০১:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

ঢাকার বস্তিতে করোনা কেন কম?

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করা মানুষদের মধ্য এখন পর্যন্ত ৬ শতাংশের নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ধরা পড়েছে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা তাদের জীবন-যাপনের ধরনের কথা উল্লেখ করছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থার (আইসিডিডিআর,বি’) যৌথ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সার্বিকভাবে এ হার ৯ শতাংশ হলেও বস্তিতে এ হার আরও তিন শতাংশ কম।

জরিপে রাজধানীর ৬টি বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের সময় যেকোনো একটি বাড়ির চারজনের মধ্যে একজনের শরীরে পরিদর্শনের দিন কিংবা পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যে করোনার চারটি উপসর্গের একটি পাওয়া গেলে তাকে উপসর্গের রোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একইভাবে রাজধানীর ছয়টি বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন বাড়ি পরিদর্শনের সময় যেকোনো একটি বাড়ির চারজনের মধ্যে একজনের পরিদর্শনের দিন কিংবা পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যে করোনার চারটি উপসর্গের একটিও না পাওয়া গেলে তাকে উপসর্গবিহীন রোগী ধরা হয়। মোট ৩ হাজার ২২৭টি বাড়ি পরিদর্শনকালে ২১১ জন করোনা উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক লেলিন চৌধুরী এ বিষয়ে ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে শনিবার বলেন, ‘তাদের (বস্তিবাসী) কারোরই মাস্ক নেই। কিন্তু কম আক্রান্ত। এ কারণেই ঢাকায় কভিড-১৯ রোগটিকে এখনো বড়লোকের রোগ বলা হচ্ছে।’

‘এসব মানুষেরা জামা কম পরেন, জুতা ব্যবহার করেন না, অধিকাংশ সময় সরাসরি সূর্য এবং প্রকৃতির কাছে থাকেন, তাদের ইমিউনিটি ভালো। যেসব মানুষ এসির ভেতর থাকেন, সূর্যের আলো কম লাগান, সংরক্ষিত খাবার বেশি খান তাদের ইমিউনিটি কম।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত

বরিশালে পেশাদার সাংবাদিকদের ৩৫ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

ঢাকার বস্তিতে করোনা কেন কম?

প্রকাশিত : ০৬:৪২:৪৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ অগাস্ট ২০২০

রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন বস্তিতে বসবাস করা মানুষদের মধ্য এখন পর্যন্ত ৬ শতাংশের নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ধরা পড়েছে। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা তাদের জীবন-যাপনের ধরনের কথা উল্লেখ করছেন।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা সংস্থার (আইসিডিডিআর,বি’) যৌথ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।

তথ্য অনুযায়ী রাজধানীর মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। সার্বিকভাবে এ হার ৯ শতাংশ হলেও বস্তিতে এ হার আরও তিন শতাংশ কম।

জরিপে রাজধানীর ৬টি বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন বাড়ি পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনের সময় যেকোনো একটি বাড়ির চারজনের মধ্যে একজনের শরীরে পরিদর্শনের দিন কিংবা পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যে করোনার চারটি উপসর্গের একটি পাওয়া গেলে তাকে উপসর্গের রোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

একইভাবে রাজধানীর ছয়টি বস্তি এলাকাসহ বিভিন্ন বাড়ি পরিদর্শনের সময় যেকোনো একটি বাড়ির চারজনের মধ্যে একজনের পরিদর্শনের দিন কিংবা পরবর্তীতে ৭ দিনের মধ্যে করোনার চারটি উপসর্গের একটিও না পাওয়া গেলে তাকে উপসর্গবিহীন রোগী ধরা হয়। মোট ৩ হাজার ২২৭টি বাড়ি পরিদর্শনকালে ২১১ জন করোনা উপসর্গের রোগী পাওয়া যায়।

বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং গবেষক লেলিন চৌধুরী এ বিষয়ে ভারতের বেসরকারি সংবাদ সংস্থা আইএএনএস-কে শনিবার বলেন, ‘তাদের (বস্তিবাসী) কারোরই মাস্ক নেই। কিন্তু কম আক্রান্ত। এ কারণেই ঢাকায় কভিড-১৯ রোগটিকে এখনো বড়লোকের রোগ বলা হচ্ছে।’

‘এসব মানুষেরা জামা কম পরেন, জুতা ব্যবহার করেন না, অধিকাংশ সময় সরাসরি সূর্য এবং প্রকৃতির কাছে থাকেন, তাদের ইমিউনিটি ভালো। যেসব মানুষ এসির ভেতর থাকেন, সূর্যের আলো কম লাগান, সংরক্ষিত খাবার বেশি খান তাদের ইমিউনিটি কম।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ প্রান্ত