০৮:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ব্যতিত চিকিৎসা ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ

১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) অনুসারে জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অনুচ্ছেদ ১৮(১) অনুসারে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে জনগণ সরকারি ও বেসরকারি খাতে যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে তা পরিসর ও গুণগত মানের দিক থেকে আরো উন্নতি করা প্রয়োজন।

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর মূলমন্ত্র ছিল ‘সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা’। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফার্মেসি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফার্মেসিকে একটি পেশাগত বিষয় এবং ফার্মাসিস্টদের পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার ও নার্সের ভূমিকা যেমন অপরিসীম, ঠিক তেমনিভাবে ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগত মান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ভূমিকাও অপরিহার্য।

জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬ এর ৪.৩ অনুচ্ছেদে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৪.৩ অনুচ্ছেদের ‘ঙ’ উপ-অনুচ্ছেদে দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আন্ত:বিভাগ ও বহির্বিভাগে ‘হসপিটাল ফার্মে’ (Hospital Pharmacy) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৭ কোটি মানুষের দেশে বর্তমান সরকারের সময়ে দেড় হাজার ফার্মাসিস্টের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুমোদিত হলেও এর বাস্তবায়নে কোনো ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। মালয়েশিয়ায় ফার্মাসিস্ট ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হার ১:২৩১৫, সিঙ্গাপুরে ১:২১৩০ ও ইংল্যান্ডে ১:১০০০। ইংল্যান্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে ২ জন ফার্মাসিস্ট, ৩০ শয্যার বিপরীতে ৩ জন, ৬০ শয্যার বিপরীতে ৩ জন, ৯০ থেকে ১২০ শয্যার বিপরীতে ৫ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন।

কোভিড-১৯ আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ফার্মাসিস্টরা কত ত্যাগ, পরিশ্রমের মাধ্যমে ঔষধ শিল্পকে ধরে রেখে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। ডাক্তারদের মত ফার্মাসিস্টরা একদিনও অফিস করা বাদ না দিয়ে জনগণের কাছে ঔষধ পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সময়ে একদিনের জন্য হলেও ওষুধের দাম বাড়েনি। দেশ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ইউরোপ আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সদর্পে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের ফার্মাসিস্টরা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট সহ বিভিন্ন সেক্টরে। তবে আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্ট ব্যতীত অন্য সেক্টরগুলোতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না কেন?

যারা স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করেছে তাদের সকলেই ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও নার্স – এই তিন পেশাকে পাশাপাশি রেখেই উন্নতি করতে পেরেছে। এদের কেউ কারো পরিপূরক নয় বরং তাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে। একটা ব্যতিরেকে আরেকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ডাক্তার, নার্স সরকারিভাবে কাজ করতে পারলেও ফার্মাসিস্টরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে।

প্যাশেন্ট সেফটি এবং সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিরোধের জন্য কমপক্ষে ১৫ মিনিট রোগীর সাথে কথা বলে, তার ড্রাগ ইস্ট্রোজেনে ওষুধের পরামর্শ বা চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের ১৭ কোটি জনগণের দেশ ডাক্তারদের এত সময় কোথায়! এত রোগী দেখার মাঝে অনেক ভুল হয়ে থাকে ডাক্তারদের, ড্রাগ-ড্রাগ ইন্টারেকশন অন্যতম। প্রেসক্রিপশন লেখার সাথে সাথে ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া খুবই জরুরী। আমাদের দেশে মানুষের ঔষধ সম্পর্কে ধারণা রাখে এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অবশ্যই এবং অবশ্যই প্রয়োজন ফার্মাসিস্ট।
সরকারি -বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার-হাজার ফার্মাসিস্ট বের হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা নিজেদের পেশাগত দক্ষতা দিয়ে ওষুধ শিল্পে (উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ, মানের নিশ্চয়তা বিধান, গবেষণা ও উন্নয়ন, বিপণন, উৎপাদন পরিকল্পনা, ডিসপেন্সিং, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ারস, বিজনেজ ডেভেলপমেন্ট ও রপ্তানি) সরকারি সংস্থায়, বেসরকারি হাসপাতালে, কমিউনিটি ফার্মেসিতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওষুধ শিল্পের বিকাশে আমূল পরিবর্তন।

বর্তমানে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং ইউএসএ সহ প্রায় ১৯০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা দেশের বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। দেশে প্রচুর ফার্মাসিস্ট থাকা সত্ত্বেও আমরা তাদের সঠিক সুযোগ প্রদান করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নতি করছি না।

এমতাবস্থায় দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধের নিরাপদ সংরক্ষণ, অপব্যবহার রোধ ও যৌক্তিক ব্যবহারে ফার্মাসিস্টের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রান্তিক পর্যায়ে ওষুধ বিপণন ও ডিসপেন্সিং ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে উন্নত বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বহির্বিভাগ ফার্মেসিতে একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ও আন্তবিভাগে প্রতি ৫০ শয্যার বিপরীতে একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগদান এবং নিয়োগকৃত ফার্মাসিস্টদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাঁদের অভিজ্ঞতার আলোকে জনশক্তির সব স্তরে পদোন্নতির লক্ষ্যে হাসপাতাল ফার্মেসিতে প্রস্তাবিত ফার্মাসিস্ট নিয়োগের পদবিন্যাস এভাবে করা যেতে পারে:

১. ফার্মাসিস্ট (ক্লিনিক্যাল)/ফার্মাসিস্ট (ফার্মেসি ইনচার্জ), ২. সিনিয়র ফার্মাসিস্ট (ক্লিনিক্যাল), ৩. উপপ্রধান ফার্মাসিস্ট, ৪. প্রধান ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এমন প্রস্তাব করেছিলেন। বিশ্বের এই মহামারীর সময়ে দেশে ফার্মাসিস্ট এবং ফার্মাসিস্টদের ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্তার উন্নয়ন করা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

গ্রাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ব্যতিত চিকিৎসা ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ

প্রকাশিত : ০২:১৯:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

১৯৭২ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫(ক) অনুসারে জীবনধারণের মৌলিক উপকরণের ব্যবস্থা করা রাষ্ট্রের অন্যতম মৌলিক দায়িত্ব। অনুচ্ছেদ ১৮(১) অনুসারে জনগণের পুষ্টির স্তর উন্নয়ন ও জনস্বাস্থ্যের উন্নতি সাধনকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশে জনগণ সরকারি ও বেসরকারি খাতে যে স্বাস্থ্যসেবা পাচ্ছে তা পরিসর ও গুণগত মানের দিক থেকে আরো উন্নতি করা প্রয়োজন।

জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ এর মূলমন্ত্র ছিল ‘সবার জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও জরুরি চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করা’। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ফার্মেসি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ফার্মেসিকে একটি পেশাগত বিষয় এবং ফার্মাসিস্টদের পেশাজীবী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। স্বাস্থ্যসেবায় ডাক্তার ও নার্সের ভূমিকা যেমন অপরিসীম, ঠিক তেমনিভাবে ওষুধের সংরক্ষণ, গুণগত মান, সঠিক ওষুধ নির্বাচন ও ওষুধের যৌক্তিক ব্যবহার নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্যসেবায় গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের ভূমিকাও অপরিহার্য।

জাতীয় ওষুধনীতি ২০১৬ এর ৪.৩ অনুচ্ছেদে ওষুধের যৌক্তিক ও নিরাপদ ব্যবহার সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ৪.৩ অনুচ্ছেদের ‘ঙ’ উপ-অনুচ্ছেদে দেশে পর্যায়ক্রমে সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে আন্ত:বিভাগ ও বহির্বিভাগে ‘হসপিটাল ফার্মে’ (Hospital Pharmacy) কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৭ কোটি মানুষের দেশে বর্তমান সরকারের সময়ে দেড় হাজার ফার্মাসিস্টের নিয়োগ প্রক্রিয়া অনুমোদিত হলেও এর বাস্তবায়নে কোনো ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে না। অথচ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বিপরীত চিত্র দেখা যায়। মালয়েশিয়ায় ফার্মাসিস্ট ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হার ১:২৩১৫, সিঙ্গাপুরে ১:২১৩০ ও ইংল্যান্ডে ১:১০০০। ইংল্যান্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে ২ জন ফার্মাসিস্ট, ৩০ শয্যার বিপরীতে ৩ জন, ৬০ শয্যার বিপরীতে ৩ জন, ৯০ থেকে ১২০ শয্যার বিপরীতে ৫ জন ফার্মাসিস্ট রয়েছেন।

কোভিড-১৯ আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ফার্মাসিস্টরা কত ত্যাগ, পরিশ্রমের মাধ্যমে ঔষধ শিল্পকে ধরে রেখে উন্নয়নের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে। ডাক্তারদের মত ফার্মাসিস্টরা একদিনও অফিস করা বাদ না দিয়ে জনগণের কাছে ঔষধ পৌঁছানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে। এই সময়ে একদিনের জন্য হলেও ওষুধের দাম বাড়েনি। দেশ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে ইউরোপ আমেরিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যে সদর্পে কাজ করে যাচ্ছে আমাদের ফার্মাসিস্টরা। ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্ট, ক্লিনিক্যাল ফার্মাসিস্ট, কমিউনিটি ফার্মাসিস্ট সহ বিভিন্ন সেক্টরে। তবে আমাদের দেশে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফার্মাসিস্ট ব্যতীত অন্য সেক্টরগুলোতে কাজ করার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না কেন?

যারা স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি করেছে তাদের সকলেই ডাক্তার, ফার্মাসিস্ট ও নার্স – এই তিন পেশাকে পাশাপাশি রেখেই উন্নতি করতে পেরেছে। এদের কেউ কারো পরিপূরক নয় বরং তাদের প্রত্যেকের ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্ব রয়েছে। একটা ব্যতিরেকে আরেকটা এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। ডাক্তার, নার্স সরকারিভাবে কাজ করতে পারলেও ফার্মাসিস্টরা এখনো পিছিয়ে রয়েছে।

প্যাশেন্ট সেফটি এবং সুষ্ঠু চিকিৎসা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রতিরোধের জন্য কমপক্ষে ১৫ মিনিট রোগীর সাথে কথা বলে, তার ড্রাগ ইস্ট্রোজেনে ওষুধের পরামর্শ বা চিকিৎসা দিতে হয়। কিন্তু আমাদের দেশের ১৭ কোটি জনগণের দেশ ডাক্তারদের এত সময় কোথায়! এত রোগী দেখার মাঝে অনেক ভুল হয়ে থাকে ডাক্তারদের, ড্রাগ-ড্রাগ ইন্টারেকশন অন্যতম। প্রেসক্রিপশন লেখার সাথে সাথে ঔষধ সম্পর্কে সঠিক ধারণা দেওয়া খুবই জরুরী। আমাদের দেশে মানুষের ঔষধ সম্পর্কে ধারণা রাখে এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য অবশ্যই এবং অবশ্যই প্রয়োজন ফার্মাসিস্ট।
সরকারি -বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হাজার-হাজার ফার্মাসিস্ট বের হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা নিজেদের পেশাগত দক্ষতা দিয়ে ওষুধ শিল্পে (উৎপাদন, মান নিয়ন্ত্রণ, মানের নিশ্চয়তা বিধান, গবেষণা ও উন্নয়ন, বিপণন, উৎপাদন পরিকল্পনা, ডিসপেন্সিং, রেগুলেটরি অ্যাফেয়ারস, বিজনেজ ডেভেলপমেন্ট ও রপ্তানি) সরকারি সংস্থায়, বেসরকারি হাসপাতালে, কমিউনিটি ফার্মেসিতে ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করে যাচ্ছেন। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ওষুধ শিল্পের বিকাশে আমূল পরিবর্তন।

বর্তমানে চাহিদার ৯৮ শতাংশ ওষুধ দেশে উৎপাদন হচ্ছে এবং ইউএসএ সহ প্রায় ১৯০টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বর্তমানে গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্টরা দেশের বড় ওষুধ কোম্পানিগুলোতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছেন। দেশে প্রচুর ফার্মাসিস্ট থাকা সত্ত্বেও আমরা তাদের সঠিক সুযোগ প্রদান করার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবাকে উন্নতি করছি না।

এমতাবস্থায় দেশে সরকারি হাসপাতালগুলোতে ওষুধের নিরাপদ সংরক্ষণ, অপব্যবহার রোধ ও যৌক্তিক ব্যবহারে ফার্মাসিস্টের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রান্তিক পর্যায়ে ওষুধ বিপণন ও ডিসপেন্সিং ব্যবস্থায় গুণগত পরিবর্তন আনয়নের লক্ষ্যে সরকারি হাসপাতালগুলোতে উন্নত বিজ্ঞান ভিত্তিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বহির্বিভাগ ফার্মেসিতে একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট ও আন্তবিভাগে প্রতি ৫০ শয্যার বিপরীতে একজন গ্র্যাজুয়েট ফার্মাসিস্ট নিয়োগদান এবং নিয়োগকৃত ফার্মাসিস্টদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধি ও তাঁদের অভিজ্ঞতার আলোকে জনশক্তির সব স্তরে পদোন্নতির লক্ষ্যে হাসপাতাল ফার্মেসিতে প্রস্তাবিত ফার্মাসিস্ট নিয়োগের পদবিন্যাস এভাবে করা যেতে পারে:

১. ফার্মাসিস্ট (ক্লিনিক্যাল)/ফার্মাসিস্ট (ফার্মেসি ইনচার্জ), ২. সিনিয়র ফার্মাসিস্ট (ক্লিনিক্যাল), ৩. উপপ্রধান ফার্মাসিস্ট, ৪. প্রধান ফার্মাসিস্ট। বাংলাদেশ ফার্মেসী কাউন্সিল এমন প্রস্তাব করেছিলেন। বিশ্বের এই মহামারীর সময়ে দেশে ফার্মাসিস্ট এবং ফার্মাসিস্টদের ক্যাডার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে চিকিৎসা ব্যবস্তার উন্নয়ন করা আবশ্যক হয়ে দাড়িয়েছে।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর