০২:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

পানি নেমে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভাঙা সড়কের নতুন দৃশ্য, দুর্ভোগে মানুষ

রৌদ্রোজ্জল আকাশ,বৃষ্টিও নেই।নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে।আটকে পড়া পানির জলাবদ্ধতা ছাড়া শহর ও গ্রামের রাস্তা-ঘাট থেকে নেমে গেছে প্লাবনের পানি।তবে পানি নেমে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভাঙা সড়কের নতুন এক দৃশ্য।যা বর্তমানে নাগরিকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বরিশাল নগরজুড়েই ভাঙা সড়কের দেখা মিলছে এমনটা নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। আর জেলার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক এবং মহাসড়কেও সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের।

প্রকৌশল বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন,অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণেই সড়কে নতুন করে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর যেসব জায়গা আগে থেকে ভাঙা ছিলো সেগুলো আরও বড় আকার ধারণ করেছে।সব মিলিয়ে এবারে ক্ষতির পরিমাণ প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর পরবর্তী সময়ের কাছাকাছি হবে বলে ধারণা তাদের।যদিও দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট সড়কের এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জনসাধারণ ও যাত্রীদের দাবি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস না দিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হোক।বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ দিন বরিশালে দিন-রাত মিলিয়ে কখনো হালকা আবার কখনো মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবে দিনভর বৃষ্টিতে ৭ দিনেই ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে,গত ২০ বছরের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করে। ওইদিন কীর্তনখোলা নদীর পানির উচ্চতা ছিলো ৩.৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। শুধু কীর্তনখোলাই নয় বিভাগের অধিকাংশ নদ-নদীর পানিই গত ১৬ আগস্ট থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে যা রোববার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।এর ফলে রোববার পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে সোমবার(২৪ আগস্ট)সকালে জোয়ারের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নগরীর বয়স্ক নাগরিকদের কেউ কেউ বলছেন, ১৯৭০ সালের বন্যার পর নগরের বিভিন্ন সড়ক এবারেই জোয়ারের পানিতে ডুবতে দেখেছেন তারা।আবার কেউ বলছেন,আশির দশকের বন্যার পর প্রথম নগরের এতো বিপুল এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে দেখেছেন তারা।নগরের ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম জানান,বিগত সময়ের জোয়ারের পানির প্লাবন কিংবা ঝড়ে নগরের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তবে তার বাসা থেকে সদররোডে আসতে ভাটিখানা সড়কে তেমনভাবে কখনো পানি জমতে দেখননি।এবারেই প্রথম ফুটপাতসহ সড়ক ডুবে যেতে দেখেছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্বাস হাওলাদার বলেন,নগরের প্রধান কয়েকটি সড়ক ছাড়া বেশিরভাগ সড়কই ভাঙাচোরা ছিলো।তবে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ শেষে এবং জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর এখন নগরের সড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল।যেসব জায়গাতে ছোট-খাটো খানাখন্দ ছিলো তার আকারও এখন বড় হয়ে গেছে। পাশাপাশি ভালো জায়গাগুলোতেও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।থ্রি হুইলার চালক আলামিন জানান,নগরের কাউনিয়া প্রধান সড়ক,ভাটিখানা সড়ক,আমানতগঞ্জ সড়ক,বান্দরোড, সিএন্ডবি মহাসড়কের পাশের সড়কসহ বর্ধিত এলাকার বেশিরভাগ সড়কই এখন খানাখন্দে ভরা। আর সেই খানাখন্দের মধ্য দিয়ে যাত্রীসহ যানবাহন চালানো বড়ই ভোগান্তি ও কষ্টের।বড় বড় খানাখন্দে কাঁদাপানি এখনো জমে রয়েছে, যা ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়েছে।

এদিকে,মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন চালকরা বলছেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কেও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর ছোট ও মাঝারি আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অনেক জায়গার গর্তে স্থানীয় এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে ইট দেওয়া হয়েছে।তবে বরিশালে চরকাউয়া থেকে লাহারহাট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল।এ রুটের নিয়মিত যাত্রী রাকিব জানান, সড়ক ভাঙা থাকার কারণে এখন আর বাসে যাতায়াত করেন না। বেশি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাকে।

অপরদিকে,বরিশাল নগর থেকে সদর উপজেলার লামচরি পর্যন্ত সড়কেরও বেহাল দশা।ওই এলাকার বাসিন্দা রাসেল জানান,নদী ভাঙনের শিকার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরিতে যাতায়াতের ৬ কিলোমিটার সড়ক আগে থেকেই ভাঙা ছিলো। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এ এলাকা পুরোটাই পানিতে প্লাবিত হয়।পানি নেমে যাওয়ার পর সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।আর শুধু বরিশাল নগর বা সদর নয় জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, আগৈলঝাড়া,বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু সড়ক ভাঙাচোরা রয়েছে।যা দ্রুত সংস্কার করে ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো.জামাল উদ্দিন বলেন,পিচের বড় শত্রু পানি।আর পানির কারণেই এবারে বরিশাল অঞ্চলের রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।একে তো বৃষ্টি, তার ওপর বন্যার পানির কারণে রাস্তাঘাটের এমন ক্ষতি হয়েছে যা সিডরের সময়ের ক্ষতির কাছাকাছি চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টির পাশাপাশি অনেক জায়গায় রাস্তার খোয়া-বালুসহ ধুয়ে নেমে গেছে। তিনি বলেন,আমাদের লোকজন মাঠপর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার কাজ করছে।এরপর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং গুরুত্ব অনুযায়ী মেরামত কাজ শুরু করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

ঢাকা কলেজের পুকুরে গোসল করতে নেমে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যু

পানি নেমে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভাঙা সড়কের নতুন দৃশ্য, দুর্ভোগে মানুষ

প্রকাশিত : ০৭:০১:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৪ অগাস্ট ২০২০

রৌদ্রোজ্জল আকাশ,বৃষ্টিও নেই।নদীর পানিও প্রবাহিত হচ্ছে বিপৎসীমার নিচে দিয়ে।আটকে পড়া পানির জলাবদ্ধতা ছাড়া শহর ও গ্রামের রাস্তা-ঘাট থেকে নেমে গেছে প্লাবনের পানি।তবে পানি নেমে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভাঙা সড়কের নতুন এক দৃশ্য।যা বর্তমানে নাগরিকদের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু বরিশাল নগরজুড়েই ভাঙা সড়কের দেখা মিলছে এমনটা নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক খানাখন্দে ভরে গেছে। আর জেলার মধ্য দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক এবং মহাসড়কেও সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের।

প্রকৌশল বিভাগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন,অতিরিক্ত বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণেই সড়কে নতুন করে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আর যেসব জায়গা আগে থেকে ভাঙা ছিলো সেগুলো আরও বড় আকার ধারণ করেছে।সব মিলিয়ে এবারে ক্ষতির পরিমাণ প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর পরবর্তী সময়ের কাছাকাছি হবে বলে ধারণা তাদের।যদিও দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট সড়কের এ সমস্যা সমাধানে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে জনসাধারণ ও যাত্রীদের দাবি ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস না দিয়ে দ্রুত সমস্যা সমাধান করা হোক।বরিশাল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ দিন বরিশালে দিন-রাত মিলিয়ে কখনো হালকা আবার কখনো মাঝারি ধরণের বৃষ্টি হয়েছে। আর এভাবে দিনভর বৃষ্টিতে ৭ দিনেই ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

অপরদিকে, পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিস সূত্রে জানা গেছে,গত ২০ বছরের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করে। ওইদিন কীর্তনখোলা নদীর পানির উচ্চতা ছিলো ৩.৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। শুধু কীর্তনখোলাই নয় বিভাগের অধিকাংশ নদ-নদীর পানিই গত ১৬ আগস্ট থেকে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে শুরু করে যা রোববার (২৩ আগস্ট) পর্যন্ত অব্যাহত থাকে।এর ফলে রোববার পর্যন্ত জোয়ারের পানিতে বরিশাল নগরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে সোমবার(২৪ আগস্ট)সকালে জোয়ারের পানির উচ্চতা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়।

নগরীর বয়স্ক নাগরিকদের কেউ কেউ বলছেন, ১৯৭০ সালের বন্যার পর নগরের বিভিন্ন সড়ক এবারেই জোয়ারের পানিতে ডুবতে দেখেছেন তারা।আবার কেউ বলছেন,আশির দশকের বন্যার পর প্রথম নগরের এতো বিপুল এলাকা পানিতে তলিয়ে যেতে দেখেছেন তারা।নগরের ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মঈনুল ইসলাম জানান,বিগত সময়ের জোয়ারের পানির প্লাবন কিংবা ঝড়ে নগরের নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। তবে তার বাসা থেকে সদররোডে আসতে ভাটিখানা সড়কে তেমনভাবে কখনো পানি জমতে দেখননি।এবারেই প্রথম ফুটপাতসহ সড়ক ডুবে যেতে দেখেছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আব্বাস হাওলাদার বলেন,নগরের প্রধান কয়েকটি সড়ক ছাড়া বেশিরভাগ সড়কই ভাঙাচোরা ছিলো।তবে গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণ শেষে এবং জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর এখন নগরের সড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল।যেসব জায়গাতে ছোট-খাটো খানাখন্দ ছিলো তার আকারও এখন বড় হয়ে গেছে। পাশাপাশি ভালো জায়গাগুলোতেও খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে।থ্রি হুইলার চালক আলামিন জানান,নগরের কাউনিয়া প্রধান সড়ক,ভাটিখানা সড়ক,আমানতগঞ্জ সড়ক,বান্দরোড, সিএন্ডবি মহাসড়কের পাশের সড়কসহ বর্ধিত এলাকার বেশিরভাগ সড়কই এখন খানাখন্দে ভরা। আর সেই খানাখন্দের মধ্য দিয়ে যাত্রীসহ যানবাহন চালানো বড়ই ভোগান্তি ও কষ্টের।বড় বড় খানাখন্দে কাঁদাপানি এখনো জমে রয়েছে, যা ভোগান্তিকে আরও বাড়িয়েছে।

এদিকে,মহাসড়কে চলাচলরত যানবাহন চালকরা বলছেন, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কসহ বিভিন্ন উপজেলার সড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কেও টানা কয়েকদিনের বৃষ্টির পর ছোট ও মাঝারি আকারের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও অনেক জায়গার গর্তে স্থানীয় এবং সড়ক ও জনপদ বিভাগের উদ্যোগে ইট দেওয়া হয়েছে।তবে বরিশালে চরকাউয়া থেকে লাহারহাট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা অনেকটাই বেহাল।এ রুটের নিয়মিত যাত্রী রাকিব জানান, সড়ক ভাঙা থাকার কারণে এখন আর বাসে যাতায়াত করেন না। বেশি ভাড়া দিয়ে মোটরসাইকেলে যাতায়াত করতে হচ্ছে তাকে।

অপরদিকে,বরিশাল নগর থেকে সদর উপজেলার লামচরি পর্যন্ত সড়কেরও বেহাল দশা।ওই এলাকার বাসিন্দা রাসেল জানান,নদী ভাঙনের শিকার চরবাড়িয়া ইউনিয়নের লামচরিতে যাতায়াতের ৬ কিলোমিটার সড়ক আগে থেকেই ভাঙা ছিলো। অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে কীর্তনখোলা নদী তীরবর্তী এ এলাকা পুরোটাই পানিতে প্লাবিত হয়।পানি নেমে যাওয়ার পর সড়কের অবস্থা আরও খারাপ হয়েছে।আর শুধু বরিশাল নগর বা সদর নয় জেলার মেহেন্দিগঞ্জ, আগৈলঝাড়া,বানারীপাড়া, বাকেরগঞ্জ উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু সড়ক ভাঙাচোরা রয়েছে।যা দ্রুত সংস্কার করে ভোগান্তি লাঘবের দাবি জানিয়েছেন বাসিন্দারা।

বরিশালের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী শরীফ মো.জামাল উদ্দিন বলেন,পিচের বড় শত্রু পানি।আর পানির কারণেই এবারে বরিশাল অঞ্চলের রাস্তাঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।একে তো বৃষ্টি, তার ওপর বন্যার পানির কারণে রাস্তাঘাটের এমন ক্ষতি হয়েছে যা সিডরের সময়ের ক্ষতির কাছাকাছি চলে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পিচ-পাথর উঠে গিয়ে খানাখন্দ সৃষ্টির পাশাপাশি অনেক জায়গায় রাস্তার খোয়া-বালুসহ ধুয়ে নেমে গেছে। তিনি বলেন,আমাদের লোকজন মাঠপর্যায়ে ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করার কাজ করছে।এরপর বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে এবং গুরুত্ব অনুযায়ী মেরামত কাজ শুরু করা হবে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ