করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার শর্তে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে বর্তমানে বাড়তি ভাড়া বহাল থাকলেও রাজধানীর অধিকাংশ গণপরিবহনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে ঠাসাঠাসি করে।
মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর বিভিন্ন রুটে চলাচলরত বেশিরভাগ বাসে দেখা গেছে, প্রায় সব আসনে যাত্রী নেওয়া হয়েছে।
করোনার প্রাদুর্ভাবের আগে প্রজাপতি পরিবহনের বাসে মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুরের ভাড়া ছিল ২০ টাকা। এখন ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। এক আসন পর পর যাত্রী নেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। প্রায় সব আসনেই যাত্রী বসানো হয়েছে। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিও যথাযথভাবে মানা হচ্ছে না।
কথা হয় যাত্রী মোহাম্মদ ইমরানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদপুর থেকে মিরপুর ১০ নাম্বারে যাব। বাসে উঠেই দেখি, সামনের সিটগুলোতে যাত্রী আছে। কেউ এক সিট ফাঁকা রেখে বসছেন না। প্রতিবাদ করলে হেল্পার বলেন, মামা, সামনেই অনেকে নেমে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রথমে যাত্রীদের সচেতন হতে হবে। কেউ কোনো প্রতিবাদ করে না। এমন হলে বাসের কন্ট্রাক্টররা তো বেশি ভাড়া আর বেশি লোক নিবেই। তারা তো সুযোগ খোঁজে, কীভাবে কিছু টাকা বেশি আয় করা যায়।’
মিরপুর থেকে উত্তরাগামী ইলিয়াস হোসেন বলেন, ‘প্রতি দিন এভাবে ঠেলাঠেলি করে অফিসে যাওয়া-আসা করছি। ঝগড়া, প্রতিবাদ প্রতিদিন কারো ভালো লাগে না। আমার কথা হচ্ছে, বাসভাড়া আগের মতো নেওয়া হোক। আমরা করোনার ঝুঁকির চেয়ে বেশি আর্থিক ঝুঁকিতে পড়েছি।’
বাসের হেল্পার রাব্বি হসেন বলেন, ‘যাত্রীরা গেট ঠেলে উঠলে আমরা কী করব?’
প্রায় একই অবস্থা রাজধানীর অন্যান্য রুটের বাসগুলোতেও। অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার নিয়মের তোয়াক্কা না করে সব আসনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।
বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত