বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যথাযোগ্য মর্যাদা, ভাবগম্ভীর পরিবেশে এবং করোনা মহামারীর সংক্রমণ রোধে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় কালো ব্যাজ ধারণ এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় দিবসের মূল কর্মসূচি।
এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর প্রতিকৃতির সামনে দাঁড়িয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুসহ সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ।
পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা এবং ট্রেজারার প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল
অনুষদ, বিভাগ, সকল দপ্তর, আবাসিক হল, ইন্সটিটিউট, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, কর্মচারী ইউনিয়ন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের বিভিন্ন সংগঠন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান শেখ নোবেল এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বেলা ১২টায় ভার্চুয়াল আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য প্রফেসর ডক্টর মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ,এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন
উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা ও ট্রেজারার প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল-এর প্রভোস্ট ও জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটি ২০২০-এর সদস্য সচিব তাবিউর রহমান প্রধানের সঞ্চালনায়
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা বিভাগের প্রশাসক এবং জাতীয় শোক দিবস
পালন কমিটি ২০২০-এর আহবায়ক প্রফেসর ড. নাজমুল হক। সভায় প্রধান অতিথির বক্তবে উপাচার্য বলেন,
‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের জনগণের মুক্তির যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যকে জয় করে বিশ্বসভায় একটি উন্নয়নশীল, মর্যাদাবান জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঘাতকচক্র জাতির পিতাকে হত্যা করলেও তাঁর নীতি ও আদর্শকে মুছে ফেলতে পারেনি। বাঙালির মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চিরঞ্জীব তঁার চেতনা অবিনশ্বর। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের কাছে শেখ মুজিবুর রহমানের অবিনাশী চেতনা ও আদর্শ চির প্রবাহমান থাকবে। আগামী দিনে
বঙ্গবন্ধুর চেতনা ও আদর্শকে অনুসরণ করে দেশকে এগিয়ে নেবে, নতুন প্রজন্মের কাছে এই প্রত্যাশা করেন তিনি। ‘
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সরিফা সালোয়া ডিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে সাজা কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।’
সভায় ট্রেজারার প্রফেসর ড. হাসিবুর রশীদ বলেন, ‘একটি কমিশন গঠন করে ১৫ই আগস্টের ষড়যন্ত্রকারীদেরও বিচার দাবি করেন। ‘
বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর