০৯:২২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

রিয়ার বয়ানে সন্তুষ্ট নয় CBI, ফের ম্যারাথন জেরায় কড়া প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী

রিয়া

শুক্রবার ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর শনিবার আবারও সিবিআই দপ্তরে হাজির রিয়া চক্রবর্তী। এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে তলব করা হয়েছিল সুশান্ত ইস্যুতে মূল অভিযুক্ত রিয়াকে। কিন্তু অভিনেত্রীর বাড়ির সামনে সংবাদমাধ্যমের ভিড় এবং উৎকণ্ঠা, কৌতূহলী ব্যক্তিদের জমায়েত থাকায় বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেননি তিনি!

অবশেষে সিবিআইয়ের দপ্তরে পৌঁছনোর জন্য তাঁকে মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়। বাড়ি থেকে বেরনোর জন্য পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই শেষমেশ মুম্বই পুলিশ বাড়ি থেকে রিয়া চক্রবর্তীকে (Rhea Chakraborty) এসকোর্ট করে নিয়ে যায় সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্ট হাউজে, যেখানে তদন্তের জন্য আশ্রয় নিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, নানা টালবাহানার পর অবশেষে বেলা দেড়টা নাগাদ সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দেন সুশান্ত মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবারে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর থেকেই আবারও নতুন করে নেটজনতার রোষানলে রিয়া। গতকালের জেরায় সন্তুষ্ট না হয়ে আজ ফের রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আজ বেশ কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন বলেও খবর।

শুক্রবার রিয়াকে ১০ ঘণ্টায় একাধিক প্রশ্ন করা হয়, যেখানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেননি রিয়া! তবে এ দিনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় স্তরের এক টেলিভিশন চ্যানেলে। তাদের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, CBI গোয়েন্দাদের জেরার মুখে রিয়া ‘ড্রাগ চ্যাটের’ সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। ‘ডোবি, ‘ব্ল্যাকবেরি কুশ’ মাদকের ক্ষেত্রে এধরনের সাংকেতিক ভাষাও নাকি ব্যবহার করতেন রিয়া! এবার প্রকাশ্যে এল সেই স্ক্রিনশট।

প্রসঙ্গত সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) ইস্যুতে এখন ইডি, সিবিআইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে নার্কোটিক্স সেন্ট্রাল ব্যুরো দপ্তরও । কারণ বহু তথ্যপ্রমাণে দেখা যাচ্ছে সুশান্ত, রিয়া, সিদ্ধার্থ পিঠানি, স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং তাঁদের বন্ধুবান্ধবদের একটা বড় গ্রুপ ড্রাগ, চৌরাস, গাঁজা-সহ একাধিক নিষিদ্ধ মাদক নিতেন। যদিও এই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে রিয়ার ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের এই স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পরই নেটদুনিয়ায় তুলকালাম বেঁধেছে।

নায়িকার বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবার অভিযোগ, রিয়া নাকি চা-কফিতে ড্রাগ মিশিয়ে সুশান্তকে মাদকাসক্ত করেছিলেন। শুক্রবার টুইটারে সেসব স্ক্রিনশট শেয়ার করে সুশান্তের দিদি শ্বেতা কীর্তি সিংয়ের অভিযোগ, “এসব কী চলছে? এই কথোপকথনগুলো পড়ে আমরা ধরে নেব? যত দ্রুত সম্ভব অবিলম্বে এই কালপ্রিটদের গ্রেপ্তার করা হোক!” অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, এই মাদকচক্রের রহস্যভেদের জন্য সিবিআই ফের তলব করবে সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং দীপেশ সাওয়ান্তকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন সৈয়দ মোঃ ফয়সল

রিয়ার বয়ানে সন্তুষ্ট নয় CBI, ফের ম্যারাথন জেরায় কড়া প্রশ্নের মুখে অভিনেত্রী

প্রকাশিত : ০৫:১৭:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২০

শুক্রবার ১০ ঘণ্টা ম্যারাথন জেরার পর শনিবার আবারও সিবিআই দপ্তরে হাজির রিয়া চক্রবর্তী। এদিন সকালেই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসে তলব করা হয়েছিল সুশান্ত ইস্যুতে মূল অভিযুক্ত রিয়াকে। কিন্তু অভিনেত্রীর বাড়ির সামনে সংবাদমাধ্যমের ভিড় এবং উৎকণ্ঠা, কৌতূহলী ব্যক্তিদের জমায়েত থাকায় বাড়ির বাইরে পা রাখতে পারেননি তিনি!

অবশেষে সিবিআইয়ের দপ্তরে পৌঁছনোর জন্য তাঁকে মুম্বই পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়। বাড়ি থেকে বেরনোর জন্য পুলিশ প্রশাসনের সাহায্য প্রার্থনা করেছিলেন তিনি। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতেই শেষমেশ মুম্বই পুলিশ বাড়ি থেকে রিয়া চক্রবর্তীকে (Rhea Chakraborty) এসকোর্ট করে নিয়ে যায় সান্তাক্রুজের ডিআরডিও গেস্ট হাউজে, যেখানে তদন্তের জন্য আশ্রয় নিয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দা আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, নানা টালবাহানার পর অবশেষে বেলা দেড়টা নাগাদ সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দেন সুশান্ত মামলায় মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী। বৃহস্পতিবারে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর থেকেই আবারও নতুন করে নেটজনতার রোষানলে রিয়া। গতকালের জেরায় সন্তুষ্ট না হয়ে আজ ফের রিয়া চক্রবর্তীকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। আজ বেশ কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন বলেও খবর।

শুক্রবার রিয়াকে ১০ ঘণ্টায় একাধিক প্রশ্ন করা হয়, যেখানে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দেননি রিয়া! তবে এ দিনের চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় স্তরের এক টেলিভিশন চ্যানেলে। তাদের প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, CBI গোয়েন্দাদের জেরার মুখে রিয়া ‘ড্রাগ চ্যাটের’ সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন। ‘ডোবি, ‘ব্ল্যাকবেরি কুশ’ মাদকের ক্ষেত্রে এধরনের সাংকেতিক ভাষাও নাকি ব্যবহার করতেন রিয়া! এবার প্রকাশ্যে এল সেই স্ক্রিনশট।

প্রসঙ্গত সুশান্ত (Sushant Singh Rajput) ইস্যুতে এখন ইডি, সিবিআইয়ের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে নার্কোটিক্স সেন্ট্রাল ব্যুরো দপ্তরও । কারণ বহু তথ্যপ্রমাণে দেখা যাচ্ছে সুশান্ত, রিয়া, সিদ্ধার্থ পিঠানি, স্যামুয়েল মিরান্ডা এবং তাঁদের বন্ধুবান্ধবদের একটা বড় গ্রুপ ড্রাগ, চৌরাস, গাঁজা-সহ একাধিক নিষিদ্ধ মাদক নিতেন। যদিও এই অভিযোগ এখনও প্রমাণিত হয়নি। তবে রিয়ার ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের এই স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে আসার পরই নেটদুনিয়ায় তুলকালাম বেঁধেছে।

নায়িকার বিরুদ্ধে সুশান্তের বাবার অভিযোগ, রিয়া নাকি চা-কফিতে ড্রাগ মিশিয়ে সুশান্তকে মাদকাসক্ত করেছিলেন। শুক্রবার টুইটারে সেসব স্ক্রিনশট শেয়ার করে সুশান্তের দিদি শ্বেতা কীর্তি সিংয়ের অভিযোগ, “এসব কী চলছে? এই কথোপকথনগুলো পড়ে আমরা ধরে নেব? যত দ্রুত সম্ভব অবিলম্বে এই কালপ্রিটদের গ্রেপ্তার করা হোক!” অন্যদিকে শোনা যাচ্ছে, এই মাদকচক্রের রহস্যভেদের জন্য সিবিআই ফের তলব করবে সিদ্ধার্থ পিঠানি এবং দীপেশ সাওয়ান্তকে।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ