেশে অপরাধ কমেছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর