০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪

ডিএনসিসি’র বেসিন সচল নেই একটিও

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি হাত ধোয়ার বেসিনও সচল পাওয়া যায়নি। পথচারীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করতে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে রাজধানীর ২৫টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছিল ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ঘটা করে উদ্বোধনও করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। উদ্বোধনের প্রথম কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও, পরে সেগুলো অচলের তালিকায় যুক্ত হয়। এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, বেসিনগুলো নিয়ে চলছে স্থায়ী পরিকল্পনা।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে, গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে, কাকলী বাসস্ট্যান্ড, শ্যাওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের শাহ আলী মার্কেটের কোনায়, মিরপুর শপিং মলের নিচে, মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে, উত্তরার মাসকট প্লাজার সামনে, খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের সামনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোথাও বেসিন আছে, আবার কোথাও নেই। বেসিন থাকলেও সচল নেই একটিও।

অথচ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। এই সচেতনতার প্রথম শর্ত হচ্ছে হাত ধোয়া। মূলত পথচারীদের সচেতন করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব স্থানে সাবান ও পানি সরবরাহ করা হবে।’

গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনেদেখা গেছে, গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে যে বেসিন রাখা হয়েছিল সেটির পানির ট্যাংকে ময়লা জমে আছে। বেসিন নিচে উল্টো হয়ে পড়ে আছে। সেখানের পথচারীরা জানিয়েছেন, প্রথম কিছুদিন খুব ভালো ছিল। সাবান ছিল, পানি ছিল। কিন্তু এরপরে হঠাৎ করেই সেখানে পানি আর সাবান দেখতে পাওয়া যায়নি। কিছুদিন পর কে বা কারা বেসিন ওপর থেকে নামিয়ে নিচে রেখেছে।

গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট সামনে যে বেসিন রয়েছে, সেটিও পড়ে রয়েছে অযত্নে অবহেলায়। সেটির পাশের এক ফল বিক্রেতা জানান, আগে প্রতিদিন ওয়াসার গাড়ি পানি দিয়ে যেতো, সাবান থাকতো। তবে এই এলাকার কিছু পথশিশু সে সাবানগুলো মুহূর্তের মধ্যেই নিয়ে চলে যেতো। আর ওই পানি দিয়ে তারা গোসলও করতো। এরকম কিছুদিন করতে করতে প্রায় দুই মাস যাবৎ এটি এখন বন্ধ রয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে আসে না।

বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে যে জায়গাটিতে হাত ধোয়ার বেসিন রাখা ছিল, সেখানে বেসিন নেই। সেখানের পথচারীরা জানান, এই জায়গাটিতে একটি বেসিন সেট ছিল। প্রথম কিছুদিন খুব ভালো চললেও পরে সেটিতে হঠাৎ করে পানি-সাবান দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েকদিন পরে এটি আর এখানে দেখা যায়নি। কে বা কারা নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারছি না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

ডিএনসিসি’র বেসিন সচল নেই একটিও

প্রকাশিত : ১২:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২০

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) একটি হাত ধোয়ার বেসিনও সচল পাওয়া যায়নি। পথচারীদের করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সচেতন করতে চলতি বছরের ১৭ মার্চ থেকে রাজধানীর ২৫টি স্থানে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করেছিল ডিএনসিসি কর্তৃপক্ষ। ঘটা করে উদ্বোধনও করেন মেয়র আতিকুল ইসলাম। উদ্বোধনের প্রথম কিছুদিন ঠিকঠাক চললেও, পরে সেগুলো অচলের তালিকায় যুক্ত হয়। এদিকে কর্তৃপক্ষ বলছে, বেসিনগুলো নিয়ে চলছে স্থায়ী পরিকল্পনা।

শুক্রবার (২১ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে পুলিশ প্লাজার সামনে, গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে, কাকলী বাসস্ট্যান্ড, শ্যাওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ড, মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরের শাহ আলী মার্কেটের কোনায়, মিরপুর শপিং মলের নিচে, মিরপুরে সনি সিনেমা হলের সামনে, উত্তরার মাসকট প্লাজার সামনে, খিলক্ষেত বাসস্ট্যান্ড, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার গেটের সামনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে কোথাও বেসিন আছে, আবার কোথাও নেই। বেসিন থাকলেও সচল নেই একটিও।

অথচ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘করোনা প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। এই সচেতনতার প্রথম শর্ত হচ্ছে হাত ধোয়া। মূলত পথচারীদের সচেতন করে তুলতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব স্থানে সাবান ও পানি সরবরাহ করা হবে।’

গুলশান-২ ডিএনসিসি মার্কেটের সামনেদেখা গেছে, গুলশান পুলিশ প্লাজার সামনে যে বেসিন রাখা হয়েছিল সেটির পানির ট্যাংকে ময়লা জমে আছে। বেসিন নিচে উল্টো হয়ে পড়ে আছে। সেখানের পথচারীরা জানিয়েছেন, প্রথম কিছুদিন খুব ভালো ছিল। সাবান ছিল, পানি ছিল। কিন্তু এরপরে হঠাৎ করেই সেখানে পানি আর সাবান দেখতে পাওয়া যায়নি। কিছুদিন পর কে বা কারা বেসিন ওপর থেকে নামিয়ে নিচে রেখেছে।

গুলশান ২ নম্বর ডিএনসিসি মার্কেট সামনে যে বেসিন রয়েছে, সেটিও পড়ে রয়েছে অযত্নে অবহেলায়। সেটির পাশের এক ফল বিক্রেতা জানান, আগে প্রতিদিন ওয়াসার গাড়ি পানি দিয়ে যেতো, সাবান থাকতো। তবে এই এলাকার কিছু পথশিশু সে সাবানগুলো মুহূর্তের মধ্যেই নিয়ে চলে যেতো। আর ওই পানি দিয়ে তারা গোসলও করতো। এরকম কিছুদিন করতে করতে প্রায় দুই মাস যাবৎ এটি এখন বন্ধ রয়েছে। কেউ খোঁজ নিতে আসে না।

বনানীর কাকলী বাসস্ট্যান্ডে যে জায়গাটিতে হাত ধোয়ার বেসিন রাখা ছিল, সেখানে বেসিন নেই। সেখানের পথচারীরা জানান, এই জায়গাটিতে একটি বেসিন সেট ছিল। প্রথম কিছুদিন খুব ভালো চললেও পরে সেটিতে হঠাৎ করে পানি-সাবান দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এর কয়েকদিন পরে এটি আর এখানে দেখা যায়নি। কে বা কারা নিয়ে গেছে সেটা বলতে পারছি না।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর