০৯:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টাকা পরিশোধ না করলে ক্লাস উপস্থিতি পাবেনা শিক্ষার্থীরা

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীদের পূর্বের সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তারা ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অক্টোবর-২০২০ সেশনের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, ক্লাস উপস্থিতি পাবেনা এবং ফল স্থগিত থাকবে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ড. এস তাসাদ্দেক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সকল ডীন ও বিভাগীয় প্রধানগণকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ঘোষণায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন সময়ে এ ধরণের সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ জানান, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামখেয়ালিপূর্ণ ও অযাচিত সিদ্ধান্ত। বর্তমান পরিস্থিতি সবারই জানা। শিক্ষার্থীরা তো কেউ বকেয়া পরিশোধ না করে চলে যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব না। ছাত্র সংসদ আগামীকাল এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ডা: লায়লা পারভীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের টাকায় চলে। হিসাব অনুযায়ী, তাদের থেকে ৪ কোটি টাকার উপরে বকেয়া আছে। এটা পরিশোধ না করলে তো আমরা বেতন দেয়া, প্রোগ্রামগুলো ম্যানেজ করা বা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে পারবো না।’
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে ইঙ্গিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা বুঝি। যাদের সমস্যা আছে, তারা কি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছে? আমি তো কোনো অভিযোগ পাইনি। আর যে ৪ কোটি টাকা বকেয়া, সেটা তো শুধু করোনার ৬ মাসে হয়নি। পূর্ব থেকেই অনেক বকেয়া আছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

টাকা পরিশোধ না করলে ক্লাস উপস্থিতি পাবেনা শিক্ষার্থীরা

প্রকাশিত : ০২:২৭:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

আগামী ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা দিয়ে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) শিক্ষার্থীদের পূর্বের সমস্ত বকেয়া পরিশোধ করার জন্য বলা হয়েছে। অন্যথায় তারা ২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া অক্টোবর-২০২০ সেশনের অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারবে না, ক্লাস উপস্থিতি পাবেনা এবং ফল স্থগিত থাকবে।
শুক্রবার (২৮ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিস্ট্রার ড. এস তাসাদ্দেক আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সকল ডীন ও বিভাগীয় প্রধানগণকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন ঘোষণায় চিন্তিত হয়ে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। করোনাকালীন সময়ে এ ধরণের সিদ্ধান্তকে অমানবিক বলে অভিহিত করেছেন ভুক্তভোগীরা। পরিস্থিতি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছে তারা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) মো. নজরুল ইসলাম রলিফ জানান, ‘এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের খামখেয়ালিপূর্ণ ও অযাচিত সিদ্ধান্ত। বর্তমান পরিস্থিতি সবারই জানা। শিক্ষার্থীরা তো কেউ বকেয়া পরিশোধ না করে চলে যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিব না। ছাত্র সংসদ আগামীকাল এ বিষয়ে প্রশাসনের সাথে কথা বলবে।’

সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ডা: লায়লা পারভীন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ শিক্ষার্থীদের টাকায় চলে। হিসাব অনুযায়ী, তাদের থেকে ৪ কোটি টাকার উপরে বকেয়া আছে। এটা পরিশোধ না করলে তো আমরা বেতন দেয়া, প্রোগ্রামগুলো ম্যানেজ করা বা সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে পারবো না।’
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির বিষয়ে ইঙ্গিত করা হলে তিনি বলেন, ‘এটা আমরা বুঝি। যাদের সমস্যা আছে, তারা কি প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছে? আমি তো কোনো অভিযোগ পাইনি। আর যে ৪ কোটি টাকা বকেয়া, সেটা তো শুধু করোনার ৬ মাসে হয়নি। পূর্ব থেকেই অনেক বকেয়া আছে।’

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর