০৭:১১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সে পুলিশ: আইজিপি

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সে পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী কৌশল নিয়ে সামনে এগুচ্ছি।

শনিবার রাজধানীর পুলিশ সদর দফতরে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কথা জানান।

প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও পুলিশ মাদক ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

২০১৩-১৭ সালের অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসময়ে ট্রেডিশনাল ক্রাইম (গতানুগতিক অপরাধ) কমেছে বলে দাবি করেন শহীদুল হক।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যেন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কেউ জড়িত হলে সাধারণ মানুষের মতোই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই পরিসংখ্যানটা এই মুহূর্তে নেই, তবে সংখ্যাটা খুবই কম।

পুলিশের এত সাফল্যের মধ্যে মাদক নির্মূল হচ্ছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা মাদক নির্মূল করতে পারছি না, জঙ্গি নির্মূল করতে পারছি না। এ দুটি জিনিসই আসক্তির বিষয়। আমাদের বিশাল সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ঢোকে। পুলিশ বা আইন নিয়ে এগুলো নির্মূল সম্ভব নয়।’

এছাড়া অন্য ট্রাডিশনাল ক্রাইমও অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ১৬৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫২৯ টিতে। অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন উদ্ধারের হার বেড়ে যাওয়ায় মামলা বেড়েছে। পুলিশের সক্ষমতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে উদ্ধার বেড়েছে। উদ্ধার বাদ দিলে ট্রাডিশনাল ক্রাইমও তুলনামূলক কমেছে।

মাদক ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান আইজিপি।

শরীয়তপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ আসলামের মামলা প্রত্যাহারের দাবি

মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সে পুলিশ: আইজিপি

প্রকাশিত : ০৪:২৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ জানুয়ারী ২০১৮

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক বলেছেন, মাদক নির্মূলে জিরো টলারেন্সে পুলিশ। মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে বিভিন্নমুখী কৌশল নিয়ে সামনে এগুচ্ছি।

শনিবার রাজধানীর পুলিশ সদর দফতরে ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০১৮’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আইজিপি এ কথা জানান।

প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলেও পুলিশ মাদক ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না বলে স্বীকার করেছেন তিনি।

২০১৩-১৭ সালের অপরাধের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এসময়ে ট্রেডিশনাল ক্রাইম (গতানুগতিক অপরাধ) কমেছে বলে দাবি করেন শহীদুল হক।

এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, পুলিশের কোনো সদস্য যেন মাদকের সঙ্গে জড়িয়ে না পড়ে সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কেউ জড়িত হলে সাধারণ মানুষের মতোই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। নির্দিষ্ট কত সংখ্যক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সেই পরিসংখ্যানটা এই মুহূর্তে নেই, তবে সংখ্যাটা খুবই কম।

পুলিশের এত সাফল্যের মধ্যে মাদক নির্মূল হচ্ছে না- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পুলিশের শীর্ষ এ কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা ঠিক যে আমরা মাদক নির্মূল করতে পারছি না, জঙ্গি নির্মূল করতে পারছি না। এ দুটি জিনিসই আসক্তির বিষয়। আমাদের বিশাল সীমান্ত দিয়ে ইয়াবা ঢোকে। পুলিশ বা আইন নিয়ে এগুলো নির্মূল সম্ভব নয়।’

এছাড়া অন্য ট্রাডিশনাল ক্রাইমও অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় কমেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৬ সালে ১ লাখ ৮১ হাজার ১৬৮টি মামলা দায়ের হয়েছে, ২০১৭ সালে সেই সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ লাখ ১৩ হাজার ৫২৯ টিতে। অস্ত্র, মাদকসহ বিভিন্ন উদ্ধারের হার বেড়ে যাওয়ায় মামলা বেড়েছে। পুলিশের সক্ষমতা ও কার্যক্রম বৃদ্ধির কারণে উদ্ধার বেড়েছে। উদ্ধার বাদ দিলে ট্রাডিশনাল ক্রাইমও তুলনামূলক কমেছে।

মাদক ও জঙ্গি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান আইজিপি।