১০:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল, বাংলাদেশের উদ্বেগ

বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের গতিবিধি গত কয়েকদিনে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি মিয়ানমারের সৈন্যদের টহল স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে বলে দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকার অন্তত তিনটি পয়েন্টে সৈন্যদের ‘ব্যাপক সংখ্যক’ উপস্থিতি দেখা গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়ে রোববার চিঠি দেয়া হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে।

চিঠি দেয়ার বিষয়টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগ জানিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

তবে সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্যদের টহল বৃদ্ধিকে সৈন্য সমাবেশ বলতে নারাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারের এই সেনা টহলের একটি অংশ হয়েছে সিভিলিয়ান বাহনে করে, অর্থাৎ মাছ ধরার নৌকায় করে। আর যে তিনটি পয়েন্টে তাদের দেখা গেছে সেগুলো হলো-কা নিউন ছুয়া, মিন গালারগি ও গার খুইয়া।

এই জায়গাগুলো মূলত মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা। এজন্য এটাকে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় এ ধরনের সেনা টহল বাড়লে পরে হয়তা সেখানকার মুসলমানদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার

জনপ্রিয়

রংপুরে রেল স্টেশনে বৈষম্য উন্নয়ন হয়নি,প্রতিবাদে অবরোধ

সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের টহল, বাংলাদেশের উদ্বেগ

প্রকাশিত : ১১:১৬:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০

বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্তে মিয়ানমারের সেনাদের গতিবিধি গত কয়েকদিনে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, গত শুক্রবার থেকে বাংলাদেশ-মিয়ানমার আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকার কাছাকাছি মিয়ানমারের সৈন্যদের টহল স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়েছে বলে দেখা গেছে। সীমান্ত এলাকার অন্তত তিনটি পয়েন্টে সৈন্যদের ‘ব্যাপক সংখ্যক’ উপস্থিতি দেখা গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উদ্বেগ জানিয়ে রোববার চিঠি দেয়া হয় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে।

চিঠি দেয়ার বিষয়টি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মিয়ানমার সেলের মহাপরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগ জানিয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে।

তবে সীমান্তে মিয়ানমারের সৈন্যদের টহল বৃদ্ধিকে সৈন্য সমাবেশ বলতে নারাজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, মিয়ানমারের এই সেনা টহলের একটি অংশ হয়েছে সিভিলিয়ান বাহনে করে, অর্থাৎ মাছ ধরার নৌকায় করে। আর যে তিনটি পয়েন্টে তাদের দেখা গেছে সেগুলো হলো-কা নিউন ছুয়া, মিন গালারগি ও গার খুইয়া।

এই জায়গাগুলো মূলত মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকা। এজন্য এটাকে সন্দেহজনক বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ধারণা, মুসলিম-অধ্যুষিত এলাকায় এ ধরনের সেনা টহল বাড়লে পরে হয়তা সেখানকার মুসলমানদের মধ্যে ভীতি ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এস শিকদার